Saturday, November 28, 2015

অধর্মকে প্রত্যাখ্যান করি, এক জাতি হই

রাকীব আল হাসান:
প্রখ্যাত ভাষাবিদ, ঐতিহাসিক ও প্রতœতত্ত্ববিদ রাহুল সংকৃত্যায়ন শ্রীলঙ্কার বৈশালী নগরের মাটির তলায় প্রাপ্ত বুদ্ধের জীবনীমূলক এক গুচ্ছ শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেছেন। ঐ শিলালিপিতে বুদ্ধের পরিচয়ে দেখা যায় যে, তিনি ‘নিরীশ্বরবাদী নাস্তিক’ বা ‘স্বয়ং ভগবান’ কোনটাই ছিলেন না। তিনি বরং একজন ‘একেশ্বরবাদী মার্গ্যাধ্যায়’ বা ‘পথ প্রদর্শক ভাববাদী (নবী)’ ছিলেন। ঐ শিলালিপি হতে আরো জানা গেছে যে, গৌতমবুদ্ধ এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর শিষ্যকে জানান যে, ‘তিনিই একমাত্র মার্গ্যাধ্যায়ী নন; তাঁর পূর্বেও মার্গ্যাধ্যায়ী এসেছিলেন এবং পরেও আসবেন (আর্য-রহস্য: নাসির আহমেদ)।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রাহুল সংকৃত্যায়ন কর্তৃক আবি®কৃত এই তথ্যের সত্যতা শ্রীলঙ্কা থেকে প্রাপ্ত অপর এক প্রামাণিক গ্রন্থ ঞযব এড়ংঢ়বষ ড়ভ ইঁফফযধ নু চধঁষ ঈধৎঁং হতেও সুপ্রতিষ্ঠিত। সেখানে লিখিত আছে: শিষ্য আনন্দ গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার মৃত্যুর পর কে আমাদেরকে উপদেশ দিবে? উত্তরে বুদ্ধ জানালেন:
ঞযব ইষবংংবফ ঙহব ৎবঢ়ষরবফ: “ও ধস হড়ঃ ঃযব ভরৎংঃ ইঁফফযধ যিড় পধসব ঁঢ়ড়হ বধৎঃয, হড়ৎ ংযধষষ ও নব ঃযব ষধংঃ. ওহ ফঁব ঃরসব ধহড়ঃযবৎ ইঁফফযধ রিষষ ধৎরংব রহ ঃযব ড়িৎষফ, ধ ঐড়ষু ঙহব, ধ ংঁঢ়ৎবসবষু বহষরমযঃবহবফ ঙহব, বহফড়বিফ রিঃয রিংফড়স রহ পড়হফঁপঃ, ধঁংঢ়রপরড়ঁং, শহড়রিহম ঃযব ঁহরাবৎংব, ধহ রহপড়সঢ়ধৎধনষব ষবধফবৎ ড়ভ সবহ, ধ সধংঃবৎ ড়ভ ধহমবষং ধহফ সড়ৎঃধষং. ঐব রিষষ ৎবাবধষ ঃড় ুড়ঁ ঃযব ংধসব বঃবৎহধষ ঃৎঁঃযং যিরপয ও যধাব ঃধঁমযঃ ুড়ঁ. ঐব রিষষ ঢ়ৎবধপয যরং ৎবষরমরড়হ, মষড়ৎরড়ঁং রহ রঃং ড়ৎরমরহ, মষড়ৎরড়ঁং ধঃ ঃযব পষরসধী, ধহফ মষড়ৎরড়ঁং ধঃ ঃযব মড়ধষ, রহ ঃযব ংঢ়রৎরঃ ধহফ রহ ঃযব ষবঃঃবৎ. ঐব রিষষ ঢ়ৎড়পষধরস ধ ৎবষরমরড়ঁং ষরভব, যিড়ষষু ঢ়বৎভবপঃ ধহফ ঢ়ঁৎব; ংঁপয ধং ও হড়ি ঢ়ৎড়পষধরস.” (ঞযব এড়ংঢ়বষ ড়ভ ইঁফফযধ নু চধঁষ ঈধৎঁং, চধমব হড়. ২১৭১)
অর্থাৎ আমিই প্রথম বুদ্ধ নই এবং শেষ বুদ্ধও নই। যথাসময়ে এই ধরাপৃষ্ঠে আর একজন বুদ্ধের আবির্ভাব ঘটবে। তিনি হবেন অতি পবিত্র এবং সর্বাধিক আলোকপ্রাপ্ত। তিনি বিভূষিত হবেন গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন জীবনপদ্ধতি দ্বারা, তিনি হবেন মাঙ্গলিক, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে নিগূঢ় জ্ঞানের অধিকারী, মানবজাতির জন্য একজন অতুলনীয় নেতা, সকল মৃত্যুহীন সত্ত্বা এবং মরণশীলের প্রভু। তিনি তোমাদের সামনে প্রকাশ করবেন সেই অভিন্ন মহাসত্য যা আমি তোমাদের কাছে তুলে ধরেছি। তিনি যে ধর্ম প্রচার করবেন তা হবে সৃষ্টি, পরিণতি ও লক্ষ্যে গৌরবময়, চেতনা ও বাক্যশৈলীতে মহিমাময়। তিনি এমন এক ধর্ম প্রচার করবেন যা হবে নিখুঁত ও খাঁটি, ঠিক যেমন নিখুঁত ও খাঁটি হচ্ছে আমার প্রচারিত ধর্ম।
আনন্দ জানতে চাইলেন, “আমরা তাঁকে কিভাবে চিনতে পারবো?”
বুদ্ধ বললেন, “তিনি মৈত্তেয় (বা মৈত্রেয়) নামে পরিচিত হবেন।”
বৌদ্ধ ধর্মের অপর প্রামাণ্য গ্রন্থ দিঘানিকায়াতেও ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘মানুষ যখন গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ভুলে যাবে তখন আর একজন বুদ্ধ আসবেন, তাঁর নাম হবে মেত্তেয় অর্থাৎ শান্তি ও করুণার বুদ্ধ।’
উল্লেখ্য, মহামতি বুদ্ধ যে পবিত্র ও সর্বাধিক আলোকপ্রাপ্ত বুদ্ধের কথা বলেছেন, তিনি যে বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) তাতে কোন সন্দেহ নেই। মৈত্রেয় শব্দের অর্থ হচ্ছে করুণার আধার বা সকলেরই মিত্র। আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন: ‘আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি (সুরা আম্বিয়া ১০৭)। তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসুল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি øেহশীল, দয়াময় (সুরা তওবা ১২৮)। মহানবী আরবের পৌত্তলিক, ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের সমন্বয়ে মদীনা সনদ, হুদায়বিয়ার সন্ধি করে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। রসুলাল্লাহ খায়বার বিজয় প্রাক্কালে তাঁকে বিষদাত্রী ‘যয়নব’-কে ক্ষমা করে অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাস প্রথা উচ্ছেদ করেন, মক্কা বিজয়ের সময় তিনি মক্কার সমস্ত শত্র“কে নিঃশর্ত ক্ষমা করেছিলেন।
‘ধর্মপদ’সহ বৌদ্ধধর্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রন্থ অনুযায়ী ‘অন্তিম বুদ্ধ’ ‘অন্তির ঋষি’-র বিশেষত্ব হবে:
১. তিনি ধনৈশ্বর্যের অধিকারী হইবেন।
২. তিনি স্ত্রী, সংসার ও সন্তানাদির অধিকারী হবেন।
৩. তিনি শাসনক্ষমতার অধিকারী হবেন।
৪. তিনি স্বীয় পূর্ণ আয়ু পর্যন্ত জীবিত থাকবেন।
৫. তিনি স্বীয় কার্যাদি স্বয়ং সম্পাদন করবেন।
৬. তিনি আজীবন ধর্মপ্রচারে ব্যাপৃত থাকবেন।
৭. তিনি ‘তথাগত’ও হবেন। যখন তিনি নিঃসঙ্গ ও নিরালায় অবস্থান করবেন, তখন আল্লাহর তরফ থেকে ঐশীদূত এসে তাঁকে ঐশীবাণী শুনাবেন।
৮. তিনি তাঁর অনুগামীগণকে পূর্ববর্তী বুদ্ধগণের (নবী) কথা স্মরণ করাবেন।
৯. তিনি তাঁর অনুসারীগণকে শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করবেন।
১০. তাঁকে ও তাঁর সহচরবৃন্দকে কেহই পথভ্রষ্ট করিতে পারবে না এবং তাঁহার সহচরগণ তাঁহার পার্শ্বে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থান করবেন।
১১. পৃথিবীতে তাঁর কোন গুরু থাকিবে না।
১২. তিনি পার্থিব অথবা অপার্থিব হতে বোধিবৃক্ষের তলায় দিব্যজ্ঞান লাভ করবেন এবং দিব্যদৃষ্টি দ্বারা তাতে দৃষ্টিপাত করবেন। বোধিবৃক্ষের নিুে তিনি সভা করবেন।
১৩. সাধারণ মানুষের ঘাড় অপেক্ষা তাঁহার ঘাড়ের হাড় অত্যধিক দৃঢ় হবে। ফলে ঘাড় ঘুরাবার সময় তাঁকে সমস্ত শরীর ঘুরাতে হবে।
১৪. তিনি যখন পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন তখন অন্য কোন বুদ্ধ পৃথিবীতে থাকবেন না। কেননা তিনি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য প্রেরিত হবেন। (দেখুন: সিরাত বিশ্বকোষ ৪র্থ খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ড: বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় বিরচিত বেদ ও পুরাণে হযরত মুহাম্মদ)।
উপরোক্ত সবগুলি বৈশিষ্ট্য আল্লাহর শেষ নবী মোহাম্মদ (সা.) এর মধ্যে বিরাজমান, যারা তাঁর পবিত্র জীবনী পাঠ করেছেন তারা তা ভালো করেই জানেন। এজন্য এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। এ প্রসঙ্গে এখানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য, আমাদের জানা প্রায় সবকটি ধর্মেই আল্লাহর শেষ রসুল এবং সমগ্র মানবজাতির রসুল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখিত আছে, কারণ সকল অঞ্চলের মানুষের সঙ্গেই শেষ রসুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই সকল নবীরই ‘অন্তিম ঋষি’-র মিশন সম্পর্কে অবগত করা তাদের দায়িত্বের অংশ ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থেও রসুলাল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ থাকার অর্থ হচ্ছে বুদ্ধও আল্লাহর একজন নবীই ছিলেন, নয় তো রসুলাল্লাহ সম্পর্কে এই নিখুঁত বর্ণনা তিনি কোত্থেকে পেলেন। নবীদের ভবিষ্যদ্বাণীগুলিও তাঁদের মো’জেজা বা বিভূতিস্বরূপ। যেহেতু বুদ্ধের সেই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব সত্য হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে তাই নিঃসন্দেহে, বিনা দ্বিধা ও বিনা সংকোচে বলা যায় যে তিনি যথার্থই আল্লাহর একজন নবী ছিলেন। তবে যেহেতু এটা একটি গবেষণার বিষয়, তাই এ বিষয়টি মেনে নিতে আমি কাউকে জোর করছি না।
প্রকৃত সত্য হলো – স্রষ্টাকে আল্লাহ, ভগবান, ব্রহ্মা, ঈশ্বর, আহুর-মাজদা, জেহোভা, এলী, গড যে নামেই ডাকি না কেন তিনি এক ও অভিন্ন সত্ত্বা এবং বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলির সবই তাঁর পক্ষ থেকেই এসেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো সকল ধর্মের পুরোহিত শ্রেণি পার্থিব স্বার্থে ধর্মকে বাণিজ্যের উপকরণে পরিণত করেছেন ধর্মগ্রন্থগুলিও বিকৃত করে ফেলেছেন। ফলে সকল ধর্মের অনুসারীরাই তাদের নবীদের শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন এবং ধর্মকে জাতীয় জীবন থেকে ব্যক্তিজীবনের সঙ্কীর্ণ গণ্ডিতে নির্বাসন দিয়েছেন এবং ব্যক্তিজীবনে যেটা পালন করছেন সেটাও ধর্মের বিকৃতরূপ। তার ফল এই হয়েছে যে আজ সমস্ত মানবজাতি, এই তথাকথিত ‘মুসলিম’ জনসংখ্যাসহ, মহাসমারোহে বিরাট বিরাট কারুকার্য্যময় অতি সুদৃশ্য মসজিদে, মন্দিরে, গীর্জায়, সিনাগগে ও প্যাগোডায় আল্লাহর উপাসনা করে, এবাদত করে, কিন্তু তাদের সমষ্টিগত জীবনে, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, বিচার ফায়সালায়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জীবনে আল্লাহকে, তাঁর সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতা দাজ্জালের সার্বভৌমত্বের আনুগত্য করে। দাজ্জাল এটাই চায় যে, মানুষ যতখুশি এবাদত বন্দেগি, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকুক কিন্তু জাতীয় জীবনে দাজ্জালের আনুগত্য করুক। কিন্তু আল্লাহর হুকুম বাদ দিয়ে দাজ্জালের হুকুম মেনে নেওয়ায় সারা পৃথিবীতে আজ অন্যায় অশান্তির দাবানল জ্বলছে। এই অশান্তি থেকে মুক্তির একটাই পথ, যে পথটি এ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছেন। সেই পথ হচ্ছে, সকল মানুষের একজন স্রষ্টা। সেই স্রষ্টার হুকুম সকলকে মেনে নিতে হবে। সকল প্রকার সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতার পেছনে মূল কারণ হল, এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মকে মিথ্যা বলে মনে করা, অন্যধর্মের উপাস্য, গ্রন্থ, অবতার, আচার অনুষ্ঠান, সংস্কৃতিকে অসম্মান করে কথা বলা। যুগ যুগ ধরে ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিত আলেমদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এক ধর্মের লোক আরেক ধর্মের লোকের উপরে আক্রমণ করছে, তাদের হাত থেকে গর্ভের শিশু, অসহায় নারী পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। যে বৌদ্ধরা জীবহত্যা মহাপাপ মনে করে মাছ-গোশত পর্যন্ত খায় না, পথ চলার সময় যাদের ধর্মগুরুদের অনেকে পা ফেলার স্থানে ঝাড়– দিতে দিতে চলেন যেন একটি পিঁপড়াও না মাড়িয়ে ফেলেন, সেই বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের ফতোয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে হাজারে হাজারে ‘মুসলিম’ নির্মমভাবে নিহত হয়েছে, গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিষ্পাপ শিশুদেরকে পর্যন্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেট ফেড়ে, গলা কেটে, আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে সাগরে ডুবিয়ে মারা হচ্ছে, স্বদেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন এই বর্বরতা, ধর্মের নামে কেন এই পশুত্বের হুঙ্কার। একই অবস্থা ভারতে করছে সনাতন ধর্মের অনুসারী হওয়ার দাবিদার হিন্দু মৌলবাদীরা। একই কাজ করা হয়েছে ফিলিস্তিনে, সিরিয়ায়, বসনিয়া, চেচনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়ায়, চীনে, থাইল্যান্ডে, কম্পুচিয়ায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষবশত ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছেন হিটলার। একইভাবে দশ লক্ষাধিক মুসলিম হত্যা করা হয়েছে আফগানিস্তান ইরাকে। এই ধর্মীয় বিদ্বেষ নিছকই মিথ্যা ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। আসলে সব ধর্মই সত্য, সব ধর্মই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, সব ধর্মের প্রবর্তকই স্রষ্টার প্রেরিত মহামানব। তাদের যে কাউকে গালাগালি করলে আল্লাহ তা কখনোই ক্ষমা করবেন না। কাজেই আসুন, আমরা সকলেই যেহেতু একই বাবা-মা আদম হাওয়ার সন্তান, সকলেই ভাই ভাই, আমরা সকলে মিলে পাশ্চাত্য স্রষ্টাহীন বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’ দাজ্জালকে প্রত্যাখ্যান করে এক স্রষ্টার বিধান অনুসরণ করে এক জাতি হই।

No comments:

Post a Comment