Thursday, April 14, 2016

আবারো শুরু হয়েছে অপপ্রচার

আবারো শুরু হয়েছে অপপ্রচার



আবারো শুরু হয়েছে অপপ্রচার
------------মসীহ উর রহমান, আমীর হেযবুত তওহীদ
হেযবুত তওহীদ একটি সত্যনিষ্ঠ আন্দোলন যারা ইসলামের প্রকৃত রূপ জনসম্মুখে তুলে ধরছে এবং কলেমা তওহীদের ভিত্তিকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সকল ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়াই হচ্ছে তওহীদের দাবি।
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে একদিকে স্বার্থের রাজনীতি, অপরদিকে সাধারণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ধর্মানুভূতিকে উত্তেজিত করে তা-ব সৃষ্টি করা, ধর্মের নামে ব্যবসা, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি ইত্যাদি।
এগুলোকে ইস্যু করেই বিশ্বে আজ একটার পর একটা দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশটিও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ যাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র চলছে বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বহুবার জাতিকে সতর্ক করেছেন, সকলকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আমরা ২০০৯ সনেই বাংলাদেশ সরকারকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ে সহযোগিতা করার প্রস্তাবনা পেশ করেছিলাম। আমরা শুরু থেকে জাতিকে সকল প্রকার ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দেশের সকল আন্দোলনের থেকে হেযবুত তওহীদের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ আন্দোলন বিগত ২১ বছরে একটিও আইন ভঙ্গ করে নি, একটিও অপরাধ করে নি। এটি আমাদের মৌখিক দাবি নয়, এটি আদালতের রেকর্ড।
হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে আইন-শৃঙ্খলা মান্য করে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যপ্রতিষ্ঠার কাজ করছে। মো’মেন হিসাবে, দেশের নাগরিক হিসাবে এটা আমাদের দায়িত্ব, এ কাজে আমাদের আর্থিক বা রাজনৈতিক বা কোনো প্রকার বৈষয়িক স্বার্থ নেই।
তথাপি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে বহুমুখী অপপ্রচার চালানো হয়েছে। চিরকালই অপপ্রচারের প্রধান হাতিয়ার হয়েছে মিথ্যা কথা, অপবাদ আরোপ আর গুজব রটনা ইত্যাদি।
সত্য নিয়ে কাজ করলে মিথ্যাশ্রয়ীরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবে এটা স্বাভাবিক। যারা ধর্মকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে পরিণত করে এতদিন আমাদেরকে কাফের, খ্রিষ্টান ইত্যাদি ফতোয়া দিয়ে জনগণকে আমাদের বক্তব্য জানতে দেয় নি।
আর গণমাধ্যমগুলো গত বাঁধা নিয়মে ইসলামের কথা বললেই জঙ্গি - এই নীতি অনুসরণ করে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজারবার জঙ্গি, নিষিদ্ধ, উগ্রপন্থী ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার করেছে যেগুলো সর্বাংশে মিথ্যা।
এই উভয়মুখী মিথ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সরকার-প্রশাসনের অনেক ব্যক্তি। ফলে আমাদের সদস্যরা নির্মম সামাজিক ও প্রশাসনিক হয়রানি, নির্যাতন, জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। কিন্তু আইনী প্রক্রিয়ার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে হেযবুত তওহীদ নির্দোষ, এর কোনো আইনপরিপন্থী বা জঙ্গি কর্মকাণ্ড নেই।
সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে অবতীর্ণ হয়েছে। কারণ তারা দেখছে যে হেযবুত তওহীদ যে সত্য প্রচার করছে তাতে তাদের কায়েমী স্বার্থে আঘাত লাগবে, তাদের মুখোস খুলে যাবে।
তাই তারা মনগড়া ফতোয়া প্রচার করতে আরম্ভ করেছে যে হেযবুত তওহীদ ইসলামবিরোধী, কুফরি সংগঠন, জিন্দিকি সংগঠন ইত্যাদি। তারা পত্র পত্রিকায়, বিভিন্ন বইয়ে আমাদের বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ তুলে ধরে তার উদ্দেশ্যমূল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
দেশের সকল ধর্মবিশ্বাসী সচেতন মানুষের প্রতি আহ্বান, আপনারা কারো প্ররোচনায় কান দিবেন না। মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করে এই গোষ্ঠীটি সারা দেশে এমন ভয়াবহ তাণ্ডব বহুবার ঘটিয়েছে।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে তারা আমাদের নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে অপপ্রচার করে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে হাত পায়ের রগ কেটে জবাই করে হত্যা করেছে, তাদের চোখ তুলে নিয়েছে, তারপর তাদের দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু জনগণ সচেতন হলে মিথ্যা ফতোয়ার অভিশাপ থেকে আমাদের দেশটা জঙ্গিবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারে। আমরা যেমন প্রকৃত মোমেন মুসলিম উম্মতে মোহাম্মদী হতে চাই, অন্যদিকে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হয়ে দেশের জন্য, ইসলামের জন্য, মানবতার মুক্তির জন্য আমাদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে সংগ্রাম করতে চাই।

No comments:

Post a Comment