Monday, February 29, 2016

রাজধানীর আদাবর এলাকায় হেযবুত তওহীদের জনসভা

রাজধানীর আদাবর এলাকায় হেযবুত তওহীদের জনসভা


জঙ্গিবাদকে না বলুন, ধর্মব্যবসাকে না বলুন, সাম্প্রদায়িকতাকে না বলুন। যারা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে হাইজ্যাক করে ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করায় তাদেরকে বয়কট করুন।
.
পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর তাই ধর্ম, যা অকল্যাণকর তা অধর্ম। আসুন- নিজেদের ইহকালকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ও পরকালকে সাফল্যমণ্ডিত করতে নিজেকে মানবতার কল্যাণে সমর্পণ করি।
.
পৃথিবী যখন অশান্তির আগুনে পুড়ছে, তখন কারও কোনো ব্যক্তিগত আমল-এবাদত-পূজা-প্রার্থনা কবুল হবে না। আগে মানুষের মুক্তি, আগে সমাজের শান্তি, তারপর আমল।
.
এই মুহূর্তে মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলো ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে পৃথিবী থেকে মিথ্যা ও অন্যায়ের রাজত্বকে সমূলে উৎপাটন করা। মানবজীবনে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
.
যে জীবন মানবকল্যাণে কাজে লাগল না, যে জীবন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে লাগল না, সে জীবন বৃথা গেল। যে ব্যক্তি সমাজ নিয়ে ভাবল না, দেশ নিয়ে ভাবল না, বিশ্ব নিয়ে ভাবল না, অতঃপর মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে নিজেকে বিসর্জন করল না সে তো মানুষই নয়, পশুর সাথে স্বার্থপর-আত্মকেন্দ্রিক ওই ব্যক্তির কোনোই পার্থক্য নেই।
.
যে ব্যক্তি নিজের জন্য বাচে সে ধার্মিক নয়, ধার্মিক সেই জন যার প্রতিটি নিঃশ্বাস থেকে এই জগৎ সংসার উপকৃত হয়।
.
সুতরাং যারা ধর্মকে বিশ্বাস করেন, ধর্মকে ধারণ করতে চান তারা আসুন- নিজেদের আত্মার বলে বলীয়ান হয়ে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, অপরাজনীতি, ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
.
আর যারা ধর্মই বিশ্বাস করেন না তারাও আসুন, সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে হলেও। এই সমাজে আপনি জন্ম নিয়েছেন, এই সমাজে লালিত-পালিত হয়েছেন, এই সমাজে বেচে আছেন, সুতরাং এই সমাজের প্রতি আপনি ঋণী। এই ঋণের বোঝা হালকা করার সময় এসেছে। সমাজের দুর্দশাকে অনুধাবন করুন। সমাজ নামক দেহটির প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আজ ভয়ানক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তাকে বাচান। তার চিকিৎসা করুন। ওষুধ আছে আমাদের কাছে। আমরা সে ওষুধ নিয়ে আপনাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, আসুন, বসুন, শুনুন আমাদের কথা। উপলব্ধি করুন। সমাজ বেচে যাবে, আপনিও বাচবেন।
.
হেযবুত তওহীদের সংগ্রাম চলছে। চলবে। সত্য প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে সবাইকে আমন্ত্রণ।

No comments:

Post a Comment