Monday, April 25, 2016

সম্মানিত আলেমদের প্রতি

সম্মানিত আলেমদের প্রতি


পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো তাদের বন্দুকের নিশানা তাক করেছে ইসলাম ও মুসলিমদের দিকে। তারা প্রপাগান্ডা চালিয়ে মুসলিমদেরকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী বলে বিশ্বময় নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করেছে। তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে একটার পর একটা দেশ দখল করে নিচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করছে, কোটি কোটি নারী, শিশু, বৃদ্ধ, যুবা উদ্বাস্তু শিবিরে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ নিয়েও চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। মানুষের ঈমানকে ভুলখাতে প্রবাহিত করে মুসলিম জাতির জন্য ক্ষতিকর অনেক কাজই করা হয়েছে এবং হচ্ছে। মুসলিমপ্রধান এ দেশে যদি মধ্যপ্রাচ্যের মত অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে দেওয়া যায় তাহলে আমাদের দাঁড়ানোর কোনো জায়গা থাকবে না। সমগ্র পৃথিবীতে সংখ্যায় ১৬০ কোটি হয়েও আমরা তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে পারছি না কারণ আমরা অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি। সমাজ, দেশ, বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তাছাড়া আমরা এক আল্লাহ এক রসুল এক কোর’আনের অনুসারী হয়েও হাজারো দলে, উপদলে, মাজহাবে, ফেরকায়, রাজনৈতিক মতবাদে বিভক্ত হয়ে আছি। ঐক্যহীন জাতির পরাজয় অনিবার্য, তাই আল্লাহ বার বার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আদেশ করেছেন এবং ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কাজ করতে নিষেধ করেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হবো কিসের ভিত্তিতে?
হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী তওহীদের ভিত্তিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামের বিভিন্ন আকিদাগত বিষয় নিয়ে ফেরকা-মাজহাবের আলেমদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও কলেমা তওহীদের ভিত্তিতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। তওহীদের মর্মবাণী হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, আইন-কানুন, অর্থনীতি, দণ্ডবিধি এক কথায় জীবনের যে অঙ্গনেই হোক যে বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কোনো বক্তব্য থাকবে সে বিষয়ে আমরা আর কারো বক্তব্য গ্রহণ করব না। মুসলিম জাতি বর্তমানে ব্যক্তিগত আমল কমবেশি করলেও জাতীয় সামষ্টিক জীবন পরিচালিত হচ্ছে পাশ্চাত্য সভ্যতার বিধি বিধান দিয়ে। এভাবে তারা শেরক ও কুফরের মধ্যে ডুবে আছে, পরিণতিতে তাদের জীবন কাটছে ঘোর অশান্তিতে।

No comments:

Post a Comment