Saturday, April 11, 2015

এই সমস্ত বিশ্ব শুধু মাত্র একজন ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্টি ও পরিচালিত হচ্ছে

যজুর্বেদ ৪০.১:
এই সমস্ত বিশ্ব শুধু মাত্র একজন ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্টি ও পরিচালিত হচ্ছে।
কখনই অন্যায় করো না অথবা অন্যায়
ভাবে সম্পদ
অর্জনের ইচ্ছা করো না।
যজুর্বেদ ১৩.৪:
সমগ্র বিশ্বে শুধু একজনই
হর্তাকর্তা রয়েছেন। শুধুমাত্র তিনিই পৃথিবী,
আকাশ, এবং অন্যন্যা দৈব সত্ত্বাকে ধারণ
করেন।
তিনি নিজেই পরম সুখী! তিনিই শুধু মাত্র
তিনিই
আমাদের দ্বারা উপাসিত হবেন।
অর্থববেদ ১৩.৪.১৬-২১:
তিনি না দুই, না তিন,
না চার, না পাঁচ, না ছয়, এমনকি না সাত,
না আট,
না নয়, না দশ। তিনি একজন এবং শুধুই একজন।
তিনি ছাড়া অন্য কেউ ঈশ্বর নন। সকল
দেবতাগণ
তার মাঝেই থাকেন এবং তার দ্বারাই
পরিচালিত হন।
তাই তিনি ছাড়া অন্য কেউ উপাস্য নাই।
অর্থববেদ ১০.৭.৩৮:
শুধু মাত্র ঈশ্বরই হলেন
শ্রেষ্ট এবং একমাত্র উপাস্য। তিনিই সকল
জ্ঞানের ও কার্যাবলীর উৎস।
অতএব, সনাতনধর্মের মূল তথা আদি ধর্মগ্রন্থ
বেদ অনুযায়ী ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।
ॐ শান্তি শান্তি শান্তি

বুলবুল আহাম্মেদ

সালাহ এসলামের কঙ্কাল

সালাহ এসলামের কঙ্কাল

(এসলামের প্রকৃত সালাহ বই থেকে)
লিখেছেন -এ যামানার এমাম এমামুয্যামান (The leader of
the time) জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।
আল্লাহর রসূল বিভিন্ন সময়ে তাঁর আসহাবদেরকে এসলামের
প্রকৃত আকীদা বোঝাতে বিভিন্ন ধরণের উপমা বা উদাহরণ
ব্যবহার কোরেছেন৷ যেমন একটি ঘরের সাথে এসলামের
তুলনা কোরে তিনি জেহাদ ও সালাতের সম্পর্ক আসহাবদের
সামনে তুলে ধোরেছেন৷ তিনি বোলেছেন- এসলাম একটি ঘর,
সালাহ তার খুঁটি এবং জেহাদ হোল ছাদ [হাদীস- মুয়ায (রা:)
থেকে আহমদ, তিরমিযি, এবনে মাজাহ, মেশকাত]৷ এই
উপমাতে রসুলাল্লাহ সালাহ ও জেহাদের সম্পর্ক, এদের
উভয়ের প্রয়োজনীয়তা, এমনকি কোনটির প্রাধান্য
বেশী (Priority) তা নিখুঁতভাবে তুলে ধোরেছেন৷ ছাদবিহীন
একটি ঘরের কোনই মূল্য নেই, এমন কি সেই ঘর
যদি দামী আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী সামগ্রী দিয়ে সুসজ্জিত
থাকে তবুও তা মূল্যহীন৷ এর
খুঁটিগুলো যদি হীরা দিয়ে তৈরী থাকে তবুও ঘরের উদ্দেশ্য পূরণ
হয় না; এ ঘরে কেউ বাস কোরতে পারবে না৷
বর্ত্তমানে মোসলেম নামক এই জাতিটি এসলামের
ভিত্তি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের (তওহীদ) বদলে দাজ্জালের
সার্বভৌমত্বকে সার্বিক জীবনে স্বীকার কোরে নিয়েছে আর
ছাদ অর্থাত্ জেহাদ (আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার
সংগ্রাম) তাদের কাছে কেবল অপ্রয়োজনীয়ই নয়-অসহ্য৷
এখন তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবাদত হোচ্ছে সালাহ
বা নামাজ৷ জান্নাতের প্রকৃত চাবি আল্লাহর
সার্বভৌমত্বকে (হাদীস- মু'আজ এবনে জাবাল থেকে আহমদ)
ত্যাগ কোরে এই জাতি নামাজকে জান্নাতের
চাবী বানিয়ে নিয়ে সারা দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ সুদৃশ্য
মসজিদে কেবল শূণ্যের উপরই খুঁটি গেঁড়ে যাচ্ছেন৷ শুধু তাই নয়,
এ খুঁটিগুলির উদ্দেশ্য কি তাও তারা জানেন না৷ ছাদ নির্মাণ
না কোরে কেবল খুঁটি গাঁড়া যে কতটা নির্বুদ্ধিতার কাজ
তা বোঝার জ্ঞানটুকুও আল্লাহর লা'নতের ফলে এ জাতির
মধ্যে অবশিষ্ট নেই৷ ফলে এই সালাহ মোসলেম জাতির কোন
কাজেই আসছে না; এ সালাহ তাদেরকে সকল জাতির লাথি ও
ঘৃণা থেকে রক্ষা কোরতে পারছে না৷ ভিত্তি ও ছাদহীন
খুঁটি সর্বস্ব এ ঘর (যদিও এমন ঘর অসম্ভব) তাদেরকে কোনই
নিরাপত্তা দিতে পারছে না৷ এসলামের আকীদা বোঝাবার
চেষ্টায় আমি আরও একটি উপমা পেশ কোরছি৷
বই টি থেকে লেখা গুল তুলে ধরেছেন ,
বুলবুল আহাম্মেদ
আরো জানতে চাইলে যোগাযোগ করুন
০১৭১১০০৫০২৫, ০১৯৩৩৭৬৭৭২৫ , ০১৬৭০১৭৪৬৪৩ , ০১৫৫৯৩৫৮৬৪৭,

ধর্মব্যবসায়ীদের কূপমণ্ডূকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আস্তে হবে

""ধর্মব্যবসায়ীদের কূপমণ্ডূকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আস্তে হবে""

ধর্মব্যবসায়ীদের কূপমণ্ডূকতা দেখে আমাদের তরুণ সমাজ ধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ধর্মকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। আমরা বলছি, কেবল এড়িয়ে চলাই যথেষ্ট নয়, এই বিকৃতির হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা আপনার ঈমানী দায়িত্ব। ধর্মব্যবসায়ীরা বিকৃত ধর্মগুলোকে লালন করছেন নিছক অর্থ উপার্জনের জন্য। ধর্মব্যবসা এমন এক জঘন্য অপরাধ যার দ্বারা বিশ্বাসী মানুষের দুনিয়া ও আখেরাত দুটোই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের এত নামাজ-রোজা, হজ্ব, যাকাত, যিকির আজগার কোনো কিছুরই কোনো প্রতিদান তারা আল্লাহর কাছ থেকে পাবে না। কেননা বিকৃত ধর্মটি জাল নোটের মতো, দেখতে প্রায় একই রকম হলেও বিনিময়যোগ্য নয়।
বুলবুল আহাম্মেদ

স্রষ্টা একজনই তিনি আল্লাহ্।

স্রষ্টা একজনই তিনি আল্লাহ্।

দুনিয়াতে যা আছে সবই তার সৃষ্টি।সব কিছুকে নিখুত পরিকল্পনায় তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং পরিচালনা করতেছেন। সুবহান আল্লাহ।
তাঁর সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষ হলো সর্বশ্রেষ্ট।এবং সবছেয়ে বেশী ভালোবাসার সৃষ্টি এই মানুষ।
তাইতো আল্লাহ নিজের রুহ্ থেকে মানুষের রুহ্ ফুকে দিছেন।(আল কোরআন-১৫:২৮-২৯)
মানুষ হলো আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনধি।
এই প্রতিনধির কাজ কি???
তাহলে আগে জানতে হবে আল্লাহর কাজ কি?
আল্লাহর কাজ হলো এই সৃষ্টি জগতকে সুসৃংঙ্খল
ভাবে পরিচালনা করা।
প্রতিনধির কাজ ও ঠিক তাই অর্থাৎ মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে এই সৃষ্টি জগত তথা অন্যান্য প্রানীর প্রতি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করবে।ইচ্ছা করলে সে এই জগতের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
আল্লাহ মানুষকে সেই শক্তি দিয়ছেন।
আল্লাহ নিজেই এ কাজটি করবেন যে কোনো ভাবে বা যে কোনো মাধ্যমে।মানুষের স্বাধীন ইচ্চা শক্তি থাকাতে সে হতে পারে আল্লাহর খলিফা বা হতে পারে শয়তানের খলীফা।
মানুষের জন্য এটা একটা পরীক্ষা।কেনো পরীক্ষা কারন একমাত্র মানুষকেই বুদ্ধি বিবেক এবং স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।মানুষ চিন্তা করতে পারে নিজে যা ইচ্ছা তা করতে পারে,মানুষের মাঝে আছে রাগ,ক্ষোভ,প্রেম,ভালোবাসা ইত্যাদি ।
এখন তাহলে বুঝা গেলো মানুষের কাজ কি।
মানুষ একে অনে্যর বিপদে এগিয়ে আসবে,একে অন্যের প্রতি সহানুভব হবে।পরস্পরের কল্যানে কাজ করবে,অন্যান্য জীবের প্রতিও তাদের দায়িত্ব পালন করবে।এটাই মানুষের প্রকৃত ধর্ম।
আগুনের কাজ(ধর্ম)যেমন পোড়ানো,যদি আগুনে কিছু না পোড়ে তবে তাকে কেউ আগুন বলেনা।ঠিক তেমনি মানুষ যদি একে অপরের দু:খ কস্ট না বুঝে,সহযোগীতা না করে পরস্পরের কল্যানে কাজ না করে তাকেও মানুষ বলা যায়না ,সে পশুর ন্যায় অর্থাৎ পশু যেমন চিন্তা করার ক্ষমতা নেই একে অপরকে বা অন্য প্রানীকে সাহায্য করার শক্তি বা বুদ্ধি নেই।ঠিক মানুষ রুপে জন্ম নিলেও তারা পশু।
পশু যেমন শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে খাওয়া দাওয়া করে আর বাচ্চা জন্ম দেয় তারাও একই কাজ করে।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তো তারা পশুর ছেয়েও নিকৃস্ট কারন তারা একে অন্যকে ঠকানো,কস্ট দেওয়া,এমনকি হত্যা করতেও ধিদা করেনা নিজের স্বার্থের জন্য।
মানুষের মাঝে আছে আল্লাহর রুহু থেকে ফুকে দেওয়া রূহু।
সেই স্রষ্টার দেওয়া রুহু ফুকে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবেই আল্লাহর কিছু গুন মানুষের মাঝে চলে আসছে।তবে এটা খুবই সামান্য পরিমান যেমন মহাসাগর থেকে এক ফোটা পানি।
এই এক ফোটা পানিও কিন্তু একই গুনাগুন বহন করে কিন্তু তা দিয়ে ঢেউ দেওয়া সম্ভব নয়,কোনো প্রলয়ংকারী ঝড় উঠানো সম্ভব নয় যদিও ঐ এক ফোটা ও ঠিকই পানি কিন্তু পার্থক্যটা আশা করি বুঝেছেন।
অর্থাত আল্লাহ ইচ্ছে করলেই মানুষকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।
এখন এই স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি পেয়ে মানুষ ভালো কাজ ও করতে পারে খারাপ কাজও করতে পারে।সে যদি ভালো কাজ করতে চায় তবে শয়তান তাকে বাধা দেয় এবং শয়তানের বাধা অতিক্রম করলে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন।
তেমনি খারাপ কাজ করতে গেলে শয়তান তাকে পুরো সমর্থন দেয় বেশীর ভাগ মানুষ বুঝেও সেই পাপ থেকে সরে আসতে পারেনা শয়তানের প্ররোচনায়।
এখন আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
যারা আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করবেন আল্লাহ ওয়াদা করছেন পরকালে তাদের জান্নাত দিবেন।
যারা এই দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে তাদের কে জাহান্নাম দিবেন।
কিভাবে মানুষ এই দ্বায়িত্ব পালন করবে তার জন্য তিনি যুগে যুগে তাঁর বার্তা বাহকের(নবী,রাসূলগন) মাধ্যমে মানব জাতির জন্য পাঠিয়েছেন হেদায়াহ্ বা সঠিক পথ নির্দেশনা। যা মেনে চললে বা অনুসরন করলে মানুষ থাকবে শান্তিতে এবং আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের জান্নাত দিবেন পরকালে।
সব নবী রাসূলগনের মূলত একটাই প্রধান বার্তা ছিলো তা হলো ইলাহ্(হুকুমদাতা)হিসেবে একমাএ আল্লাহকে মেনে নেওয়া।এবং সেই ইলাহর হুকুম অনূযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
মানুষের যেহেতু ইচ্ছা শক্তি আছে সে ইচ্ছা করলেই নিজেই নিজের আইন কানুন তৈরী করে নিতে পারে অথবা স্রষ্টার দেওয়া বিধান ফলো করতে পারে।
মানুষ সামাজিক জীব।আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টিই করছেন এমন ভাবে।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
( আমি যা বুঝলাম তা শেয়ার করতে চেস্টা করলাম আপনাদের সাথে।ভাষাগত দূর্বলতার কারনে গুছিয়ে লিখতে পারিনি।সে জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।অবশ্যই আপনাদের মতামত আশা করছি।)
বুলবুল আহাম্মেদ

সকল ধর্মের মূলমন্ত্র মানবতা, সংস্কৃতি ও শিল্পকলা জাতীয় উন্নতির মানদণ্ড – সাবেক প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম

Untitled-13
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অরাজনীতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঢাকার তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে ‘মানবতার কল্যাণে ধর্ম – শান্তির জন্য সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি জনাব তাফাজ্জল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আগত আলোচকদের আলোচনা শেষে তিনি সকলের উদ্দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের মধ্যে উঠে আসে মানবতার কথা, মনুষ্যত্বের কথা। তিনি বলেন, ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদিসহ সকল ধর্মের মূলমন্ত্র একটাই, সেটা হলো মানুষের কল্যাণ, মানবতার কল্যাণ। কিন্তু যারাই মানবতার কথা বলে এক শ্রেণির ফতোয়াবাজ তাদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের কথা স্মরণ করে বলেন, বিদ্রোহী কবিও ফতোয়াবাজদের প্রচণ্ড বিরোধিতার শিকার হয়েছিলেন মানবতার কথা বলতে গিয়ে, তার বিরুদ্ধে হিন্দু, মুসলিম সব ফতোয়াবাজরা উঠে পড়ে লেগেছিল। অথচ তার গানের মর্মবাণী কোনো ধর্মের সাথেই সাংঘর্ষিক নয় বরং তার সেই কথার মধ্য দিয়ে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাই ফুটে ওঠে। “রোজ হাশরে আল্লাহ আমার করোনা বিচার, বিচার চাহি না তোমার দয়া চাহে এ গুনাহগার।… বিচার যদি করবে কেন রহমান নাম নিলে, ঐ নামের গুনে তরে যাব কেন এ জ্ঞান দিলে।” ধর্মকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এত সুন্দর কথা বললেন, অথচ সেই কাজী নজরুল ইসলামই ফতোয়াবাজদের বিরোধিতার শিকার হলেন। তবুও তিনি হার মানেন নি, ধর্মকে ফতোয়াাবজদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিপ্লব এগিয়ে নিয়ে গেছেন, বহু কাজ করে গেছেন।
তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে রসুলাল্লাহর মদীনা সনদের কথা উল্লেখ করে বলেন সেখানে রসুলাল্লাহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিলেন। আজকে ম্যাগনাকার্টাসহ অনেক কিছু হয়েছে, কিন্তু প্রথম হলো মদীনা সনদ। সেখানে বলা হলো যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, রাষ্ট্র থেকে তোমাদেরকে বাধা দেওয়া হবে না।
“সংস্কৃতি, শিল্প আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ছাড়া সভ্যতার প্রকাশ করা যায় না।” -মুখ্য আলোচক রুপায়দাহ পন্নীর এই উক্তিটি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এই কথার সাথে আমি যোগ করবো যে, আসলে একটা দেশ কতটুকু সভ্য সেটা যেরকম যান্ত্রিক উন্নতির সাথে বা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে বিচার করা হয় একইভাবে সাংস্কৃতি বা শিল্পকলার মাধ্যমেও বিচার করা হয়। মুসলিমদের সংগীত অনুরাগ ও সংগীতে তাদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে মুসলমান শিল্পিরা ছিলেন সংগীতের শীর্ষে, ওস্তাদ আলা উদ্দিন খান, বড়ে গোলাম আলী তাদের মধ্যে অন্যতম। তারা সংগীতকে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা হিসাবে কল্পনা করতেন, আসলে হয়ও তাই। তারা সারাদিন সংগীতের মধ্যে ডুবে থাকতেন, সংগীতের মধ্যেই ইশ্বরের খুঁজ পেতেন। রবীন্দ্রনাথের কথা ধরা হোক, তার বিরুদ্ধেও গোড়া হিন্দুরা লেগেছিল। রবীন্দ্রনাথ একটা গানে বলছিলেন যে, “চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে, অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহিরে।” আসলে আমার অন্তরে কী, আমি কী, যদি এটা মানুষ দেখতে পারে, অনুধাবন করতে পারে তাহলে মানুষ অনেক উপরে উঠে যায়। তখন তার দ্বারা কোনো নোংরা কাজ সম্ভবপর হয় না। সে-ই তখন ইশ্বর, আল্লাহ, ভগবানকে খুঁজে পায়।
বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম তার পুরোনো দিনের একটি স্মৃতি চারণ করেন। তিনি বলেন, তখনও আমি আপিল বিভাগের বিচারক, প্রধান বিচারপতি হই নি। কুমিল্লা দাউদকান্দিতে আমার গ্রামের বাগান বাড়ির পাশে একটা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল হচ্ছিল। লোকজনের অনেক অনুরোধে আমিও সেখানে গেলাম। দেখলাম যিনি ওয়াজ করবেন তিনি ১২/১৪টা মাইক্রোবাস নিয়ে আসলেন, তার সাথে অনেক শিষ্য। শুরু হলো জ্বালাময়ী ওয়াজ, দশমিনিটের মধ্যেই মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। ওয়াজের মধ্যে বলা হচ্ছে যে, কালকের মধ্যেই আপনারা আপনাদের ছেলে মেয়েদেরকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে মাদ্রসায় ভর্তি করাবেন। আমি সহ্য করতে না পেরে উঠে চলে আসলাম, পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যিনি ওয়াজ করছেন তার ছেলে মেয়ে পড়ে বিলেতে। এখন চার দিকে এটাই ছড়িয়ে আছে, এটা আসলে কি মোনাফেকী, না অন্য কিছু? এখন মানবতার স্খলন চূড়ান্ত পর্যায়ে, নৈতিকতার স্খলনও চূড়ান্ত পর্যায়ে, দুটোই ভুলুণ্ঠিত। এখন আমার মনে পড়ছে সেই কবিতাটা, “ আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও। আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও।”

ধর্ম মানুষকে শুদ্ধ করে অধর্ম মানুষকে নষ্ট করে -এটিএম শামসুজ্জামান

Untitled-14নিজস্ব প্রতিনিধি:
————–
ধর্ম মানুষকে শুদ্ধ করে, অধর্ম মানুষকে নষ্ট করে। ধর্ম মানুষকে সঠিক পথ দেখায় আবার ধর্মের নামেই মানুষকে বিপথগামী করা হয়। যদি ধর্মের সঠিক শিক্ষা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তবে মানুষ শান্তিতে থাকবে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পাব আমরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অরাজনীতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঢাকার তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে ‘মানবতার কল্যাণে ধর্ম – শান্তির জন্য সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এ কথা বলেন।
তিনি বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার কিছু মানুষের সাথে এখানে একত্রিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানুষ আজ সচেতন হয়ে উঠছে। এটা আশার কথা। যা ইচ্ছা তা আর এখন জনগণকে বুঝাতে পারবেন না। ধর্ম মানে খুর দিয়ে পায়ের রগ কাটা নয়। ধর্ম মানে ককটেল মারা নয়। ধর্ম মানে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে পোড়ানো নয়। বিশ্বের কোনো ধর্ম এর স্বীকৃতি দেয় না। পবিত্র কোর’আনে ফেতনা সৃষ্টি করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোর’আনে বহুবার বলা হয়েছে, “তোমরা সীমা লঙ্ঘন করো না। সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।” শুধু আমাদের কোর’আনে নয় বেদ, গীতা, বাইবেল থেকে আরাম্ভ করে যত ধর্ম গ্রন্থ আছে সবগুলির মূলবাণী একই – “একমেবাদ্বিতিয়ম” যার আরবি হচ্ছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”।
তিনি ধর্মব্যবসায়ীদের সম্পর্কে আরও বলেন, ধর্মব্যবসায়ীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন আর নিশ্চয় সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। সুতরাং তাদের শাস্তি হচ্ছে এবং হবে। অতএব যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের পুলোকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আজ হোক, কাল হোক বাংলার মাটিতে তাদের ঠাই হবে না। যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবিত আছেন বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। বাংলার মানুষ এখন আর এত বোকা নয়। তারা এখন বুঝতে শিখেছে। আজ তারা বুঝতে শিখেছে মাওলানা নামধারী কিছু ধর্মব্যবসায়ী লোক ধর্মের নামে যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করছে এগুলি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) যখন মে’রাজে গেলেন তখন আল্লাহ বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জাহান্নামি হবে নারী, তার পরে হবে আলেম, যাদের আমি এলেম দিয়েছিলাম, তাদের আমল ছিলো না। এই সমস্ত ধর্মজীবী আলেম হচ্ছে সেই লোকসকল যাদের আল্লাহ এলম্ দান করেছে তারা আমল করে না । আমি এদের বলি এখনো সময় আছে আমল করুন।
তিনি একজন ধর্মজীবী আলেমকে ইঙ্গিত করে বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তিনি বললেন নারী জাতি তেতুলের মতো। দেখে জিহ্বায় জল আসে। তবে কি আপনার পরিবারে কোনো মেয়ে নেই, তাদের ব্যাপারে যদি কেউ এমন নোংরা কথা বলে! কেমন লাগবে আপনার? আপনার স্ত্রীকে তেতুল গাছ বললে কি অশ্লীল শোনাবে না? এই বিদ্বান মানুষ এটি উচ্চারণ করতে পারেন ভাবলে আমি অবাক হয়ে যাই। আখেরাতের ময়দানে কিন্তু সকলকেই জবাব দিতে হবে।
তিনি সকল ধর্মের প্রতি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্য ধর্মের ব্যাপারে কটাক্ষ করা ইসলামের নীতি বিরুদ্ধ। মুসলিম হয়ে যদি আমরা অন্য ধর্মের দেব-দেবীদের নিয়ে গালাগালি করি তবে অজ্ঞতা বসত সে আল্লাকে গালাগাল করতে পারে। আমার নবীকে গালাগাল করতে পারে আর সে জন্যে দায়ী হবে কে? সব ধর্মকে ভালোবেসে নিজের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে।
তিনি রসুলাল্লাহ সম্পর্কে বলেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। কারণ তাঁর উত্তম চরিত্র।
তিনি এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে, কিছু কথা বলতে পেরে অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি শেষ নবীর উম্মত হতে পেরে গৌরব প্রকাশ করেন এবং অন্য ধর্মের অবতার, মহামানবদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ধর্মগ্রন্থে ঐক্যের গুরুত্

ধর্মগ্রন্থে ঐক্যের গুরুত্
এপ্রিল ৯, ২০১৫ 

সাইদুর রহমান:
সুরা আল এমরানের ১০৩ নং আয়াতে বলেছেন- ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জু (হেদায়াহ, দীন) ধরে রাখতে, বিচ্ছিন্ন না হতে; সুরা আস্ সফ-এর ৪ নং আয়াতে আমাদের আদেশ করছেন গলিত সীসার দেয়ালের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেহাদ করতে। গলিত সীসার দেয়ালে একটি সূঁচ ঢোকার জায়গাও থাকে না। যাদের কাজে, কথায় ঐক্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে তাদের জন্য রেখেছেন কঠিন শাস্তি, আযাব কোর’আনের বহু স্থানে। যে সব কাজে ও কথায় উম্মাহর ঐক্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে সে সব কাজকে আল্লাহর রসুল সরাসরি কুফর বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেবল শেষ দীনেই নয়, ইতঃপূর্বে আল্লাহ যত নবী রসুল পাঠিয়েছেন এবং তাদের প্রতি যত কিতাব নাজিল করেছেন সর্বত্র জাতির ঐক্যের বিষয়ে বিরাট গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সনাতন ধর্মের গ্রন্থগুলিতেও ঐক্যের বিষয়ে বলা আছে। যেমন মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক্কালে মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রকে মহাত্মা বিদুর বলেছিলেন, “দৃঢ়বদ্ধমূল অতিমহৎ একমাত্র মহীরুহ সমীরণভরে অনায়াসে মর্দিত ও পতিত হইয়া থাকে, কিন্তু বহু বৃক্ষ একত্র মিলিত ও বদ্ধমূল হইলে অক্লেশে প্রবল বায়ুবেগ সহ্য করিতে পারে; এইরূপ গুণসমন্বিত ব্যক্তিও একাকী হইলে শত্র“গণ তাঁহাকে পরাজয় করা অনায়াসসাধ্য মনে করিয়া থাকে।” সরল বাংলায় বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যে যদি বিরাট কোনো বৃক্ষ একাকী দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে প্রবল ঝড়ে সেটা উপড়ে পড়ে যায়। পক্ষান্তরে বহুসংখ্যক বৃক্ষ একত্রিতভাবে থাকলে প্রবল ঝড়েও তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। একইভাবে অতি বড় বীরও একা থাকলে শত্র“রা তাকে পরাজিত করাকে সহজ মনে করে। ঐক্যের শক্তি কত বিরাট তা এই প্রাকৃতিক ঘটনাটির মধ্যেই সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
আজ আমাদের দেশের এই ষোল কোটি মানুষ শত সহস্রভাবে বিভক্ত হয়ে আছে। তারা বিচ্ছিন্ন গাছের মতো একাকী ও শক্তিহীন। তাই যে কোনো হালকা ঝড়েও তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়।

তোমরা সম্পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও

তোমরা সম্পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও

রাকীব আল হাসান:
কোনো সন্দেহ নেই যে মুসলিম দাবিদার এই জাতিটা ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের দাসে পরিণত হবার পরও বহু লোক আল্লাহ ও তাঁর রসুলে (সা.) পরিপূর্ণ বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু সে বিশ্বাস ছিল ব্যক্তিগতভাবে, জাতিগতভাবে নয়। কারণ জাতিগতভাবে তাদের রাজনৈতিক আর্থ সামাজিক ও শিক্ষাব্যবস্থা তো তখন ইউরোপীয়ান খ্রিস্টানদের হাতে এবং তারা ইসলামী ব্যবস্থা বদলে নিজেদের তৈরি ব্যবস্থা এই জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছে। জাতীয় জীবন থেকে আল্লাহর দেয়া রাজনৈতিক, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা কেটে ফেলে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে তা বজায় রাখলে আল্লাহর চোখে মুসলিম বা মুমিন থাকা যায় কিনা এ প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর হচ্ছে- না, থাকা যায় না। কোর’আনে আল্লাহ বলেছেন- তোমরা কি কোর’আনের কিছু অংশ বিশ্বাস কর, আর কিছু অংশ বিশ্বাস কর না? যারা তা করে (অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ সমূহের এক অংশ বিশ্বাস করে না বা তার উপর আমল করে না) তাদের প্রতিফল হচ্ছে এই পৃথিবীতে অপমান, লাঞ্ছনা এবং কেয়ামতের দিনে কঠিন শাস্তি। তোমরা কী করছ সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখেয়াল নন (সুরা আল বাকারা ৮৫)। লক্ষ্য করুন, আল্লাহ পরিষ্কার ভাষায় কী বলেছেন। তাঁর আদেশ নিষেধগুলির কতকগুলি মেনে নেয়া আর কতকগুলিকে না মানার অর্থ আল্লাহকে আংশিকভাবে মানা অর্থাৎ শেরক। তারপর বলছেন এর প্রতিফল শুধু পরকালেই হবে না এই দুনিয়াতেও হবে আর তা হবে অপমান ও হীনতা। আল্লাহ মুমিনদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন উভয় দুনিয়াতে অন্য সবার উপর স্থান ও সম্মান। এ প্রতিশ্র“তি তাঁর কোর’আনের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এখন যদি এই লোকগুলিকে তিনি বলেন, তোমাদের জন্য এই দুনিয়াতে অপমান ও কেয়ামতে কঠিন শাস্তি, শব্দ ব্যবহার করেছেন ‘শাদীদ’ ভয়ংকর তবে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই মুমিন বলে স্বীকার করছেন না। যদিও তাদের ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহর আইন-কানুন (শরীয়াহ) তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলেন।
আল্লাহ কোর’আনে আরো বলেছেন- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সম্পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও (কোর’আন, সুরা বাকারা- ২০৮)। আকিদা বিকৃতি হয়ে যাওয়ার ফলে আজ আল্লাহর এই আদেশের অর্থ করা হয় এই যে, ইসলামের খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলি পালন কর। আসলে এই আয়াতে আল্লাহ মুমিনদের অর্থাৎ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে তাদের বললেন যে, ইসলামকে অর্থাৎ আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানকে সম্পূর্ণ ও পূর্ণভাবে গ্রহণ কর এর কোনো একটা অংশকে নয়। ব্যক্তিগত অংশকে বাদ দিয়ে শুধু জাতীয়, রাষ্ট্রীয় অংশটুকু নয়; কিম্বা জাতীয় অংশকে বাদ দিয়ে শুধু ব্যক্তিগত অংশটুকুও নয়। ঐ কথার পরই তিনি বলছেন- এবং শয়তানের কথামত চলো না। অর্থাৎ ঐ আংশিকভাবে ইসলামে প্রবেশ করলে তা শয়তানের অনুসরণ করা হবে, শয়তানের কথামত চলা হবে। শয়তান তা-ই চায়, কারণ আংশিকভাবে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে আল্লাহর আইন, বিধান প্রতিষ্ঠা না করে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে তা মেনে চললে সুবিচার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না এবং অন্যায়, অশান্তি ও রক্তপাত চলতেই থাকবে। যেমন আজ শুধু পৃথিবীতে নয়, মুসলিম নামের এই জাতিতেও নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ও অন্যান্য খুঁটিনাটি পূর্ণভাবে পালন করা সত্ত্বেও পৃথিবীতে অশান্তির জয়জয়কার, বইছে রক্তের বন্যা। সুতরাং এই জাতি (উম্মাহ) যখন ইউরোপীয়ানদের কাছে যুদ্ধে হেরে যেয়ে তাদের দাসে পরিণত হলো এবং তাদের রাজনৈতিক, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা যখন তাদের বিদেশী প্রভুরা পরিবর্তন করে তাদের নিজেদের তৈরি ব্যবস্থা প্রবর্তন করল, তখন এই জাতি কি আর মুসলিম রইল?
ইউরোপীয়ান খ্রিস্টানদের দাসে পরিণত হবার পরও এ জাতির চোখ খুলল না। মনে এ চিন্তাও এল না যে, একি? আমার তো অন্য জাতির গোলাম হবার কথা নয়। আল্লাহর প্রতিশ্র“তি তো এর উল্টো, আমাকেই তো পৃথিবীর সমস্ত জাতির উপর প্রাধান্য দেবার প্রতিশ্র“তি তিনি দিয়েছিলেন (সুরা নুর ৫৫)। আমরা যখন মুষ্টিমেয় ছিলাম তখন তো আমাদের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে নি। ঐ মুষ্টিমেয় যোদ্ধার কারণে আমরা পৃথিবীর একটা বিরাট অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলাম। কিন্তু কোথায় কী হলো? সেই মুষ্টিমেয়র কাছে পরাজিত শত্র“ আজ আমাদের জীবন বিধাতা। এসব চিন্তা এ জাতির মনে এল না কারণ কয়েক শতাব্দী আগেই তাদের আকিদা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। কোর’আন হাদিসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে পণ্ডিতরা এ জাতির এক অংশের আকিদা এই করে দিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগতভাবে খুঁটিনাটি শরীয়াহ পালন করে চললেই “ধর্ম পালন” করা হয় এবং পরকালে জান্নাত লাভ হবে। অন্যদিকে ভারসাম্যহীন বিকৃত তাসাওয়াফ অনুশীলনকারীরা জাতির অন্য অংশের আকিদা এই করে দিয়েছিলেন যে, দুনিয়াবিমুখ হয়ে নির্জনতা অবলম্বন করে ব্যক্তিগতভাবে আত্মার ঘষামাজা করে পবিত্র হলেই “ধর্ম পালন” করা হয় ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। জাতীয় জীবন কোন্ োআইনে চলছে, কার তৈরি দণ্ডবিধিতে (Penal code) আদালতে শাস্তি হচ্ছে তা দেখবার দরকার নেই। এই আকিদা (Attitude, Concept) দৃষ্টিভঙ্গি যে বিশ্বনবীর (সা.) শিক্ষার বিপরীত তা উপলব্ধি করার শক্তি তখন আর এ জাতির ছিল না। কারণ ফতোয়াবাজীর জ্ঞানই যে একমাত্র জ্ঞান, পৃথিবীর অন্যান্য কোনো জ্ঞানের প্রয়োজন নেই, পণ্ডিতদের এই শিক্ষার ও ফতোয়ার ফলে এই জাতি একটি মুর্খ জাতিতে পর্যবসিত হয়ে গিয়েছিল, দৃষ্টি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্থানে স্থানে কিছু সংখ্যক লোক বাদে সমস্ত জাতিটাই এই অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বসে ভারবাহী পশুর মতো ইউরোপীয়ান প্রভুদের পদসেবা করল কয়েক শতাব্দী ধরে। এই কয়েক শতাব্দীর দাসত্বের সময়ে এই জাতির একটি বড় অংশ অকৃত্রিম হৃদয়ে তার খ্রিস্টান প্রভুদের সেবা করেছে। প্রভুরা যখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে তখন এরা যার যার প্রভুর পক্ষ নিয়ে লড়েছে ও প্রাণ দিয়েছে। যে মহামূল্যবান প্রাণ শুধুমাত্র পৃথিবীতে শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে উৎসর্গ করার কথা সে প্রাণ এরা দিয়েছে ইউরোপীয়ান খ্রিস্টান প্রভুদের সাম্রাজ্য বিস্তারের যুদ্ধে, প্রভুদের নিজেদের মধ্যে মারামারিতে।

সকল নবী-রসুল যে বালাগ দিয়েছেন

সকল নবী-রসুল যে বালাগ দিয়েছেন
রিয়াদুল হাসান:
আল্লাহ আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত যত নবী ও রসুল পৃথিবীর বিভিন্ন মানব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি একটি অভিন্ন দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা হলো বালাগ। নবী ও রসুলগণ প্রত্যেকে তাঁদের স্ব স্ব সম্প্রদায়কে বলেছেন, “আমাদের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টভাবে সংবাদ পৌঁছে দেয়া” (সুরা ইয়াসীন ১৭)। এখানে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করেছেন “বালাগুল মুবিন” যার অর্থ সুস্পষ্টভাবে পৌঁছানো। সুতরাং আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো কিছুর সংবাদ পরিষ্কারভাবে পৌঁছে দেওয়াই ছিল নবী-রসুলদের একমাত্র কাজ, কে সেটা গ্রহণ করবে আর কে প্রত্যাখ্যান করবে সেটা তাদের বিবেচ্য বিষয় নয়, সেটা আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।
ইসলামের বালাগ কাদের প্রতি:
মক্কার ১৩ বছরের জীবনে রসুলাল্লাহ ও তাঁর সঙ্গীরা কাফের মুশরিকদেরকে সালাহ, সওম ইত্যাদি কোনো আমলের দিকে আহ্বান করেন নি, তাঁরা আহ্বান করেছেন কেবল কলেমার দিকে, তওহীদের দিকে। অনেকে মনে করেন মক্কার সেই কাফেরদের আল্লাহর প্রতি এবং আল্লাহর একত্বের প্রতি ঈমান ছিল না। এ ধারণাটি সঠিক নয়। সেই মুশরিকরাও আল্লাহর একত্বে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত, কিন্তু তারা আল্লাহর হুকুম, বিধান মানতো না অর্থাৎ তারা আল্লাহর আনুগত্য করত না। তখনকার আরবরা বিশ্বাস করত যে তারা আল্লাহর নবী ইব্রাহিমের (আ.) উম্মাহ। তারা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা বলে, পালনকারী বলে বিশ্বাস করত, নামাজ পড়ত, কাবা শরীফকে আল্লাহর ঘর বলে বিশ্বাস করত, ঐ কাবাকে কেন্দ্র করে বাৎসরিক হজ্ব করত, কোরবানি করত, রোজা রাখত, আল্লাহর নামে কসম করত, এমনকি খাৎনাও করত। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় দলিল, বিয়ে শাদীর কাবিন ইত্যাদি সমস্ত কিছু লেখার আগে আমরা যেমন ‘বিসমিল্লাহ’ লেখি তেমনি তারাও আল্লাহর নাম লিখত। আরবের মুশরিকরা যে আমাদের মতোই আল্লাহয় বিশ্বাসী ছিল এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ। কোর’আনে তিনি তাঁর রসুলকে বলছেন- তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা করো, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছেন? তবে তারা অবশ্যই জবাব দেবে- সেই সর্বশক্তিমান, মহাজ্ঞানী (আল্লাহ) (সুরা যুখরুফ- ৯)। অন্যত্র বলেছেন- তুমি যদি তাদের প্রশ্ন করো আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছেন এবং কে সূর্য ও চন্দ্রকে তাদের (কর্তব্য কাজে) নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণ করছেন, তবে তারা নিশ্চয়ই জবাব দেবে- আল্লাহ (সুরা আনকাবুত- ৬১)।
এমন আরও অনেকগুলি আয়াত এবং ইতিহাস থেকে দেখা যায় সেই মুশরিকদের আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্বের ওপর ঈমান ছিল। তারা মূর্তিপূজা করত ঠিকই কিন্তু ওগুলোকে তারা স্রষ্টা বলে মানতো না। তারা বিশ্বাস করত যে ঐ দেব-দেবীকে মানলে, ওগুলোর পূজা করলে তাদের জন্য ঐ দেব-দেবীরা আল্লাহর কাছেই সুপারিশ করবে (সুরা ইউনুস- ১৮, সুরা যুমার ৩)। এত ঈমান সত্ত্বেও তারা কাফের ছিল কারণ তারা তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সামষ্টিক জীবন নিজেদের মনগড়া নিয়ম-কানুন দিয়ে পরিচালনা করত। যেহেতু তারা আল্লাহর প্রদত্ত হুকুম মানতো না, তাই তাদের ঐ ঈমান ছিল অর্থহীন, নিষ্ফল এবং স্বভাবতই আল্লাহর হুকুম না মানার পরিণতিতে তাদের সমাজ অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, নিরাপত্তাহীনতা, সংঘর্ষ ও রক্তপাতে পরিপূর্ণ ছিল। ঠিক আজকেও আল্লাহর প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস থাকলেও আল্লাহর হুকুম, আইন, বিধান অমান্য করার ফলে আমাদের সমসাময়িক পৃথিবীও চরম অন্যায় ও অশান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
একইভাবে বর্তমানে ‘মুসলিম’ বলে পরিচিত জনসংখ্যাটি তদানীন্তন আরবের মানুষের মতোই আল্লাহকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, তাকে স্রষ্টা বলে, জীবন-মরণের প্রভু বলে মানে, কিন্তু আরবের ঐ মুশরিকদের মতোই তাঁর দেয়া দীন, জীবন-বিধান মোতাবেক সমষ্টিগত, জাতীয় জীবন পরিচালনা করে না। আরবের মুশরিকরা দেব-দেবীর পুরোহিতদের দেয়া বিধান অনুযায়ী তাদের জাতীয় জীবন পরিচালনা করত, বর্তমানের মুসলিম দুনিয়া নতুন দেব-দেবী গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম-নিরপেক্ষতা, রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের পুরোহিত পাশ্চাত্যদের তৈরি করা জীবন-বিধান অনুযায়ী তাদের জাতীয় জীবন পরিচালনা করছে। তফাৎ শুধু এইটুকু যে আরবদের হাবল, লা’ত, মানাতের মূর্তিগুলি ছিল কাঠ এবং পাথর দিয়ে তৈরি, বর্তমানের মূর্তিগুলি কাঠ পাথরের নয়, তন্ত্রের মূর্তি। বরং এই তন্ত্রের মূর্তিগুলোর পূজা ঐ কাঠ পাথরের মূর্তিপূজার চেয়েও বড় র্শেক ও কুফর। তাহলে বিশ্বনবী যাদের মধ্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন আরবের সেই আল্লাহয় বিশ্বাসী অথচ মুশরিক কাফেরদের সঙ্গে বর্তমানের আল্লাহয় বিশ্বাসী এই ‘মুসলিম’ জনসংখ্যার তফাৎ কোথায়? এজন্যই আল্লাহর রসুল মক্কার ঐ আল্লাহ-বিশ্বাসী কাফের মুশরিকদেরকে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অর্থাৎ তওহীদের বালাগ দিয়েছিলেন, আর বর্তমানের এই মুসলিম নামধারী জাতিটিকেও এখন তওহীদের বালাগ তথা কলেমার বালাগ দিতে হবে।
তওহীদের বালাগ চিরন্তন:
আল্লাহ শেষ রসুলকে (সা.) বলছেন, ‘আপনার পূর্বে আমি যে রসুলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ (সার্বভৌমত্বের মালিক বা হুকুমদাতা) নেই (সুরা আম্বিয়া ২৫)। অর্থাৎ সকল নবী ও রসুলগণের বালাগ ছিল ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র প্রতি অর্থাৎ তওহীদের প্রতি। আল্লাহ ছাড়া জগতের সকল বিধানদাতা, হুকুমদাতা, সার্বভৌম অস্তিত্বকে অস্বীকার করাই হচ্ছে তওহীদ, এটাই এই দীনের ভিত্তি। সংক্ষেপে এর মর্মার্থ হচ্ছে আমি জীবনের প্রতিটি বিষয়ে যেখানেই আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কোনো বক্তব্য আছে সেটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি যে বিভাগেই হোক না কেন, সেই ব্যাপারে আমি আর কারও নির্দেশ মানি না। যে বিষয়ে আল্লাহ অথবা তাঁর রসুলের কোনো বক্তব্য নেই সে বিষয়ে আমরা স্বাধীনভাবে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। বর্তমান দুনিয়ার কোথাও এই তওহীদ নেই, সর্বত্র আল্লাহকে কেবল উপাস্য বা মা’বুদ হিসাবে মানা হচ্ছে, কিন্তু ইলাহ বা সার্বভৌমত্বের আসনে আল্লাহ নেই। মানুষ নিজেই এখন নিজের জীবনব্যবস্থা তৈরি করে সেই মোতাবেক জীবন চালাচ্ছে, মানুষ নিজেই এখন ইলাহ অর্থাৎ বিধাতার আসনে আসীন। আজ মানুষের তৈরি জীবন-ব্যবস্থাগুলিকেই (দীন) মানবজীবনের সকল সমস্যার যুগোপযোগী সমাধান হিসাবে মনে করা হচ্ছে যদিও সেগুলির সবই মানুষকে শান্তি দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। বর্তমান দুনিয়ার সীমাহীন মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত, অনাচারই এই ব্যবস্থাগুলির ব্যর্থতার যথেষ্ট প্রমাণ।
সূর্য যখন উদিত হয় কোনোকিছু দিয়েই তার আলোকে আড়াল করে রাখা যায় না, তেমনি আল্লাহর প্রকৃত ইসলাম, সত্যদীনকেও ঢেকে রাখা যাবে না, এর আলো উদ্ভাসিত হবেই হবে। সত্যসন্ধানী মানুষেরা এখন আল্লাহর দয়ায় একটু একটু করে বুঝতে পারছেন যে তওহীদের এই বালাগ আল্লাহর রসুলের সেই সত্যদীনের বালাগ যা মানবজাতিকে অন্যায়-অশান্তি থেকে মুক্ত করে শান্তির জীবন উপহার দেবে।
কলেমার বাণীকে কেবল যেকেরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে মেনে নিয়ে মানবজাতির মধ্য থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়-অশান্তি, অবিচার লুপ্ত করে পৃথিবীকে একটি শান্তিময় জান্নাতের বাগানে পরিণত করার সময় এখনই।

আকিদা সঠিক না হলে ঈমান অর্থহীন

আকিদা সঠিক না হলে ঈমান অর্থহীন

রিয়াদুল হাসান:
এ বিষয়ে সমস্ত আলেম ও ফকিহগণ একমত যে, আকিদা সঠিক না হলে ঈমানের কোনো দাম নেই। যে জিনিসটি সঠিক না হলে ঈমানের কোনো দাম নেই- সেই জিনিসটি অবশ্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাতসহ সকল ইবাদতের মূল হচ্ছে ঈমান। কিসের ওপর ঈমান? আল্লাহর, তাঁর রসুলদের, মালায়েকদের, হাশরের দিনের বিচারের, জান্নাত, জাহান্নাম, তকদীর ইত্যাদির ওপর ঈমান। এই ঈমান অর্থহীন হয়ে গেলে স্বভাবতঃই এই নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত এবং অন্যান্য সমস্ত রকমের ইবাদতও অর্থহীন। যে জিনিস সঠিক না হলে ঈমান এবং ঈমান ভিত্তিক সমস্ত ইবাদত অর্থহীন সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ আকিদা কী?
আকিদা হচ্ছে কোনো জিনিস বা ব্যাপার সম্বন্ধে সঠিক ও সম্যক ধারণা অর্থাৎ Comprehensive concept। কোনো জিনিস বা ব্যাপার, তা সে যে কোনো জিনিস হোক না কেন, সেটা দিয়ে কি হয়, সেটার উদ্দেশ্য কী সে সম্বন্ধে সম্যক ধারণা বা Comprehensive concept হচ্ছে আকিদা। যে কোনো জিনিস বা ব্যাপার সম্বন্ধে এই ধারণা পূর্ণ ও সঠিক না হলে সেই জিনিসটি অর্থহীন। আল্লাহ তাঁর রসুলদের (আ.) মাধ্যমে মানবজাতিকে দীন অর্থাৎ জীবন-ব্যবস্থা দিয়েছেন। তিনি কি কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই এই দীন দিয়েছেন? অবশ্যই নয়। নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য আছে। যদি আমরা সেই উদ্দেশ্য না বুঝি বা যদি সেই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ভুল ধারণা করি, তবে ঐ দীন অর্থহীন হয়ে যাবে। এ জন্যই ফকিহরা, ইমামরা সকলেই একমত যে আকিদা অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ধারণা সঠিক না হলে ঈমান ও সমস্ত ইবাদত নিষ্ফল।
একটি উদাহরণ দিচ্ছি। কেউ আপনাকে একটি মটর গাড়ি উপহার দিলেন। মনে করুন এই মটর গাড়িটি ইসলাম- আল্লাহ মানব জাতিকে যা উপহার দিয়েছেন। যিনি গাড়িটি উপহার দিলেন তিনি ঐ সঙ্গে গাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ কেমন করে করতে হবে সেই নিয়মাবলীর একটি বইও দিলেন, যাকে বলা হয় Maintenance Book। মনে করুন এই বই কোর’আন ও সহীহ হাদিস। গাড়ির উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে ওটাতে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া। এটাই হচ্ছে গাড়িটির আসল উদ্দেশ্য। ওটাকে তৈরিই করা হয়েছে ঐ উদ্দেশ্যে। কিন্তু ঐ সঙ্গে আরামে বসার জন্য তার ভিতরে গদীর আসন তৈরি করা হয়েছে, খবর, সঙ্গীত শোনার জন্য রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার লাগান হয়েছে, গাড়িটিকে সুন্দর দেখাবার জন্য চকচকে রং করা হয়েছে। গাড়িটির সঙ্গে যে Maintenance বই আপনাকে দেয়া হয়েছে তাতে বলা আছে গাড়িটিতে কোন্ ধরনের পেট্রোল দিতে হবে, কত নম্বর মবিল দিতে হবে। কোথায় কোথায় চর্বি (Grease) দিতে হবে ইত্যাদি। শুধু তাই নয় দেখতেও যেন গাড়িটি সুন্দর হয় সেজন্য কোথাও রং খারাপ হয়ে গেলে কেমন রং কেমন ভাবে লাগালে গাড়ি সুন্দর দেখাবে তাও সব কিছু আছে। ঐ Maintenance বইয়ে এত সব কিছু লেখা থাকলেও মূল সত্য হচ্ছে এই যে ঐ গাড়ি তৈরির উদ্দেশ্য যে ওটা আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় গন্তব্যস্থানে নিয়ে যাবে। বাকি সব ঐ উদ্দেশ্যের পরিপূরক। এখন আপনি যদি না জানেন ঐ গাড়িটি দিয়ে কী হয়, ওটাকে কী উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে তবে আপনাকে ঐ গাড়িটি উপহার দেয়া নিষ্ফল, অর্থহীন। ঐ গাড়িটির উদ্দেশ্য আপনাকে প্রয়োজন মোতাবেক ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর নিয়ে যাওয়া। আপনি যদি সেটাই না বোঝেন তবে আপনি কী করবেন? আরামের গদি দেখে ভাববেন এই গাড়িটিকে তৈরি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই গদিতে বসে আরাম করা। কিম্বা ভাববেন এটা তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিও শোনা, ক্যাসেটে সঙ্গীত শোনা। আর তাই মনে করে আপনি গাড়িটির আরামের সিটে বসে রেডিও, ক্যাসেট বাজাবেন।
এই হলে আপনার আকিদার ভুল হলো। আপনাকে গাড়িটি উপহার দেয়া অর্থহীন হলো কারণ ওটার আসল উদ্দেশ্যই আপনি বুঝলেন না। আপনি যদি গাড়ির Maintenance বই দেখে দেখে অতি সতর্কতার সাথে যথাস্থানে চর্বি লাগান, মবিল দেন, চাকায় পাম্প দেন, গাড়ির ট্যাংকে তেল দেন, গাড়ির রং পালিশ করেন, তবুও সবই অর্থহীন যদি আপনি না জানেন যে গাড়িটির আসল উদ্দেশ্য কী। অর্থহীনতা ছাড়াও আরও একটি ব্যাপার হবে। সেটা হলো আপনার অগ্রাধিকারের (Priority) ধারণাও ভুল হয়ে যাবে। তখন আপনার কাছে গাড়ির ইঞ্জিনের চেয়েও প্রয়োজনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে গাড়ির রেডিও, ক্যাসেট, গাড়ির রং ইত্যাদি। অর্থাৎ অগ্রাধিকার ওলট-পালট হয়ে গিয়ে অতি প্রয়োজনীয় ব্যাপার হয়ে যাবে অতি সামান্য বা একেবারে বাদ যাবে আর অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে মহা প্রয়োজনীয়। এ জন্যই সমস্ত আলেম, ফকিহ, ইমামরা একমত হয়েই বলেছেন যে আকিদা অর্থাৎ কোনো ব্যাপার বা জিনিস সম্বন্ধে পূর্ণ ধারণা না হলে বা ওটার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ভুল ধারণা হলে সম্পুর্ণ জিনিসটাই অর্থহীন- ঈমান এবং অন্যান্য ইবাদতও অর্থহীন।
আল্লাহ আমাদের ইসলাম বলে যে দীন, জীবন-বিধান দিয়েছেন সেটার উদ্দেশ্য কী, সেই আকিদা আমাদের বহু পূর্বেই বিকৃত হয়ে ঐ গাড়ির মালিকের মতো হয়ে গেছে- যে গাড়ির উদ্দেশ্যই জানে না। ঐ মালিকের মতো আমরা Maintenance বই, অর্থাৎ কোর’আন-হাদিস দেখে দেখে অতি সতর্কতার সাথে গাড়ির পরিচর্যা করছি- কিন্তু ওটাতে চড়ি না, ওটা চালিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় গন্তব্যস্থানে যাই না, গ্যারেজে রেখে দিয়েছি- কারণ ওটার আসল উদ্দেশ্যই আমরা জানি না বা যেটা মনে করি তা ভুল বা বিকৃত। কাজেই আমাদের অগ্রাধিকারও (Priority) ওলট-পালট হয়ে গেছে। প্রকৃত উদ্দেশ্যই অর্থাৎ তওহীদ ও তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমরা ত্যাগ করেছি, কিন্তু গাড়ির রং, পালিশ, অর্থাৎ দাড়ি, টুপি, পাগড়ী, আলখাল্লা সম্বন্ধে আমরা অতি সতর্ক। আকিদার বিকৃতি ও তার ফলে অগ্রাধিকারের ওলট-পালটের পরিণাম এই হয়েছে যে আল্লাহ আমাদের ত্যাগ করেছেন, আমরা তাঁর গযবের ও লানতের পাত্রে পরিণত হয়েছি। আমরা আজ পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাতিতে পরিণত হয়েছি। অন্য সমস্ত জাতি, পৃথিবীর সর্বত্র আমাদের গণহত্যা করছে, আমাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে, আমাদের পর্দানশিন মা-বোনদের ধর্ষণ করছে, হাজারে হাজারে আমাদের মসজিদ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

রাজনীতি ও ধর্মের বিনিময়ে অর্থোপার্জন অশান্তির মূল কারণ

রাজনীতি ও ধর্মের বিনিময়ে অর্থোপার্জন অশান্তির মূল কারণ

মো: আলী হোসেন :

পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে মানুষের যত সংঘাত সবকিছুর পেছনে স্বার্থের দ্বন্দ্বই একমাত্র কারণ। রাজনীতিকরা বলে থাকেন যে তারা দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, কিন্তু বাস্তবে আমরা তার উল্টো চিত্রই দেখি। আমরা দেখি রাজনীতিকরাই দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে ক্ষমতা ও অর্থের লোভে রাজনীতি করেন। মানুষ এ রাজনীতিকে ঘৃণা করে, রাজনীতিকদের প্রতি তারা আল্লাহর গজব কামনা করে, তারা দিনরাত এ রাজনীতিকদেরকে অভিশাপ দেয়। আমরা আর এ রাজনীতি চাই না। আমরা চাই এমন রাজনীতি যার উদ্দেশ্য হবে শুধুই মানবকল্যাণ, দেশের কল্যাণ এবং সেটা কথা নয় – কাজে।
আমরা মনে করি, চলমান এ সংকট নিরসনের জন্য এবং ভবিষ্যতেও এমন সংকটের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য রাজনীতির অঙ্গনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
১. রাজনীতিকরা রাজনীতি করে একটি টাকাও গ্রহণ করবেন না, তিনি সরকারি বা বিরোধী দল যেখানেই থাকুন না কেন। মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত কেউ কোনো বেতন, ভাতা, গাড়ি, বাড়ি, মোবাইল বিল পর্যন্ত রাষ্ট্রের একটি টাকাও গ্রহণ করবেন না। আল্লাহ তাদেরকে কম দেন নি। এক কথায় তারা নিজের খরচে রাজনীতি করবেন, গাড়িতে চড়লে নিজের গাড়িতে চড়বেন, সামর্থ্য না থাকলে পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবেন, নিজের ঘরে ঘুমাবেন, নিজের বৈধ উপায়ে অর্জিত খাদ্য খাবেন।
২. রাজনীতির মত ধর্মের কাজ করেও কেউ কোনো অর্থ গ্রহণ করবেন না। কারণ আল্লাহ তা হারাম করেছেন। ধর্মের বিনিময় নিলে সেটা বিকৃত হয়, ফলে ধর্মের নামে অর্ধম প্রচলিত হয়। ধর্ম মানুষের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণে বেশি ব্যবহৃত হয়। ধর্ম দ্বারা স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্যই ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ পায় যার পরিণামে সৃষ্টি হয় সহিংসতা ও বিদ্বেষ। ষোল কোটি বাঙালি এই দুটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজের চলমান সংকটসহ অধিকাংশ অন্যায় ও অশান্তি দূরীভূত হবে, এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। এবং আমরা এও বিশ্বাস করি, এ জাতির মধ্যে নিঃস্বার্থ অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে আল্লাহ যথেষ্ট অর্থ-সম্পদ, শারীরিক যোগ্যতা, মেধা ও মননশীলতা দিয়েছেন কিন্তু রাজনীতির অঙ্গন মিথ্যা দিয়ে অপবিত্র হয়ে যাওয়ায় তারা এখানে আসতে চান না। রাজনীতি স্বার্থমুক্ত হলে অবশ্যই ভালো মানুষেরা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাবেন, স্বার্থবাদী রাজনীতিকরাও সংশোধিত হবেন।
লেখক: আমীর, হেযবুত তওহীদ, ঢাকা মহানগরী।

দাজ্জালকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার বা অবজ্ঞা করার উপায় নেই।

""দাজ্জালকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার বা অবজ্ঞা করার উপায় নেই। ""


আল্লাহর রসুল বোলেছেন-আদমের সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত এমন কোন বিষয় বা ঘটনা হবে না, যা দাজ্জালের চেয়ে গুরুতর ও সংকটজনক। তিনি এ কথাও বোলেছেন যে- নুহ (আঃ) থেকে নিয়ে কোন নবীই বাদ যান নি যিনি তার উম্মাকে দাজ্জাল সমন্ধে সতর্ক করেন নি। শুধু তাই নয়, আল্লাহর নবী নিজে দাজ্জালের সংকট (ফেতনা) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন ।
চিন্তা করার বিষয় হোচেছ, যে ব্যাপারটা মানবজাতির সৃষ্টি থেকে নিয়ে ধবংস পর্যন্ত যা কিছু ঘোটবে সে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়, গুরুতপুর্ণ, যে বিষয় সমন্ধে নুহ (আঃ) ও তার পরবর্তী প্রত্যেক নবী তার জাতিকে সতর্ক কোরে গেছেন এবং যা থেকে শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীও আল্লাহর কাছে আশ্রয় (পানাহ্) চেয়েছেন সেটা কতখানি গুরুতপুর্ণ, বিরাট ( হাদীসে রসুল (দঃ) "আকবর" শব্দ ব্যবহার কোরেছেন) এবং আমরা সে সমন্ধে কতটুকু সজাগ ও সচেতন ? বাস্তব অবস্থা এই যে আমরা মোটেই সজাগ নই এবং নই বোলেই আমরা বুঝছিনা যে ৪৭৬ বছর আগেই দাজ্জালের জন্ম হোয়েছে এবং সে তার শৈশব, কৈশোর পার হোয়ে বর্তমানে যৌবনে আছে এবং এও বুঝছিনা যে সমস্ত পৃথিবীসহ আমরা মোসলেমরাও দাজ্জালকে রব, প্রভু বোলে সীকার কোরে নিয়েছি ও তার পায়ে সাজদায় পোড়ে আছি।

প্রকৃত দীন থেকে বিচ্যুত হবার শাস্তি হিসাবে আল্লাহ এই জাতিকে (যেটা নিজেদের মোসলেম বোলে পরিচয় দেয় ও নিজেদের মোসলেম বোলে বিশাস করে) কয়েক শতাব্দীর জন্য ইউরোপের খৃষ্টান জাতিগুলির দাসে পরিণত কোরে দিয়েছিলেন এবং ঐ দাসত্বেরর সময়ে প্রভুদের প্রবর্তিত শিক্ষার ফলে প্রকৃত দীন থেকে বিচ্ছিন্ন হোয়ে আছে। কাজেই দাজ্জাল সমন্ধে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। এরা আব্রাহাম লিংকনের কয়টা দাঁত ছিলো তা জানেন, শেক্সপিয়ের থেকে অনর্গল আবৃর্তি কোরতে পারেন, কিন্তু আল্লাহর রসুল যে মানবজাতির জীবনে দাজ্জাল নামে এক মহাবিপদ আবির্ভূত হবার ভবিষৎবাণী কোরে গিয়েছেন তা তাদের কাছে এক কৌতুকপূর্ণ সংবাদ । এই জাতির যে অংশটা কোরান-হাদীস পড়েন তারা ছাড়া দাজ্জাল সমন্ধে কেউ চিন্তা -ভাবনাও করেন না, কোন গুরুতও দেন না। ঐ যে অংশটা কোরান-হাদীস নাড়াচাড়া করেন সেই অংশও দাজ্জালকে নিয়ে মাথা ঘামান না, প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল কী তা বুঝতে চেষ্টা করেন না;কারন তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভংগী নিয়ে তারা অপেক্ষায় আছেন যে আখেরী যামানায় বিরাট এক ঘোড়ায় চড়ে এক চক্ষু বিশিষ্ট এক দানব পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে। যে হাদীসগুলিতে রসুলাল্লাহ দাজ্জাল সমন্ধে ভবিষৎবাণী কোরেছেন সেগুলির শাব্দিক অর্থকেই তারা গ্রহন কোরেছেন, তার বেশী আর তারা তলিয়ে দেখেননি বা দেখতে পারেন নি। যে ঘটনাটিকে আখেরী নবী আদম (আঃ) থেকে কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য সবচেয়ে গুরুতর ও সাংঘাতিক ঘটনা বোলে চিনহিত কোরেছেন সেই মহা-গুরুতপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তারা কোনও গভীর গবেষনা করেন নি। এই মহা-প্রয়োজনীয় ব্যাপারটাকে বোঝার জন্য যতটুকু শ্রম দিয়েছেন তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশী শ্রম ও সময় দিয়েছেন দাড়ি-মোছ, টুপি-পাগড়ি, পাজামা, মেসওয়াক, কুলুখ আর বিবি তালাকের মত তুচ্ছ ফতওয়ার বিশ্লেষণে।

হেযবুত তওহীদ

আগে মো’মেন হও পরে আমল করো

 আল্লাহর হুকুম, বিধান বাদ দেওয়ার কারণে এরা মো’মেনই না মোসলেমই না? এই সরল প্রশ্নের উত্তর কে দেবে যে, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোর’আনের হুকুম বাদ দিয়ে কী কোরে মোসলেম দাবি করা যায়? এ জাতি যে দিন থেকে পৃথিবীময় সত্যদীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়েছে অর্থাৎ রসুলাল্লাহর এন্তেকালের ৬০/৭০ বছর পর তখনই তাদেরকে আল্লাহ মো’মেন এর খাতা থেকে বাদ দিয়েছেন। অতঃপর অন্য জাতির (এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ জাতির) গোলাম হওয়ার পর মোসলেম থেকেই বহিষ্কার; তাদের তৈরি আইন-বিধান, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি অর্থাৎ এক কথায় জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করার পর চূড়ান্তরূপে কাফের, জালেম, ফাসেক হয়ে যায় (সুরা মায়েদা ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই এখন আগে আল্লাহর কলেমা, তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে মো’মেন হওয়া জরুরি। তারপরে যত পারা যায় ঐসব আমল। আজ দাঙ্গা, হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, আতঙ্ক, হত্যা, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি অর্থাৎ সর্বত্র এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ কোরছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সেই পশ্চিমা প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দেওয়া হোচ্ছে। একবারের জন্যও এ জাতি চিন্তা করে না যে, আমরা এই যে সংকটে পড়েছি এর মূল কারণ তো আল্লাহর শাস্তি, আল্লাহর লানৎ। আল্লাহ আমাদেরকে এই শাস্তি, অভিশাপ দেওয়ার কারণ: আমরা মুখে দাবি করি মুসলমান, আইন-বিধান, হুকুম মানি এবং অনুসরণ কোরি ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতা দাজ্জালের। এখন এই লানৎ, শাস্তি থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। সেই প্রকৃত, অনাবিল, শান্তিদায়ক, নিখুঁত, ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা কোথায় পাওয়া যাবে?

সেটা আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দান কোরেছেন। আজ সারা পৃথিবীতে যে এসলামটি চর্চা করা হোচ্ছে, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তবে, খানকায় যে এসলামটা শিক্ষা দেওয়া হোচ্ছে সেটা আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত এসলাম নয়। এই এসলাম ১৬০ কোটির এই জনসংখ্যাকে শান্তি দিতে পারে নি, অন্য জাতির গোলামি থেকে রক্ষাও কোরতে পারে নি। আমরা এমন এক এসলামের কথা বোলছি, যে এসলাম সমস্ত মানবজাতিকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারবে, সমস্ত মানবজাতিকে একটি পরিবারে পরিণত কোরবে, এনশা’আল্লাহ।

Friday, April 10, 2015

তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  




নিজস্ব প্রতিনিধি:
  ঢাকার তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘মানবতার কল্যাণে ধর্ম – শান্তির জন্য সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব তাফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আবদুর রসিদ, বিশিষ্ট অভিনেতা এ.টি.এম. শামসুজ্জামান, লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন, দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা রুফায়দাহ পন্নী, বৃহত্তর তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার শামীম হাসান, ফরিদুর রহমান খান (ইরান), ঢাকা মহানগর উত্তর বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক, কবি মোশারেফ হোসেন আলমগীর, সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ কৃষকলীগ-সহ রাজনীতিক, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল পথে প্রবাহিত করে স্বার্থান্বেষী একটি শ্রেণি ব্যক্তিগত ও রাজনীতিক স্বার্থ হাসিল করছে, ধর্মবিশ্বাসকে ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করছে। এর সমাধানকল্পে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র শক্তি প্রয়োগের পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগ করে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক আদর্শ যা মানবজাতির সামনে উপস্থাপন করছে হেযবুত তওহীদ। আমরা মনে করি, ধর্মের যাবতীয় অপব্যবহার থেকে সমাজকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ধর্মের নামে প্রচলিত অধর্মগুলোকে চিহ্নিত ও অপনোদন করা এবং ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে মানুষের ঈমানকে সঠিক পথে প্রবাহিত করে জাতির উন্নতি, অগ্রগতি ও কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা। এই আদর্শিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে ধর্মের বিকৃত ফতোয়া দিয়ে শিল্পসংস্কৃতিকেও একপ্রকার নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টা গান, বাদ্য, নাটক, চলচ্চিত্র প্রভৃতিকে নিষিদ্ধ করেন নি, তিনি নিষিদ্ধ করেছেন যাবতীয় অন্যায় ও অশ্লীলতা।’ অনুষ্ঠানের শুরুতে “ধর্মবিশ্বাস: একটি বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান” শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সমাপনান্তে তওহীদ সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীবৃন্দ কর্তৃক একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অতিথি শিল্পী হিসাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন।

আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই

আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই

আমরা পবিত্র কোরআনের সুরা আনআমের ১৪১ নম্বর আয়াতটি থেকে কৃষি-সংস্কৃতির দিবস উদ্যাপন প্রসঙ্গে আল্লাহর নীতিমালা জানতে পারিএ আয়াতে আল্লাহ বলছেন, তিনিই শস্যক্ষেত্র ও সবজি বাগান সৃষ্টি করেছেন, এবং সে সমস্ত (লতা জাতীয়) গাছ যা মাচার উপর তুলে দেয়া হয়, এবং যা মাচার উপর তোলা হয় না এবং খেজুর গাছ ও বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের খাদ্যশস্য এবং জলপাই জাতীয় ফল ও ডালিম সৃষ্টি করেছেন- যা একে অন্যের সাদৃশ্যশীল এবং সাদৃশ্যহীনএগুলোর ফল খাও, যখন তা খাওয়ার উপযোগী হয় এবং ফসল তোলার দিনে এগুলোর হক আদায় করোকিন্তু অপব্যয় করো নানিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন নাএ আয়াতে তিনটি শব্দ লক্ষণীয়, (ক) ফসল তোলার দিন, (খ) হক আদায় করা, (গ) অপচয় না করাকোরআনের প্রসিদ্ধ ইংরেজি অনুবাদগুলোতে (যেমন আল্লামা ইউসুফ আলী, মারমাডিউক পিকথল) ফসল তোলার দিনের অনুবাদ করা হয়েছে Harvest day. আয়াতটিতে আমরা কয়েকটি বিষয় পাচ্ছি:
১. কৃষক যা কিছু চাষ করে তা ফল বা ফসল যাই হোক, সেটা কাটার দিন (ইয়াওমুল হাসাদ) এর হক আদায় করতে হবেসেই হক হচ্ছে- এর একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসাব করে গরিব মানুষকে বিলিয়ে দিতে হবেফসলের এই বাধ্যতামূলক যাকাতকে বলা হয় ওশর
২. যেদিন নতুন ফসল কৃষকের ঘরে উঠবে সেদিন স্বভাবতই কৃষকের সীমাহীন আনন্দ হবেএই আনন্দের ভাগিদার হবে গরিবরাওকেননা তারা ফসলের অধিকার পেয়ে সন্তুষ্ট হবে, তাদের দারিদ্র্য ঘুঁচে যাবেকিন্তু আল্লাহ সাবধান করে দিলেন এই আনন্দের আতিশয্যে যেন কেউ অপচয় না করে
আমাদের দেশে ফসল কাটার দিনে আনন্দ করা হয়, বিভিন্ন ফসলের জন্য বিভিন্ন পার্বণ পালন করা হয়উপযুক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে দেখা গেল এই দিবসগুলোতে উল্লিখিত কাজগুলো করা ফরদযারা একে অস্বীকার করবে তারা আল্লাহর বিধানকেই অস্বীকার করল

বুলবুল আহাম্মেদ

Wednesday, April 8, 2015

আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই

আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই  

আমরা পবিত্র কোর’আনের সুরা আন’আমের ১৪১ নম্বর আয়াতটি থেকে কৃষি-সংস্কৃতির দিবস উদ্যাপন প্রসঙ্গে আল্লাহর নীতিমালা জানতে পারি। এ আয়াতে আল্লাহ বলছেন, তিনিই শস্যক্ষেত্
র ও সবজি বাগান সৃষ্টি করেছেন, এবং সে সমস্ত (লতা জাতীয়) গাছ যা মাচার উপর তুলে দেয়া হয়, এবং যা মাচার উপর তোলা হয় না এবং খেজুর গাছ ও বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের খাদ্যশস্য এবং জলপাই জাতীয় ফল ও ডালিম সৃষ্টি করেছেন- যা একে অন্যের সাদৃশ্যশীল এবং সাদৃশ্যহীন। এগুলোর ফল খাও, যখন তা খাওয়ার উপযোগী হয় এবং ফসল তোলার দিনে এগুলোর হক আদায় করো। কিন্তু অপব্যয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। এ আয়াতে তিনটি শব্দ লক্ষণীয়, (ক) ফসল তোলার দিন, (খ) হক আদায় করা, (গ) অপচয় না করা। কোর’আনের প্রসিদ্ধ ইংরেজি অনুবাদগুলোতে (যেমন আল্লামা ইউসুফ আলী, মারমাডিউক পিকথল) ফসল তোলার দিনের অনুবাদ করা হয়েছে Harvest day. আয়াতটিতে আমরা কয়েকটি বিষয় পাচ্ছি:
১. কৃষক যা কিছু চাষ করে তা ফল বা ফসল যাই হোক, সেটা কাটার দিন (ইয়াওমুল হাসাদ) এর হক আদায় করতে হবে। সেই হক হচ্ছে- এর একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসাব করে গরিব মানুষকে বিলিয়ে দিতে হবে। ফসলের এই বাধ্যতামূলক যাকাতকে বলা হয় ওশর।
২. যেদিন নতুন ফসল কৃষকের ঘরে উঠবে সেদিন স্বভাবতই কৃষকের সীমাহীন আনন্দ হবে। এই আনন্দের ভাগিদার হবে গরিবরাও। কেননা তারা ফসলের অধিকার পেয়ে সন্তুষ্ট হবে, তাদের দারিদ্র্য ঘুঁচে যাবে। কিন্তু আল্লাহ সাবধান করে দিলেন এই আনন্দের আতিশয্যে যেন কেউ অপচয় না করে।
আমাদের দেশে ফসল কাটার দিনে আনন্দ করা হয়, বিভিন্ন ফসলের জন্য বিভিন্ন পার্বণ পালন করা হয়। উপযুক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে দেখা গেল এই দিবসগুলোতে উল্লিখিত কাজগুলো করা ফরদ। যারা একে অস্বীকার করবে তারা আল্লাহর বিধানকেই অস্বীকার করল।

বুলবুল আহাম্মেদ

Tuesday, April 7, 2015

মানুষ হিসেবে আমার ধর্ম কি ???

অশুভ শক্তির কবল থেকে মানুষকে উদ্ধার করাই আমার ধর্ম -

মোহাম্মদ আসাদ আলী:
“আমি শাস্ত্র জানি, শ্র“তি জানি, মন্ত্র জানি, কেতাব জানি, বিধান জানি- তাই আমি ধর্মজ্ঞানী আলেম-পুরোহিত; সকলে আমার কাছে ধর্ম শিক্ষা করে। টুপি পরেছি, আলখেল্লা পরেছি, গেরুয়া বসন পরেছি, তিলক-চন্দন লাগিয়েছি, বুকে ডেভিডের স্টার ঝুলিয়েছি, গলায় ক্রুস ঝুলিয়েছি- তাই আমি ধার্মিক; সমাজ আমাকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। মন্দিরে ঢুকেছি, মসজিদে ঢুকেছি, গীর্জায় ঢুকেছি, প্যাগোডায় ঢুকেছি, প্রার্থনা-জিকির করেছি, উপাসনা করেছি, ঠাকুরকে দুধ কলা দিয়েছি- তাই আমি ধর্মভীরু, স্রষ্টাভক্ত। আমার প্রার্থনারত নিশ্চঞ্চল বদনে নাকি সকলে স্বর্গের ছাপ দেখতে পায়। আমি মক্কায় গিয়েছি, মদীনায় গিয়েছি, গয়ায় গিয়েছি, কাশিতে গিয়েছি, রোমে গিয়েছি, বেথেলহামে গিয়েছি- তাই আমি নির্মোহ, প্রভুভক্ত, ধার্মিক, সত্যনিষ্ঠ, দুনিয়াত্যাগী, সন্ন্যাসী। আমাকে খুশি করে, সন্তুষ্ট করে অন্যরা পরকালীন মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে ব্যস্ত। ধর্মভীরু মানুষ দলে দলে আমার শরণাপন্ন হয়, মস্তক নত করে সালাম-প্রণাম ঠুকে। মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-মাদ্রাসা-মক্তবে আমি তাদেরকে সকাল সন্ধ্যা কেতাব, শাস্ত্র, শ্র“তি, এক কথায় ধর্ম শিক্ষা দেই। আমার সারাটা দিন কাটে ঈশ্বর, আল্লাহ, ভগবান বা গডের উপাসনা-আরাধনায়। উপাসনালয় আমার কাছে স্বর্গসদৃশ। এই স্বর্গের বাইরে বেরিয়ে কোনোরকম দুনিয়াদারীতে জড়ানো আমার শোভা পায় না। দুনিয়ায় কতই না অশান্তি-অধর্ম! চারিদিকে শুধু নির্যাতন, বর্বরতা, গালাগালি, হত্যা, ধর্ষণ, বীভৎসতা, অন্যায়-অবিচার, যুদ্ধ-সংঘাত। এসবে জড়ালে ধর্মরক্ষা হয় না (!) আমি তো ধার্মিক। তাই চারদিকের অশান্তি-অধর্ম থেকে গা বাঁচিয়ে যত দূরে থাকা যায় ততই আমার মঙ্গল।”
এতদিন এই ছিল আমার ধর্ম, এই ছিল আমার বিশ্বাস। এতদিন আমি এরকমই একজন ধার্মিক ছিলাম। কিন্তু আজ আমি অন্য ধার্মিক। আজ আমি শিখেছি- মানুষের ধর্ম হচ্ছে তার মানবতা, মনুষ্যত্ব, পরোপকারিতা, অপরের দুঃখে দুঃখ অনুভব করা, অপরের সুখে আনন্দিত হওয়া, মানবতার কল্যাণে মানবজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নিজেকে নিয়োজিত করা। আমি বুঝেছি- যতক্ষণ আমি ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা ভেদ করে মানবকল্যাণে অবদান রাখতে না পারছি, মানবজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিতে না পারছি ততদিন নিজেকে ধার্মিক পরিচয় দেওয়ার অধিকার আমার নেই। ততদিন আমার ঐ নামাজ-রোজা, উপাসনা, এবাদত, প্রার্থনা, বেশ-ভূষা ইত্যাদির কোনোই মূল্য নেই। কী লাভ হচ্ছে ঐ প্রার্থনায়? কী লাভ হচ্ছে ঐ ব্যক্তিগত ধর্ম-কর্মে? এত এবাদত-উপাসনা কি মানুষকে শান্তি দিতে পেরেছে?
আমার মতো কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত উপাসনালয়ে যাচ্ছে, প্রার্থনা করছে, উপাসনা করছে, পূজা-যজ্ঞ অনুষ্ঠান করছে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও মানবতা মনুষ্যত্ব হারিয়ে আজ মানুষ জন্তু জানোয়ারে পরিণত হয়েছে। স্বার্থের প্রয়োজনে এরা করছে না এমন কোনো কাজ নেই। পাশবিকতায়, অমানবিকতায় এরা পশুকেও হার মানিয়েছে। আজ বাতাসে শুধুই নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অতিষ্ঠ, বেদনায় ভারাক্রান্ত মানুষের করুণ আর্তি প্রকম্পিত হচ্ছে। এমন কোনো শব্দ, কোনো বাক্য, কোনো ভাষা নেই যার দ্বারা মানবজাতির এই বীভৎস, পাশবিক চিত্র বর্ণনা করা যায়। যেখানে দুই বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিত হচ্ছে, দুধের শিশুকে মেরে মাটিচাপা দেওয়া হচ্ছে, ভাই ভাইকে, পিতা-পুত্রকে, পুত্র পিতাকে নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করছে, স্ত্রী স্বামীর গলায় ছুরি চালাচ্ছে, স্বামী স্ত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করছে, মা তার পেটের সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে; অন্যায়ভাবে মিথ্যা-বানোয়াট গল্প-কাহিনী বানিয়ে একটার পর একটা দেশ, জনপদ, নগর-বন্দর বোমা মেরে ধ্বংস করে বিরানভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে, মাটি-পানি-বাতাস দূষিত হচ্ছে, যখন কোটি কোটি বনী আদম সন্তান বোমার আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, ক্ষুধার তাড়নায় আফ্রিকার কোটি কোটি মানুষ জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত হচ্ছে, কচুরিপাতার নিচে জন্মপরিচয়হীন নবজাতকের নি®প্রাণ দেহ পঁচে গন্ধ ছড়াচ্ছে, বস্তাবন্দী লাশ ডাস্টবিনে পড়ে থাকছে, তখন আমার নামাজ-রোজা-পূজা-উপাসনার কী মূল্য থাকতে পারে? বস্তুত এই অরাজক পরিস্থিতিই প্রমাণ করছে যে, আমার ধর্ম শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে, এ ধর্ম প্রকৃত ধর্ম নয়, এটা মানবতাহীন লেবাসসর্বস্ব মেকি ধর্ম। এমতাবস্থায় আমার সর্বাপেক্ষা বড় ধর্ম হয়ে দাঁড়ায় এই বীভৎসতা থেকে সকলকে রক্ষা করা। এটা না করে আমি যতই উপাসনা-এবাদত করি, পূজা-প্রার্থনা করি, হজ্বে বা তীর্থে গমন করি, উপবাস বা রোজা রেখে শরীর শুকিয়ে ফেলি- স্রষ্টার সন্তুষ্টি আসবে না। সবই বৃথা যাবে। স্রষ্টা আমার উপাসনা-এবাদতের কাঙাল নন যে উপাসনা না করলে তাঁর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। বরং তিনি অমুখাপেক্ষী। আমি পূজা-উপাসনা করি বা না করি তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না। পূজার বেদিতে অর্পিত প্রসাদ তিনি ভক্ষণ করেন না। যজ্ঞে দেওয়া আহুতি তাঁর কোনো কাজে লাগে না। তিনি তো আনুষ্ঠানিকতার নির্দেশ দিয়েছেন আমারই কল্যাণের জন্য, আমার মধ্যে ত্যাগ¯প্রীহা, পরোপকারিতা, সহিষ্ণুতা ও মানবতাবোধ জাগ্রত রাখার জন্য। কাজেই আজ যখন মানুষের মধ্য থেকে ঐ মানবতাবোধ হারিয়ে গেছে, মানবজাতির ঐক্য ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে, মানুষরূপী নরপশুরা হীন থেকে হীনতর কর্মকাণ্ড করে চলেছে, স্বার্থের কাছে বিবেক পরাজিত হয়েছে তখন আমার প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায় সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, মানবকল্যাণে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে নিয়োজিত করা। এখন উপাসনালয়ের চার দেওয়ালের অভ্যন্তরে নিজেকে বন্দী করে রাখার সময় নয়। এখন সময় সকল প্রকার অন্তর্মুখিতা, স্থবিরতা, ভীরুতাকে পরাজিত করে সামনে এগিয়ে চলার, সমাজ পরিবর্তনে স্বীয় অবদান রাখার, নব বিপ্লবের মন্ত্রে মানুষকে উজ্জীবিত করার। এই তো ধর্ম! আমার প্রকৃত ধর্ম ।

বুলবুল আহাম্মেদ

ধর্মব্যবসায়ী কারা ???

ধর্মব্যবসায়ী কারা  ???







ধর্ম কোন পণ্য নয়, ধর্মীয় কাজ কোন পেশা নয়। ধর্মীয় কাজ মানুষ কোরবে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য, এর বিনিময়ও গ্রহণ কোরবে আল্লাহর কাছ থেকে। আল্লাহর সকল নবী-রসুল এই কথা ঘোষণা দিয়েছেন যে, আমি তোমাদের কাছে কোন বিনিময় চাই না, আমার বিনিময় আল্লাহর কাছে। সুতরাং তাঁদের উম্মতের জন্যও একই বিধান। কিন্তু তা না কোরে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বড় জনগোষ্ঠী কিছু ধর্মীয় জ্ঞান আয়ত্ব কোরে সেটাকে পুঁজি কোরে অর্থ উপার্জন থেকে শুরু কোরে বিভিন্ন পার্থিব স্বার্থ হাসিল কোরে থাকে। এই পার্থিব স্বার্থের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতাও আসে, মিলাদ পড়িয়ে, নামাজ পড়িয়ে টাকা নেওয়াও আসে, ভক্ত মুরিদকে আল্লাহর সান্নিধ্য এনে দেওয়ার নাম কোরে উপঢৌকন নেওয়াও আসে। যখনই এসব পার্থিব স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে ধর্মকে ব্যবহার করা হয় তখনই ধর্মে প্রবেশ করে বিকৃতি। অনেক কিছুই তারা বাণিজ্যিক স্বার্থে অতিরঞ্জন করেন, নিজেদের স্বার্থ বিরোধী যা কিছু থাকে তা গোপন করেন। যেহেতু তাদের ধর্মীয় কিছু জ্ঞান থাকে তারা যা বলেন মানুষ সেটাকে আল্লাহ-রসুলের কথা বোলে গ্রহণ কোরে নেয়। তারা যখন কাউকে কাফের ফতোয়া দেয়, মানুষ তাকে ঘৃণা করে। এই ধর্মব্যবসায়ীরা আল্লাহর শত্র“, কারণ এরা আল্লাহর প্রেরিত সত্যকে বিকৃত করে, পার্থিব স্বার্থে ব্যবহার করে। পবিত্র কোর’আনে এবং হাদিসে ধর্মব্যবসার সবগুলি ধরণ সম্পর্কেই নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হোয়েছে, ধর্মকে বিক্রি কোরে পার্থিব সুযোগ সুবিধা, সম্পদ হাসিলের কোন সুযোগ আল্লাহ রাখেন নি। তিনি একে কেবল হারামই করেন নি, তিনি বোলেছেন, তারা পথভ্রষ্ট, তারা আগুন ছাড়া কিছুই খায় না। তিনি আখেরাতে তাদেরকে পবিত্র কোরবেন না, তাদের সঙ্গে কথা বোলবেন না এবং তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ কোরবেন। যাদের গন্তব্য জাহান্নাম, তাদের অনুসারীরাও জাহান্নামেই যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবুও আল্লাহ সুস্পষ্ট ভাষায় বোলে দিয়েছেন, তোমরা তাদের অনুরসণ করো যারা বিনিময় গ্রহণ করে না এবং সঠিক পথে আছে (সুরা ইয়াসীন ২১)। এই যে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি, তারা কিন্তু এই সত্যগুলি বিষয়গুলি কখনও মানুষের সামনে প্রকাশ করে না। তারা সুদ, ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করেন কিন্তু ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। এ প্রসঙ্গটি তারা গোপন রাখতে চান আর আল্লাহ তা যামানার এমামের মাধ্যমে তা প্রকাশ কোরে দিয়েছেন। তাদের একটি শ্রেণি নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম কোরতে মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে কাজে লাগায়। তারা নিজেদেরকে এসলামের ধারক হিসাবে প্রকাশ কোরে তাদের বিরুদ্ধপক্ষকে এসলামবিদ্বেষী হিসাবে ফতোয়া দেন। জনগণও তাদের কথায় প্রভাবিত হয়। কিন্তু এই শ্রেণিটি যে স্বার্থের হাতিয়ার হিসাবে ধর্মকে ব্যবহার কোরছে এবং তারা নিজেরাই যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ সেটা যখন প্রকাশ কোরে দেওয়া হবে তখন জনগণ তাদেরকে ধিক্কার দেবে। জনগণ যখন বুঝতে পারবে আল্লাহ তাদেরকে অনুসরণ কোরতে নিষেধ কোরেছেন এবং তাদেরকে অনুসরণ কোরলে জাহান্নামে যেতে হবে তখন জনগণও আর তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। এভাবেই আমাদের দেশ থেকে, পৃথিবী থেকে ধর্মের নামে দাঙ্গা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি, প্রতিহিংসা, সহিংসতা, ক্ষমতার জন্য, ব্যক্তিগত দলীয় স্বার্থে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ হবে। মানুষের জীবন যেমন নিরাপদ হবে তেমনি তারা সুপথও পাবে। এসলামে ধর্মব্যবসায়ীদের কোন স্থান নেই, যে সমাজে তাদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় সেই সমাজেও তারা অশান্তি বিস্তার করে। তাই মানবতার কল্যাণে যেমন দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত দমন করা উচিত, তেমনি এই ধর্মব্যবসায়ী মোল্লাদেরও দমন করা উচিত।


""মনিরুয্যামান মনির""

Monday, April 6, 2015

আযানের মর্ম কি ???

আযানের মর্ম কি ???
আযানের মধ্যে বলা আছে যে,আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন এলাহ অর্থাৎ
হুকুমদাতা /বিধানদাতা নেই এবং পড়ে সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (স) আল্লাহর রসুল। অর্থাৎ
সমগ্র মানবজাতির শান্তির নেতা।
তাহলে বিষয় হইলো এখানে স্রষ্টার, আল্লাহর
হুকুমত ব্যতীত অন্যটা মানাই তার বিকল্প,আর
বিকল্প মানেই শিরক,আর শিরক আল্লাহ
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে তিনি ক্ষমা কোরবেন না।
আর তাই যদি হোয়ে থাকে তাহলে আমাদের
দেশের ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র, আদালত, আইন
কানুন, শিক্ষা, রাজনীতি,
ব্যাংকিং ব্যবস্থা কি আল্লাহর হুকুমত
অনুযায়ী নাকি ইহুদী-খ্রিস্টান সভ্যতা অর্থাৎ
দাজ্জালের?
এইজন্য আল্লাহ তার কেতাবে বলেছেন-
আল্লাহ যাহা কেতাবে নাযেল কোরেছেন
তদনুযায়ী যাহারা বিচার ফায়সালা (এই
ফায়সালা সর্বোপরি ফায়সালা)
কোরেনা তারা কাফের, জালেম,ফাসেক।(সু
রা আল মায়েদা ৪৪;৪৫;৪৭)
তাহলে এই নামধারী জাতি কি আযানের মর্ম
না বুঝেই চোখ কান বুঝে কাফের অবস্থায়
সালাহ কোরছে? আর কাফেরদের সালাহ
কি আল্লাহ কবুল কোরছেন?
ভাবুন

বুলবুল আহাম্মেদ

কোরানে কি বলা হয়েছে সেটা বুঝে পড়া দরকার।

কোরানে কি বলা হয়েছে সেটা বুঝে পড়া দরকার।

রমজান মাস অাসলেই দেখা যায় মানুষ কোরান খতম দেয়
ও পড়ার জন্য চেষ্টা করে বা অাগ্রহ জাগে।
তাদের উদ্দেশ্য একটাই সওয়াব কামানো !!!
কিন্তু অাল্লাহ অামাদের কোরান দিয়েছেন কেন, শুধু
কি সওয়াব কামানোরর জন্য??
না এটার অাইন কানুন সমাজ, দেশ, রাষ্টে প্রয়োগ করার
জন্য...???
কোরানে কি বলা হয়েছে সেটা বুঝাই অাসল বিষয়, কিন্তু
অামরা শুধু অারবিতে পড়ে যাই,
তাতে কি বলা হয়েছে সেটা বুঝা অামাদের দরকার নাই,
অামাদের সওয়াব হলেই হলো।
কিন্তু না বুঝে পড়ার মধ্যে কি কোন সওয়াব
থাকতে পারে..??
কোরানে কি বলা হয়েছে সেটা যখন অামরা বুঝতে পাবর,
তখনি অামাদের সওয়াব
হবে এবং যারা বাংলা জানেনা তাদের কথা ভিন্ন। অাল্লাহ
মহান, পরম দয়ালু, ও ক্ষমাশীল।
কিন্তু অামরা রমজান মাস অাসলেই সওয়াব কামানোরর
জন্য কোরান পড়ি বা খতম দেই, রমজান মাস শেষ হলেই
কোরানকে কোন কাপড় দিয়ে মোরিয়ে অালমারিতে রেখে
দিই।
এভাবেই দিন যাচ্ছে।
মনে করুন, একজন ব্যক্তি বাংলা জানে এবং সে প্রায়
অারবিতে কোরান পড়ে।
তাকে অাপনি প্রশ্ন করুন কোরান কি বলা হয়েছে,
সে কিছুই বলতে পারবেনা।
*** অামাদেন সমাজে অনেক সাধারন মানুষ অাছে যারা
কমপক্ষে বছরে ১/২ বার কোরান খতম দেয় অারবিতে,
কিন্তু তারা ইসলামেন কোন বিষয় জানতে হলে অালেদের
কাছে যায় এবং অালেমরা কোরানের কোন অায়াত বাংলাতে
বললে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে,কিন্তু এই সাধারন মানুষরাই
কোরান পড়ে কিন্তু তারা কিছুই শিখতে পারলও না, সারা
জীবন শুধু পড়েই গেলো...!!!
****তাই বলে কেউ মনে করবেন না,
যে অামি অারবি ভাষাকে ছোট করছি বা অারবি ভাষায়
কোরান পড়ার বিপক্ষে। অামি শুধু বলতে চাচ্ছি যে,
কোরানে কি বলা হয়েছে সেটা বুঝা উচিত,
বা বুঝে পড়া দরকার।

ধর্মের নামে ব্যবসা, রাজনীতি এবং সন্ত্রাস বন্ধ হোক

ধর্মের নামে ব্যবসা, রাজনীতি এবং সন্ত্রাস বন্ধ হোক

মসীহ উর রহমান আমীর, হেযবুত তওহীদ

ধর্ম এসেছে মানবতার কল্যাণে। মানবজাতি যখন এবলিসের প্ররোচনায়  অন্যায় অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়, তখন মানবজাতিকে শান্তি দিতে যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন নবী-রসুল-অবতারগণ। তাঁরা আল্লাহর কাছ থেকে যে কেতাব বা শাস্ত্র নিয়ে এসেছেন, যখন মানুষ সেই বিধানগুলি দিয়ে নিজেদের জীবন পরিচালিত করেছে, সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালিত করেছে, তখনই মানবজীবন শান্তিময় হয়েছে। প্রাচীন ভারতবর্ষে তাই হয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাই মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সর্বোপরি আধ্যাত্মিক-পারত্রিক মুক্তির জন্য ধর্ম এসেছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে। এটা তাই আল্লাহ ও মানুষের পারস্পরিক একটি চুক্তির বিষয়। মানুষ আল্লাহর বিধান মানলে উভয় জীবনে শান্তি পাবে, না মানলে উভয় জীবনে শাস্তি পাবে। এই চুক্তিভিত্তিক লেনদেনের মাঝে মধ্যসত্ত্বভোগী কোন শ্রেণির অস্তিত্ব আল্লাহ স্বীকার করেন না। সুতরাং ধর্মের কাজ করে বিনিময় গ্রহণ সর্বধর্মে নিষিদ্ধ, ধর্মের কাজের বিনিময় নিতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে। এই নিষিদ্ধ হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল, পার্থিব বিনিময় নিলে ধর্মের সঠিক রূপ বিকৃত হয়ে যায়। তথাপি প্রতিযুগেই নবীদের বিদায়ের পর প্রতি জাতিতে একটি বিশেষ শ্রেণির জন্ম হয়েছে, ধর্মকে যারা তাদের জীবন-জীবিকার মাধ্যমে পরিণত করেছেন। এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর তাবৎ ধর্মব্যবসায়ী সম্প্রদায়। আল্লাহর কোনো নবী এবং তাঁদের সাহাবীরা কোনোদিন ইসলামের কোনো কাজের জন্য বিনিময় গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায় না। সুতরাং যারা এই কাজ করছে তারা কোন নবীরই উম্মত নয়, তাই তাদের কাছ থেকে ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ অবান্তর, হাস্যকর, অন্যায়। এ যেন অন্ধের কাছে পথের সন্ধান প্রত্যাশা করা।
দ্বিতীয়ত, ধর্মের নামে রাজনীতি। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় পশ্চিমা সভ্যতার সৃষ্ট গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদির অনুকরণে হাজার হাজার রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে। ইসলামপন্থীরাও যুগের হাওয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে ইসলামের চেহারা পরিবর্তন করে মডারেট ইসলাম, গণতান্ত্রিক ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ইসলাম ইত্যাদি ‘আধুনিক’ রূপ দান করেছে। এই ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে নির্বাচন, মিছিল, মিটিং, ঘেরাও, হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি সর্বপ্রকার কর্মসূচি নিয়ে থাকে। এই পথ আল্লাহ দেন নি, সুতরাং এগুলিকে দীনের মধ্যে সংযোজন বা বেদাত বলাই বাঞ্ছনীয়। আল্লাহর রসুল বা তাঁর প্রকৃত উম্মাহ অর্ধেক পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কঠোর সংগ্রামের পথে, নির্বাচন করে নয়। যারা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে ধর্মের দোহাই দিয়ে এই ভ্রান্তপথে নিয়ে যাচ্ছে তারা এর জন্য হাশরের দিন আল্লাহর আদালতে অবশ্যই অভিযুক্ত হবেন।
ইসলাম এসেছে সকল প্রকার সন্ত্রাসকে নির্মূল করার জন্য, অথচ আজ ইসলামের সঙ্গে টেররিজম বা সন্ত্রাসবাদ শব্দটি একত্রে উচ্চারণ করা হয়। এর কারণ এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জেহাদের নামে এখানে ওখানে, আদালতে, সিনেমা হলে বোমা মারছে, অসংশ্লিষ্ট মানুষ হত্যা করছে। আল্লাহর রসুল এবং তাঁর আসহাবগণ যতদিন না কোনো সার্বভৌম ভূখণ্ডের অধিকারী হয়েছেন তারা ততদিন কেবলমাত্র মানুষকে তওহীদের দিকে আহ্বান করে গেছেন। এর জন্য বহু নির্যাতিত হয়েছেন কিন্তু কখনও অস্ত্র হাতে নেন নি। যখন আল্লাহ তাঁদেরকে মদীনায় একপ্রকার স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলেন তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের নীতি পরিবর্তিত হয়ে গেল। কারণ একটি আন্দোলন এবং একটি রাষ্ট্রের নীতি কখনোই এক হতে পারে না। রাষ্ট্র সেনাবাহিনী রাখতে পারে, অস্ত্র রাখতে পারে কিন্তু একটি দলের জন্য সেটা বৈধ হয় না। কিন্তু যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী তারা আপামর জনতার সমর্থনপুষ্ট রাষ্ট্রশক্তি না পেয়েই অস্ত্রবাজি করছে। এটা রসুলাল্লাহর সুন্নাহ পরিপন্থী, সুতরাং অবৈধ। তাদের এই আত্মদানকে তারা ইসলামের খেদমতে করা হচ্ছে বলে বিশ্বাস করলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের এই কাজ ইসলামের কোনো উপকারে আসছে না, বরং এই কাজ ইসলামের ক্ষতি করছে। তাদের এই অবৈধ কাজে আল্লাহ ও রসুলের মর্যাদায় কালিমালেপন করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী। এতে করে তারা দুনিয়াও হারাচ্ছেন, আখেরাতও হারাচ্ছেন।
কাজেই আমরা পরিষ্কার করে সকল ধর্মপ্রিয় মানুষকে জানাতে চাই, যারা প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহ রসুলকে, অবতারদেরকে ভালোবাসেন, যারা মানুষের কল্যাণ চান, ইসলামের জন্য কিছু করতে চান সেই সকল সত্যনিষ্ঠ মানুষদেরকে বলবো, আপনারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসাকারী, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতিকারী ও সন্ত্রাসকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। নিজেদের ঈমানকে ভুল পথে প্রবাহিত করবেন না। ধর্ম এসেছে মানুষের কল্যাণে। যা করলে মানুষ কষ্ট পায়, মানবতার অকল্যাণ হয় সেটা কোনোভাবেই ধর্মসম্মত কাজ হতে পারে না। আসুন, আমরা আমাদের ঈমানকে সঠিকপথে পরিচালিত করি। অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে ভূমিকা রাখি।

লেখক: আমীর, হেযবুত তওহীদ

সনাতনধর্ম গ্রন্থে আছে কোরানের সাথে হুবহু মিল ।

সনাতনধর্ম গ্রন্থে আছে কোরানের সাথে হুবহু মিল  ।
সনাতনধর্ম গ্রন্থে আছে কোরানের সাথে হুবহু মিল যা নাকি বলছে মানবজাতিকে ভাই ভাইয়ের মত একসাথে চলে দুনিয়াকে সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত কোরে তোলার।
একহাজার লোকের মধ্য কদাচিৎ কেও অামাকে বিশ্বাস করে.অার যারা আমাকে বিশ্বাস করে তাদের মধ্য কেও না কেও ঈশরে সান্নিধ্য লাভ করে.(শ্রীমতভাগবতগীতা জ্ঞান বিজ্ঞানযোগ 7.3)
পবিত্র বেদ অমৃত- সংগচ্ছধবং সংবদংধ্ব সংবো মনাংসি জানতাম্ । দেবাভাগং যথাপূর্ব্বে সংজানানা উপাসতে ।।ঋগবেদ ১০।১৯১।২.অনুবাদ- হে মনুষ্য! তোমারা এক সঙ্গে চল,একসঙ্গে মিলিয়া আলোচনা কর, তোমাদের মনউত্তম সংস্কার যুক্ত হউক। পূর্ব্বাকালীনজ্ঞানী পুরুষেরা যেরূপ কর্তব্য কর্ম সম্পাদনকরিয়াছেন তোমরাও সেই রূপ কর!
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
পুরুত-মোল্লাদের ফতোয়ার কবলে পড়ে আজ হিন্দু-মোসলেম হয়ে গেছে একে অপরের শত্রু।
কিন্তু এরাই অতীতে মিলে মিশে একসাথে বাস করতো একে অপরকে সাহায্য করতো ।
এটাই ছিল এসলামের অর্থাৎ (শান্তির) সমাজ ।

* উম্মত বলতে কি বুঝায় ?

* উম্মত বলতে কি বুঝায় ? 
উত্তর : উম্মত বলতে কোন নির্দ্দিষ্ট সময়ের সুর্নিদ্দিষ্ট শ্রণীবদ্ধ মানুষ,জ্বীন,বিচরণশীল জীব,পক্ষীসমষ্টি যাদেরকে তাদের কাজর্কম,আচার বিচার,স্বভাব প্রকৃতি,বিশ্বাস-অবিশ্বাস,বাধ্যতা অবাধ্যতা,জীবন ধারা,ধর্ম ও জীবন দর্শনের উপর ভিত্তি করে নিদ্দিষ্ট উম্মত/দল/সমষ্ঠি হিসাবে সনাক্ত করা হয় সেই সমষ্ঠি কেই উম্মত বলে।কুরআনের আয়াতমালা পর্যালোচনা করে এর চেয়েও উম্মতের ভাল সংগা দেওয়া যেতে পারে।

রসুলাল্লাহর সময় নারীরা কেমন ছিলেন?

 রসুলাল্লাহর সময় নারীরা কেমন ছিলেন?

রসুলাল্লাহর সময় নারীরা মহানবীর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, শিক্ষাগ্রহণ করতেন, মহানবীকে প্রশ্ন করে জরুরি বিষয় জেনে নিতেন, অনেক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শও দিতেন। এ সময় রসুলাল্লাহ ও মেয়েদের মাঝে কোনো কাপড় টাঙ্গানো ছিল এই ব্যাপারে কেউ কোনো দলিল দেখাতে পারবে না। নারীরা মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে, জুমা’র সালাতে, দুই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেন। তারা পুরুষের সঙ্গেই হজ্ব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন, যেটা এখনও চালু আছে; তারা কৃষিকাজে, শিল্পকার্যে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করেছেন। এ সমস্ত কাজ তারা ইসলামের নির্দেশিত হেজাবের সাথেই করতেন। এমনকি রসুলাল্লাহর নারী সাহাবীরা পুরুষ সাহাবীদের সঙ্গে থেকে যুদ্ধ পর্যন্ত করেছেন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যাবলীতে সমানতালে অংশগ্রহণ করেছেন। মসজিদে নববীর এক পাশে তৈরি করা হয়েছিল যুদ্ধাহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা। এই বিশেষ চিকিৎসা ইউনিটে অধ্যক্ষ ছিলেন একজন নারী। অথচ আজ বিকৃত অতি পরহেজগার নারীদের এই ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই। বর্তমান ইসলামে যে নারী যত আপাদমস্তক কালো কাপড়ে ঢেকে গৃহ-অভ্যন্তরে অবস্থান করবেন তিনি তত বড় পরহেজগার হিসেবে গণ্য হন।

Sunday, April 5, 2015






ধর্মব্যবসায়ী আলেম উলামা পীর ফকির দরবেশ মওলবী হাফেজ হলেই কি আপনি পাক্কা মোসলেম?
হাফেজ অর্থাৎ যিনি কোরান হেফজ কোরেন। একে প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আবৃতি কোরে বলে দিতে পারেন। একজন হাফেজ যদি প্রথম থেকে সব বলে দিতে পারে এটা খুবই ভালো। এটা আল্লাহর সাহায্য।
কিন্তু এই যে হাফেজ হইলো, এ না জানে কোরান কি উদ্দেশ্যে আল্লাহ নাযেল কোরেছেন আর না জানে কি কি বিষয় এতে রয়েছে, আরবী ভাষায় পবিত্র কোরান নাযেল হোয়েছে, একজন এরাবীয়ান কোরানের হাফেজ আরেকজন অনারাবীয়ান এক হবেনা তার কারন এর ভাষা কথা ভিন্ন। কোরানের হাফেজ মানেই সব বুঝে ফেলা নয়। রসুলের (স) সময় হাফেজ মানে কোরানের যেটুকু পড়ে মুখস্থ করা তা বুঝে নেওয়াও ছিলো তাদের কাছে সহজসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু আমাদের বেলায় কিন্তু ভিন্ন। আমাদের অর্থ বুঝে নিতে হয়। কোরানে বহু বিষয় সম্বন্ধে ইঙ্গিত আছে, ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে শান্তি কায়েমের জন্য কোরানে প্যানেল কোড আছে সেই কোডভিত্তিক সংক্ষেপে বিচারের বইকে ফিকাহ বলা হয়।কিন্তু সেই ফিকাহ মোতাবেক কি আমাদের দেশ সমাজে বিচার ব্যবস্থা চালু রয়েছে? আমাদের দেশে কোরানের বহু হাফেজ আছে তারা মুখুস্থ বলে দিতে পারেন পুরা কোরান কিন্তু তারা কোরানের রুপ সৌন্দর্য মন্ডিত কথা বাণী সত্য ন্যায়ের কথাও জানেনা, এই জানেনা বলেই কোরানের খতম দিয়ে পয়সা খায়, জানলে খাইতো না, জানলে ওয়াজ মাহফিলে এমামতিতে পয়সা খাইতো না। হাফেজ হওয়া দোষের কিছু নহে,তবে এর অন্তর্নিহিত গুণ কি যদি না জাতি তাহলে ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে কোরানের হুকুম কিভাবে কায়েম করবে? আমরা হেযবুত তওহীদের লোকেরা কোরান বুঝি এর মুল ভাব বুঝি কোরান আমাদের কি বলছে তাও বুঝি এবং আপনাকে বুঝাইয়াও দিতে সক্ষম এনশা'আল্লাহ।
এর কারন হলো মহামানবগণেরা এই কোরান বাংলায় অনুবাদ কোরেছেন, এর তাফসির কোরেছেন,আমরা আজ কোরান সম্পূর্ণ আকারে স্মার্টফোন,কম্পিউটার , ইন্টারনেটের মধ্যেও পাচ্ছি। অন্যকে সত্যটা জানাতে পারছি যে মহান আল্লাহ কি বলেছেন আমাদের আর আমরা কি কোরতেছি। তাহলে কি শুধু মুখুস্থ ই আসল বিষয়? মুখস্থ কোরলেই কি দেশ সমাজে শান্তি কায়েম হবে?
দুনিয়ায় আলেম উলামা পীর ফকির হাফেজ তো বহু আছে তাহলে শান্তি কই? আমাদের দেশ তার উদাহরণ। আমাদের দেশেও এই শ্রেণীর কমতি নেই।দিনকে দিন বেড়েই চলছে আর মারামারি কাটাকাটিও তার চেয়ে দ্বিগুণ।
এরা ইসলামের বিষয় গোপন কোরে এবং সত্য লুকায় এবং ওয়াজ মাহফিল এমামতিতে, খতমে তারাবীতে পয়সা নেয়। এদের সম্বন্ধে কোরানে আল্লাহ উল্লেখ কোরেছেন দেখুন-
সূরা আল বাক্বারাহ:174 - নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
সূরা আল বাক্বারাহ:175 - এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।
সূরা ইয়াসীন:21 - অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
তাহলে আজকের ধর্মব্যবসায়ী হাফেজ- আলেম-উলামা-মোল্লা,বিকৃত সুফিবাদ,অলী-আউলিয়া-পীর-ফকির-দরবেশ হোয়ে ধর্মব্যবসা করার চেয়ে মানবতার কল্যাণ করা অধিক উত্তম।
লিখেছেন
মোহাম্মদ হাবিব বেন আব্দুস ছোবান।