Friday, October 16, 2015

সুন্নাত কি? নবীর (দ)এর আদর্শ কি?

নবীর (দ)একমাত্র আদর্শ হলো আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা। (ফাতাহ 28;সফ 9;তাওবা 33) আর বাকী সব রাসুলের ফেতরাত (সভাব ধর্ম) অভ্যাস।  যা রাসুলের সুন্নাহই নয়। আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদে যারাই এই দাড়ি-টুপি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বসে আছেন তারা বোকার সাগরেই আছেন।একজন দাড়ি-টুপি দিলেও দীন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না দিলেও করতে পারবে। তাহলে নবীর সুন্নাত যদি দাড়ি টুপি হয়, নবীর সুন্নাত সবার জন্য নয় কি? আবার মহিলারা দাড়ি টুপি দেয় না মানে তারা নবীর সুন্নাত মানে না তাইনা?
অহ! আল্লাহ বললেন আমার সুন্নাত!!!  এর মানে কি? আল্লাহ কি দাড়ি টুপি দেন নাকি?(নাউযুবেল্লাহ)
আল্লাহ বললেন আমার সুন্নাত আর আমরা বলি না রাসুলের সুন্নাত দাড়ি টুপি ইত্যাদি।  যেন আমরা আল্লাহর সাথে তর্কাতর্কি করছি, তাইনা?
সুন্নত অর্থ বিধি-বিধান,নিয়ম-নীতি,পদ্ধতি।দ্বীন ইসলামে সব সুন্নাতের মালিকআল্লাহ বা আল্লাহর সুন্নাত বা সুন্নাতাল্লাহ দেখুন সূরা- (৩৩:৩৮,৬১-৬২) (৩৫:৪৩)(৪০:৮৫) (৪৮:২২-২৩)।সুন্নাত শব্দ আল-কুরআনে আরো দেখুন সূরা- (৩:১৩৭-১৩৮) (৪:২৬)(১৫:১৩) (৮:৩৮) (১৭:৭৭) (১৮:৫৫) তে এসেছে কিন্তু দ্বীনের মধ্যে রসূলের কোনবিধান-নিয়ম (সুন্নাত) আছে বলে আল-কুরআনে কোন উল্লেখ নাই।নবীর জীবদ্দশায় নবীরচলাফেরা,উঠাবসা,খাওয়া-দাওয়া,আচার-ব্যবহার,পোষাক-পরিচ্ছদ তদানিন্তন প্রযুক্তি(টেকনিকস) ও হাতিয়ার (ইনেস্ট্রমেন্টস) এর উপর নির্ভরশীল ছিল।আল্লাহর রসূলআল-কুরআনের বিধানের এওতায় যে সব প্রযুক্তি ও হাতিয়ার প্রয়োগ ও ব্যবহার করেছেন সেসব প্রযুক্তি ও হাতিয়ার এখন সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়েছে।তাছাড়া নবী নিজের শরীরেরফেতরাত (সভাব ধর্ম) অনুসারে যা কিছু করেছেন দ্বীনের বিধান হিসাবে তা অন্যের উপরনবীর সুন্নাত বলে চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে না।তাই বর্তমান কালে আরব দেশীয়আলখেল্লা,মাটির বাশনে ভাত খাওয়া,জয়তুনের ডাল দিয়ে মেসাক করা,খেজুর খেয়ে উফতারকরা,যাতা দিয়ে গম ভাঙ্গা,মরু হাওয়া থেকে রক্ষা পাবার জন্য পরিহীত পাগড়ী আমাদেরদেশে পরা,ডান কাতে ঘুমিয়ে থাকা,খাবার পরে মিষ্টি খাওয়া,তীর-ধনুক,তলোয়ার আর ঘোড়াদিয়ে যুদ্ধ করা,একমুষ্ঠি দাড়ি রাখা ইত্যাদি কথিত জীবন ধারা কে নবীর সুন্নাত বলেচাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কাহারো নাই।আল্লাহর রসূল যা বলেছেন,যা করেছেন ও যা সমর্থনকরেছেন তা যদি হাদিস বা সুন্নাত হয় তা হলে কুরআনের আয়াত কে পাঠ করেশুনিয়েছেন,কুরআন মুতাবেক কে চলেছেন,কে বাস্তবায়ীত করেছেন তার অস্তিত্ব থাকেনা।আসলেদ্বীন সর্ম্পকে বা দ্বীনের বিধান সর্ম্পকে নবী যা বলেছেন,তা হলো আল-কুরআন।আরআল-কুরআন অনুসারে তিনি তদানিন্তন মুমিনদের পরিচালনার জন্য যে নিবর্বাহি আদেশ-নিষেধকরেছেন,যে কর্মকান্ড করেছেন বা সমর্থন করেছেন তা সবই তার আখলাক বা চরিত্র এবং সবইতখনকার আদেশ-নিষেধ হিসাবে তখনকার মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য ছিল তবে হাঁ নবীর আখলাকেরকোন সত্য সঠীক বিবরণ যদি থাকে তবে তা আমাদের জন্য উদাহরণ ও অনুপ্রেরণার উৎস কিন্তুসে বিবরণের মধ্যে এমন কোন বিধান বা শরিয়াত থাকতে পারেনা যা আল-কুরআনে নাই।
হেযবুত তওহীদ,

No comments:

Post a Comment