Wednesday, March 16, 2016

তবে কি ৫ মে’ শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে???

তবে কি ৫ মে’ শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে???
.
গত কয়েকদিন যাবৎ নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসায়ী জামাত-হেফাজত-চরমোনাই চক্র ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এবং তাদেরই ইন্ধনে ও অংশগ্রহণে সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত হেযবুত তওহীদের দুইজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
.
হেযবুত তওহীদের সদস্যদের অপরাধ- তারা এমন একটি আদর্শ প্রচার করে যা জামাত-হেফাজত-চরমোনাইদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। ফলে হেযবুত তওহীদকে খ্রিস্টান আখ্যা দিয়ে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করে জামাত-হেফাজত-চরমোনাই একযোগে উঠেপড়ে লেগেছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। এই নিশ্চিহ্নকরণ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে- জেহাদ।
.
জেহাদের নাম করে বিগত এক বছর ধরে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে জঙ্গিরা। এখন তাতে শামিল হয়েছে জামাত-হেফাজত-চরমোনাই। ইস্যুসন্ধানী এই গোষ্ঠীগুলো অনেকটা দিন ইস্যু ছাড়া কাটানোর পর এবার হেযবুত তওহীদকে পেয়ে আশার আলো দেখছে। হেযবুত তওহীদকে বলির পাঠা হিসেবে ব্যবহার করে তারা নতুন আরেকটি ৫মে’ সৃষ্টি করতে চায়। এ অভিসন্ধী বাস্তবায়নের জন্য তারা সেই পদ্ধতি অবলম্বন করছে যা 2013 সালে কথিত ‘নাস্তিকদের’ বিরুদ্ধে করেছিল। প্রথমে অপপ্রচার, উস্কানি; তারপর উস্কানিতে সংক্ষুব্ধ জনতাকে সংগঠিত করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া। তাদের এই অপতৎপরতা দেদারছে চলছে। অনলাইনে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে কী নগ্নভাবে সহিংসতার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে তা বুঝতে নিচের স্ক্রিনশটটিতে লক্ষ করুন। 
.
যারা মনে করছেন বিষয়টি হেযবুত তওহীদ ও হেফাজত-চরমোনাইদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তারা মারাত্মক ভুল করছেন। হেযবুত তওহীদ কোনোদিন রাজনীতি করে না, বরং প্রচলিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো হেযবুত তওহীদের মূলনীতিপরিপন্থী। অন্যদিকে হেযবুত তওহীদকে ইস্যু করে জঙ্গি-জামাত-হেফাজত-চরমোনাইরা একত্রিত হয়ে যেদিকে এগোচ্ছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারকেও এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে।
.
জনতা সেজে দুইজন হেযবুত তওহীদের কর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করল চরমোনাই-হেফাজতের জঙ্গিবাহিনী, কিন্তু কেউ কোনো কথা বলছে না, প্রতিবাদ করছে না, উল্টো বিশ্লেষন চলছে- হেযবুত তওহীদ কী চায়? তারা কারা? কেন তাদের ওপর ওরা এত ক্ষ্যাপা? ফলে বেপরোয়া ধর্মব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা এবার নোয়াখালী থেকে বেরিয়ে সারা দেশের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে- যেখানেই হেযবুত তওহীদের কাউকে দেখা যাবে ধরে ধরে জবাই করতে।
.
ক্রিনশটে যে লোকটি হেযবুত তওহীদের সদস্যকে দেখলেই মেরে জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে তাকে আমাদের কাছে বা আপনার কাছে যতই ধর্মান্ধ-গোড়া-মৌলবাদী মনে হোক, ধর্মব্যবসায়ীদের জগতে সে বিশাল সেলিব্রেটি। তার ফলোয়ার সংখ্যা দেখলাম ৩৮,০০০ এরও বেশি। তার এই সন্ত্রাসবাদী আহ্বান কিন্তু বেফাস মন্তব্য নয়। জেনে বুঝে ও নির্দিষ্ট অভিসন্ধী নিয়েই সে এভাবে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচিত করছে। তার সাগরেদদের কমেন্টগুলো দেখলে হয়ত আরও অাঁতকে উঠবেন। একটি কমেন্টে একজন উৎফুল্লচিত্তে জানাচ্ছে যে, তারা তাদের এলাকা থেকে হিন্দুদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য কমিটি গঠন করতে চায়। এরকম স্ক্রিনশট শত শত আছে আমাদের সংগ্রহে। গত দুইদিন ধরে এগুলো সংগ্রহ করছি আমরা। কেউ দেখতে চাইলে দেখানো যাবে। প্রকাশ্যে যারা এভাবে হত্যার প্ররোচনা দিতে পারে গোপনে তারা কী না করতে পারে?
.
হেযবুত তওহীদের প্রতি আপনার ব্যক্তিগত মতপার্থক্য থাকতে পারে, এটা কোনো বিষয় নয়। হেযবুত তওহীদ ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই মতপার্থক্য যদি আপনাকে রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চক্রান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া থেকে বিরত রাখে তাহলে অপেক্ষা করতে হবে ভয়াবহ কোনো পরিস্থিতির জন্য। হেযবুত তওহীদের পক্ষে না দাঁড়ান, এই দেশের পক্ষে তো দাঁড়াবেন, জনগণের পক্ষে তো দাঁড়াবেন।

No comments:

Post a Comment