Friday, June 26, 2015

এসলামের প্রকৃত রূপরেখা হেযবুত তওহীদের কর্মসূচি (৪র্থ অংশ)

এসলামের প্রকৃত রূপরেখা হেযবুত তওহীদের কর্মসূচি (৪র্থ অংশ)

dddd-300x288এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

পঞ্চম দায়িত্ব – আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করো। এই শেষ দায়িত্বই হোল পেছনের চারটি দায়িত্বের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। এটাকে বাদ দিয়ে ঐ চারটির আর কোন অর্থ নেই। একটি সংবিধান (ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হ), সেটি যতো সুন্দর, যতো নিখুঁতই হোক না কেন, সেটা একটা জনসমষ্টি বা জাতির ওপর প্রয়োগ ও কার্য্যকর না কোরলে যেমন সেটা অর্থহীন, তেমনি তওহীদের ওপর ভিত্তি করা দীনুল এসলাম, দীনুল হকের সংবিধান “কোর’আনকে” মানব জীবনের সর্বস্তরে, সর্ব অঙ্গনে কার্য্যকর না কোরতে পারলে তা অর্থহীন। এই সংবিধানকে প্রয়োগ ও কার্য্যকর করার নীতি পদ্ধতি আল্লাহ নির্দিষ্ট কোরে দিয়েছেন- জেহাদ ও কেতাল- সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সশস্ত্র সংগ্রাম (কোর’আন- সুরা বাকারা- ২১৬ ও অন্যান্য বহু আয়াত)। তাই মো’মেনদের অর্থাৎ প্রকৃত বিশ্বাসীদের সংজ্ঞাকে আল্লাহ শুধু সর্বব্যাপী তওহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন নি, ঐ তওহীদকে প্রতিষ্ঠা ও কার্য্যকর করার জন্য জেহাদকেও অন্তর্ভুক্ত কোরে দিয়েছেন। বোলেছেন- শুধু তারাই সত্যনিষ্ঠ মো’মেন যারা আল্লাহ ও তার রসুলকে বিশ্বাস কোরেছে, তারপর আর তাতে কখনও সন্দেহ করে নি এবং তাদের জান ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ কোরেছে (কোর’আন- সুরা হুজরাত- ১৫)। অর্থাৎ শুধু প্রকৃত তওহীদে (বর্ত্তমানের বিকৃত ও আংশিক তওহীদ নয়, জীবনের সর্ব অঙ্গনের তওহীদ) বিশ্বাসী হোলেও কেউ প্রকৃত মো’মেনের সংজ্ঞায় স্থান পাবে না, যদি সে ঐ তওহীদকে মানব জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম না করে। তাই আল্লাহ কোর’আনে জেহাদ (সর্বাত্মক সংগ্রাম) ও কেতালকে (সশস্ত্র সংগ্রাম, যুদ্ধ) কয়েক শতবার উল্লেখ কোরেছেন এবং তার রসুল বোলেছেন- যে ব্যক্তি জেহাদ কোরলো না বা জেহাদ করার দৃঢ় সংকল্প কোরলো না সে মোনাফেকদের একটি শ্রেণীভুক্ত অবস্থায় মারা গেল [হাদীস- আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে- মোসলেম, মেশকাত]।
মোনাফেকদের স্থান মোশরেক ও কাফেরদের স্থানের চেয়েও নিচে জাহান্নামের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্থানে (কোর’আন- সুরা আন নেসা- ১৪৫)। তাই আল্লাহর রসুল দীনুল এসলামকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জন্য মাত্র নয় বছরের মধ্যে ১০৭ টি যুদ্ধ কোরেছেন। এটাই তার সেই প্রকৃত সুন্নাহ যে সুন্নাহ পালন না কোরলে তিনি বোলেছেন- আমি তাদের কেউ নই, তারা আমার কেউ নয়, অর্থাৎ আমার উম্মত নয়।
নিজের উম্মাহর ওপর এই পাঁচটি কাজের দায়িত্ব, অর্থাৎ পাঁচ দফার একটি কর্মসূচি অর্পণ কোরে আল্লাহর রসুল বোলেছেন- এই কর্মসূচির ঐক্যবন্ধনী থেকে যে আধহাত পরিমাণও সোরে যাবে সে তার গলা থেকে এসলামের রজ্জু (বন্ধন) খুলে ফেলবে- যদি না সে আবার (তওবা কোরে) ফিরে আসে- আর যে অজ্ঞানতার যুগের (আইয়্যামে জাহেলিয়াত) কোন কিছুর দিকে আহ্বান কোরবে, সে যদি নিজেকে মোসলেম বোলে বিশ্বাস করে এবং নামায পড়ে এবং রোযা রাখে তবুও সে জাহান্নামের জ্বালানী পাথর হবে। এখানে আইয়্যামে জাহেলিয়াত, অজ্ঞানতার যুগ বোলে বোঝানো হোয়েছে প্রাক-এসলামী যুগের কথা। অর্থাৎ আল্লাহর শেষ রসুলের নবুয়াত পাবার আগের সময়ের কথা, যে সময় আল্লাহকে বিশ্বাস কোরেও মোশরেকরা তাদের জীবন, বিশেষ কোরে সমষ্টিগত সামাজিক জীবন পরিচালিত কোরতো আল্লাহর দীন দিয়ে নয়, কাবার পুরোহিতদের, গায়রুল্লাহর বিধান, আইন-কানুন দিয়ে; আজ যেমন আল্লাহকে বিশ্বাস কোরেও আমাদের সমষ্টিগত, জাতীয় জীবন আল্লাহর দেয়া বিধান, আইন-কানুন দিয়ে পরিচালিত হয় না, হয় ইহুদী-খ্রীস্টানদের, গায়রুল্লাহর আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি দিয়ে। অর্থাৎ ঐ আইয়্যামে জাহেলিয়াত, অজ্ঞানতার যুগ ও আজকের এই সময় একই কথা। আজ যদি একদল লোক এই জাহেলিয়াত ও র্শেক থেকে মহানবী ও তার সাহাবাদের (রাঃ) মত হেজরত কোরে আল্লাহর প্রকৃত, সর্বব্যাপী তওহীদে ফিরে এসে একজন নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হোয়ে একটি সংগঠন করে তবে ঐ সংগঠন থেকে কেউ যদি অজ্ঞানতার সময়ের কোন কিছুকে আবার গ্রহণ কোরতে বলে তবে সে জাহান্নামের জ্বালানী। উদাহরণ – অজ্ঞানতার যুগে সমাজে সুদ প্রচলিত ছিলো। দীনুল এসলাম প্রতিষ্ঠিত হোলে আল্লাহ ঐ সুদকে শুধু যে নিষিদ্ধ কোরলেন তাই নয়, সুদ যারা চালু রাখবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যোষণা কোরলেন (কোর’আন – সুরা আল বাকারা- ২৭৯)। সেই সুদ আজ সমস্ত ‘মোসলেম’ দুনিয়ার জাতীয় অর্থনীতির বুনিয়াদ। র্শেক, কুফর থেকে হেজরত কোরে আল্লাহর ও রসুলের দেয়া ৫ দফা কর্মসূচির ঐক্যবন্ধনের মধ্যে থেকেও কেউ যদি বলে- সমস্ত পৃথিবীতে বর্ত্তমানে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি চালু আছে, ঐ অর্থনীতি থেকে সম্পুর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হোয়ে যাওয়া বাস্তবতা নয়, সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা সম্ভব নয়, কাজেই এটাকে আংশিক ভাবে বা অস্থায়ীভাবে চালু রাখা যাক, তবে ঐ লোক এই ৫ দফা কর্মসূচির মধ্যে থাকলেও, সে নিজেকে মোসলেম বোলে বিশ্বাস কোরলেও, নামায পড়লেও, রোযা রাখলেও (অর্থাৎ সর্বরকম এবাদত কোরলেও) সে জাহান্নামের জ্বালানী পাথর। সুদ ছাড়াও বর্ত্তমানের গায়রুল্লাহর অন্যান্য বিষয়েও ঐ একই কথা প্রযোজ্য।
এই কর্মসূচিটিকে একটু পর্য্যবেক্ষণ কোরলেই বোঝা যায় যে, এটি সম্পুর্ণভাবে একটি সামরিক কর্মসূচি। যে কোন সামরিক বাহিনীর কর্মসূচির সঙ্গে এটাকে তুলনা কোরলেই এ সত্য প্রকট হোয়ে উঠবে। প্রত্যেক সামরিক বাহিনীর মূলনীতিই হোল- ঐক্য, শৃংখলা, আনুগত্য ও যুদ্ধ। আল্লাহর দেয়া কর্মসূচিতে শুধু হেজরতটা অতিরিক্ত। কিন্তু চিন্তা কোরলে দেখা যায় যে, পৃথিবীর সব সামরিক বাহিনীগুলিও আংশিকভাবে হেজরত করে। তারা দেশের জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন হোয়ে ব্যারাকে অর্থাৎ সামরিক ঘাঁটিতে বাস করে, যেখানে তাদের জীবনযাত্রা জনসাধারণ থেকে সম্পুর্ণভাবে অন্যরকম। ব্যারাকের জীবনযাত্রার নিয়মে গণতন্ত্রের নামগন্ধও নেই, আল্লাহর দেয়া এই কর্মসূচিতেও গণতন্ত্রের নামগন্ধ নেই; এখানে শুধু সুদৃঢ় ঐক্য, শৃংখলা, আনুগত্য, গায়রুল্লাহ থেকে হেজরত ও যুদ্ধ। ‘এ ইসলাম ইসলামই নয়’ বইয়ে আমি লিখেছি- আল্লাহর নির্দেশে তার রসুল যে উম্মাহ, যে জাতি গঠন কোরলেন সেটাকে একটি জাতি না বোলে বরং একটি সামরিক বাহিনী বলাই যথার্থ হয়। কারণ যে জনগোষ্ঠি ৯ বছরের মধ্যে ১০৭ টি যুদ্ধ কোরলো, যার প্রতিষ্ঠাতা নেতা থেকে শুরু কোরে প্রত্যেকটি মানুষ অজেয় যোদ্ধা হোল, নেতা থেকে নিয়ে প্রত্যেকটি লোকের গায়ে অস্ত্রাঘাতের চিহ্ন পড়লো, সে জনগোষ্ঠিকে সামরিক বাহিনী ছাড়া অন্য আর কি নামে অভিহিত করা যায়? আল্লাহর দেয়া কর্মসূচিটি আমার এই কথারই সত্যায়ন।
আল্লাহ মানব জাতিকে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তিতে (এসলামে) পৃথিবীতে থাকার জন্য পাঁচ দফার একটি দীন দিলেন (তওহীদ, নামায, যাকাত, হজ্ব ও রোযা) এবং ঐ দীনকে পৃথিবীতে মানব জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্যও ঐ পাঁচ দফার একটি কর্মসূচি তার রসুলের মাধ্যমে দিলেন (ঐক্য, আদেশ শোনা, আদেশ পালন করা, হেজরত ও সর্বাত্মক সংগ্রাম করা)। যেহেতু ঐ দীন মানব জীবনে প্রতিষ্ঠিত না হোলে ঐ দীনের মূল্য নেই, সেহেতু দীন প্রতিষ্ঠার ঐ ৫ দফা কর্মসূচিটি ৫ দফা বিশিষ্ট দীনের সমান গুরুত্বপূর্ণ, সমান মূল্য। এ কথাটা ভালো কোরে বোঝার জন্য একটি অনুচিত্র পেশ কোরছি।

১ নং ছক হোচ্ছে আল্লাহর তওহীদ ভিত্তিক শেষ দীনুল এসলাম আর ২নং ছক হোচ্ছে সেই দীনকে প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া, তরিকা, কর্মসূচি। ১ নং না থাকলে ২ নং এর কোন প্রয়োজন নেই এবং ২ নং না থাকলে ১ নং অর্থহীন। একটি অন্যটির পরিপূরক। সুতরাং দু’টোরই মূল্য, গুরুত্ব একই সমান। ১ নং ছকের পাঁচ দফার যে কোন একটাকে বাদ দিলে বা অস্বীকার কোরলে যেমন মো’মেন বা মোসলেম থাকা যায় না, তেমনি ২ নং ছকের পাঁচদফার যে কোন একটিকে অস্বীকার কোরলে বা এ থেকে আধ হাত মাত্র সোরে গেলেই গলা থেকে এসলামের বাঁধন খুলে ফেলা হোল। এসলামের বাঁধন গলা থেকে খুলে ফেলা অর্থ দীন থেকে বের হোয়ে যাওয়া, মোশরেক কাফের হোয়ে যাওয়া। আল্লাহর রসুলের ৬০/৭০ বছর পর থেকেই ঐ ২নং ছক (কর্মসূচি) সম্পুর্ণ ভাবে পরিত্যক্ত হোয়েছে। ১ নং ছকের প্রথম দফা তওহীদও আর প্রকৃত তওহীদ নেই, ওটা ব্যক্তিগত অর্থাৎ আংশিক তওহীদে পরিণত হোয়েছে। আংশিক তওহীদ অবশ্যই র্শেক, যে র্শেক ক্ষমা না করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। ঐ আংশিক তওহীদের কারণে পরের দফাগুলি অর্থাৎ নামায, যাকাত ইত্যাদিও অর্থহীন হোয়ে গেছে। আল্লাহ ও তার রসুল চান যে তার এই উম্মাহ একটি কেন্দ্র, একজন নেতার অধীনে ঐক্যবব্ধ থাকে (কোর’আন-সুরা সফ- ৪)। এই ঐক্যের বন্ধনের বাইরে যেন একটিও মানুষ না থাকে সে জন্য বিশ্বনবী বোলেছেন- যে ব্যক্তি এমামের (নেতার) বায়াত (আনুগত্য) না নিয়ে মারা গেলো সে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের (অজ্ঞতার যুগের) মৃত্যুবরণ কোরলো। [হাদীস- মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে – মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, চতুর্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-৯৬]।
এখন প্রশ্ন হোচ্ছে- বর্ত্তমান দুনিয়ার র্শেক ও কুফর থেকে হেজরত কোরে কোথায় ঐক্যবদ্ধ হোতে হবে? দীনুল এসলামকে প্রতিষ্ঠা কোরতে প্রচেষ্টা কোরছে, পৃথিবীতে এমন বহু সংগঠন আছে। এই সব সংগঠন, দলগুলির প্রত্যেকটির কর্মসূচি ঐ সংগঠনগুলির প্রতিষ্ঠাতাদের, নেতাদের অর্থাৎ মানুষের তৈরী। কাজেই এদের কোনটাই আজ পর্য্যন্ত পৃথিবীর কোথাও সাফল্য লাভ কোরতে পারে নাই। কিন্তু এই সব সংগঠনগুলির কোনটি যদি তাদের নিজেদের তৈরী করা কর্মসূচি ত্যাগ কোরে আল্লাহর দেয়া এই কর্মসূচি গ্রহণ করে তবে সেই সংগঠনে যোগ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোতে হবে কি? এর জবাবে আমি বোলবো- না, তা হবে না। কারণ হোচ্ছে এই যে, এই সংগঠনগুলি বহু বছর থেকে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কোন কোনটি ৫০/৬০ বছর ধোরে কাজ কোরছে কিন্তু এদের ভুল আকীদার কারণে এদের কোনটাকেই আল্লাহ তার নিজের তৈরী কর্মসূচি দেন নি। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মধ্যে রহমানুর রহিম যে কর্মসূচি তার রসুলকে তার উম্মাহর জন্য দিয়েছিলেন সেটা অলৌকিক ভাবে এই সংগঠনকে দিয়ে একে ধন্য কোরেছেন। একটি সংগঠনের শৈশবেই আল্লাহর এতবড় অনুগ্রহ থেকেই প্রমাণ হয় যে এটাই তার মনোনীত সংগঠন। তিনি চান এই সংগঠনের নেতৃত্বেই পৃথিবীর সমস্ত মো’মেন, মোসলেম ও উম্মতে মোহাম্মদী ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার জেহাদ করে। অন্যান্য সংগঠনগুলির দীর্ঘ জীবনে আল্লাহর দেয়া কর্মসূচি না পাওয়ায় নিজেদের তৈরী করা কর্মসূচি মোতাবেক কাজ কোরে ব্যর্থ হোয়ে বিপথগামী হোয়ে ইহুদী-খ্রীস্টানদের প্রক্রিয়া, তরিকা অবলম্বন কোরে মিটিং, মিছিল, শ্লোগান ও নির্বাচনের পথ ধোরেছে। কতকগুলি সংগঠন প্রথমে জেহাদ দিয়ে আরম্ভ কোরলেও নিজেদের তৈরী কর্মসূচির ফলে ব্যর্থ হোয়ে সেই নির্বাচনের পথই ধোরেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোচ্ছে মিশরের এখওয়ানুল মোসলেমিন ও অতি সম্প্রতি ফিলিপাইনে নুর মিসওয়ারীর সংগঠন মোরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (গ.ঘ.খ.ঋ)। কতকগুলি সংগঠন জেহাদের কাছ দিয়েও যায় নি। ওগুলি প্রায় প্রথম থেকেই ইহুদী-খ্রীস্টানদের রাজনৈতিক তরিকা গ্রহণ কোরেছে; এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলজেরিয়ার এসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট (ঋ.ও.ঝ), উপমহাদেশের জামায়াতে এসলামী ও অনেক ছোট খাট দল। ঋ.ও.ঝ নির্বাচনে জিতেও ক্ষমতায় যেতে না পেরে অন্য ভুল পথ ধোরেছে – সন্ত্রাসের পথ। এ পথও আল্লাহ রসুলের নয়, বিশ্বনবী এ পথে এসলাম প্রতিষ্ঠা করেন নি। রসুলের ওপর আল্লাহর অর্পিত এবং রসুল কর্ত্তৃক তার উম্মাহর ওপর অর্পিত দায়িত্ব এই কর্মসূচি সুদীর্ঘ তেরশ’ বছর পর আমি যে হেযবুত তওহীদের হাতে তুলে দিতে পারলাম এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাবার শক্তি আমার নেই। এ যে কতবড় দায়িত্ব, কতবড় নেয়ামত, হেযবুত তওহীদের প্রত্যেক মো’মেন, মোসলেম ও উম্মতে মোহাম্মদীকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি কোরতে হবে এবং সেই মোতাবেক তাদের জান ও মাল, জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর দীন পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, জেহাদ কোরতে হবে। প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে যে, সংগ্রামই তার দায়িত্ব, সাফল্য নয়, কারণ সাফল্য ও ব্যর্থতা মানুষের হাতে নয়, সেটা আল্লাহর হাতে। মানুষের প্রচেষ্টা, সংগ্রাম কতখানি আন্তরিকতার সাথে হোচ্ছে, কতখানি সবর, কতখানি কোরবানী করা হোচ্ছে সেটা দেখেই সেই মহামহীম, রাব্বুল আলা’মিন মানুষকে সাফল্য বা ব্যর্থতা দান করেন। তাঁর বিচারে অণুমাত্রও ভুল হয় না। তবে তিনি বোলেছেন- মো’মেনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব (কোর’আন-সুরা রূম, আয়াত ৪৭)। তাঁর সাহায্য আসলে পৃথিবীর কোন্ শক্তি আমাদের পরাজিত কোরবে? কারুর সে সাধ্য নেই। তবে আমাদের সেই মো’মেন হোতে হবে যে মো’মেন হোলে আমাদের সাহায্য করা তাঁর দায়িত্ব হোয়ে যায় এবং মো’মেন হোচ্ছে সুরা হুজরাতের ১৫ নং আয়াতে আল্লাহ যে প্রকৃত মো’মেনের সংজ্ঞা দিয়েছেন সেই মো’মেন। ইয়া আল্লাহ! তোমার অপার করুণায় তুমি হেযবুত তওহীদকে যেমন তোমার নিজের তৈরী কর্মসূচি দিয়ে ধন্য কোরেছো তেমনি তোমার অসীম øেহে একে কবুল কোরে নাও এবং একে তোমার কর্মসূচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার শক্তি দাও। হেযবুত তওহীদের প্রত্যেক মোজাহেদকে তোমার রসুলের সাহাবাদের মত শুধু মৃত্যুভয়হীন নয়, মৃত্যুর জন্য, শাহাদাতের জন্য আকুলপ্রাণ কোরে দাও। – আমীন

No comments:

Post a Comment