Friday, June 17, 2016

মানুষকে আল্লাহ যে একটিমাত্র শর্ত দিলেন সেটা কি ???

মানুষকে আল্লাহ যে একটিমাত্র শর্ত দিলেন সেটা কি ???



এলাহ অর্থাৎ জীবন-বিধাতা বোলে স্বীকার করা অন্য সর্বরকম বিধান অস্বীকার করা
মানুষকে আল্লাহ এই যে একটিমাত্র শর্ত দিলেন অর্থাৎ শুধু একমাত্র তাকেই প্রভু, এলাহ অর্থাৎ জীবন-বিধাতা বোলে স্বীকার করা অন্য সর্বরকম বিধান অস্বীকার করা, এই যথেষ্ট।
এটা কেন?
এত সংক্ষিপ্ত, এত সহজ, এত ছোট্ট একটি শর্ত, একটা দাবী, এ কেন?
এটা এই জন্য যে-
াত্র স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ তৈরী কোরতে পারবে না, অসম্ভব। স্রষ্টাকেই একমাত্র বিধান দাতা বোলে স্বীকার কোরে না নিলে তার বিধান মানার প্রশ্ন আসে না। তাই তার শর্ত ও দাবী মানুষের প্রতি এই যে আমাকে ছাড়া আর কাউকে বিধান দাতা, এলাহ বোলে মানবে না খ) একবার তাকে একমাত্র এলাহ বোলে স্বীকার কোরে জাতীয় জীবনে তার দেওয়া আইন (রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, দণ্ডবিধি সব রকম) প্রতিষ্ঠার পর ব্যক্তিগত অপরাধ নিজে থেকেই প্রায় লোপ পেয়ে যাবে। ব্যক্তিগত অপরাধের নিয়ন্ত্রণের জন্য তার দেওয়া আইনই যথেষ্ট। কাজেই সর্বপ্রথম ও সব চেয়ে প্রয়োজনীয় হোচ্ছে জাতীয় জীবনের তাকে একমাত্র এলাহ বোলে স্বীকার কোরে নেওয়া। এটা করা হোলে বাদ বাকি আর সব নিজে থেকেই ঠিক হোয়ে যাবে। তাই আল্লাহ বিচারের দিন যার মধ্যেই সাচ্চা তাওহীদ পাবেন তাকেই সমস্ত গুনাহ মাফ কোরে দেবেন, অর্থাৎ জান্নাতে প্রবেশ কোরবে। এ ব্যাপারে অগুনতি হাদীস ও হাদীসে কুদসী রোয়েছে। এমন কি চুরি ও ব্যভিচারের মত কবিরা গোনাহকারীও জান্নাতে যাবে, যদি সে সাচ্চা, সত্য সত্যই বিশ্বাস করে যে এলাহ, বিধানদাতা, আল্লাহর ছাড়া আর কেই নেই [হাদীস- আবু যর (রাঃ) থেকে বুখারী, মুসলিম) ও মেশকাত]। অর্থাৎ জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে সে আর কারু তৈরী আইন-কানুন নিয়ম নির্দেশ মানতে পারে না। অন্যদিকে আল্লাহ কোরানে বহুবার বোলছেন আমার ইচ্ছা হোলে আমি আমার বান্দার সব গোনাহ মাফ কোরে দেবো কিন্তু শেরক অর্থাৎ আমার দেওয়া বিধান, আইন-কানুন বাদ দিয়ে অন্যের তৈরী আইন-কানুন গ্রহণকারীকে আমি কখনই মাফ কোরবো না (কোরান- সূরা আন নিসা ৪৮)।
আজ পৃথিবীর 'অতি মুসলিমরা' নামাযে, রোযায়, হজ্বে, তাহাজ্জুদে, তারাবিতে, দাড়িতে, টুপি-পাগড়ীতে, পাজামায়, কোর্তায় নিখুঁত। শুধু একটিমাত্র ব্যাপারে তারা নেই, সেটা হলো তাওহীদ, ওয়াহদানীয়াত। যে আংশিক অর্থাৎ ব্যক্তিগত ওয়াহদানীয়াত ঐ অতি মুসলীমদের মধ্যে আছে তা আল্লাহ আজও যেমন ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান কোরে রেখেছেন, হাশরের দিনও তেমনি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান কোরবেন। কারণ তিনি বোলে দিয়েছেন যে আল্লাহর কেতাবের কোন অংশে বিশ্বাস আর কোন অংশে অবিশ্বাসের শাস্তি শুধু যে কেয়ামতের দিনে ভয়াবহ হবে তাই নয়, এই দুনিয়ার জীবনেও অপমান, লাঞ্ছনা (কোরান- আল বাকারা ৮৫)।

No comments:

Post a Comment