Wednesday, May 27, 2015

মাদরাসা শিক্ষার প্রকৃত ইতিহাস

মাদরাসা শিক্ষার প্রকৃত ইতিহাস


প্রথম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় কোলকাতায়, নাম আলীয়া মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠা করেন (১৭৮০) সনে বড় লাট লর্ডওয়ারেন হেস্টিংস এই আলীয়া মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ  নিযুক্ত হন একজন বৃটিশ খ্রীস্টান, নাম ডঃ এ. স্প্রিঙ্গার এম. এ তারপর একাদিক্রমে ২৭ জন খ্রীস্টান এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন কোরেছেন এবং তা করেছেন তারা ক্রমাগত ১৪৬ বছর (১৭৮০ থেকে ১৯২৬)
তারাই ছাত্রদের কি শিক্ষা দেওয়া হবে তা নির্দ্ধারণ কোরেছেন ও তা কার্যকর কোরেছেন। ঐ মাদ্রাসা থেকে যত আলেম, ফাজেল, কামেল ইত্যাদি বের হোয়ে জাতির অন্য লোকদের ইসলাম শিখিয়েছেন তারা সবাই 'ইসলাম )' শিখেছেন খ্রীস্টান শিক্ষকদের কাছ থেকে।
খ্রীস্টানরা কী 'ইসলাম শিখেয়েছেন তা অনুমান কোরতে বেগ পেতে হয়না একটু আগেই তা বোলে এসেছি। কী নিদারুণ পরিহাস। একটা জাতির মধ্যে কতখানি বিকৃতি আসলে খ্রীস্টানদের কাছ থেকে ইসলাম  শিখে পাস কোরে বের হোয়ে এসে জোব্বা গায়ে দিয়ে, মাথায় পাগড়ী পড়েলম্বা দাড়ী ঝুলিয়ে বাকি অশিক্ষিত জাতির মধ্যেপৌরহিত্য কোরে সসম্মানে বাস করা যায় এটা শুধু এদেশেই নয় 'মুসলিম' বিশ্বের সর্বত্র এইই ইতিহাস। যাই হোক, পাশ্চাত্য প্রভুরা এই মাদ্রাসাগুলির পরিচালনার ভার বহু বছর পর্য্যন্ত তাদের নিজেদের হাতেইরাখলো তারপর যখন তারা নিশ্চিত হলো যে, আরবী ভাষার মাধ্যমে কোরান হাদীসের বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি কোরেই শিক্ষা দিয়ে এদের এমন পর্য্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হোয়েছে যেঅপ্রয়োজনীয়বিতর্কিত মাসলা-মাসায়েলের জালে এরা এমনভাবে পেঁচিয়ে গেছে ও বাকি অশিক্ষিত জাতিকে পেঁচিয়ে ফেলেছে যে আর তাদের ওর মধ্য থেকে ছুটবার আশংকা নেইতখন তারা ঐ মাদ্রাসা পরিচালনার ভার 'মুসলিমদের হাতে ছেড়ে দিলো এবং দিলো ঐ মাদ্রাসা ব্যবস্থায় শিক্ষিতদের হাতেই
কলকাতার আলীয়া মাদ্রাসার মত বহু মাদ্রাসা খ্রীস্টান প্রভুরা বিরাট 'মুসলিম' বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা কোরে লক্ষ লক্ষ 'আলেম, ফাজেল, কামেল, ' ইত্যাদি তৈরী কোরে সমাজের মধ্যে ছেড়ে দেয়। নিরক্ষর মুর্খ জনসাধারণ তাদের কাছ থেকেই 'ইসলাম' শেখে। প্রাথমিক ফকীহ, মুফাস্সিরদের দুর্ভাগ্যক্রমে দ্বীনুল কাইয়্যেমা ও সিরাতুল মুস্থাকীমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন কোরতে ব্যর্থ হোয়ে অতি বিশ্লেষনে যেয়ে সর্বনাস কোরেছিলেন, কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষেই জ্ঞানী ও পণ্ডিত ছিলেন। কিন্তু খ্রীস্টান পণ্ডিতদের তত্ত্বাবধানে থেকে তাদের কাছ থেকে 'ইসলাম' শিখে এবার যে আলেম, ফাজেল শ্রেণীটি বের হোয়ে এলো- এরা না ছিলো জ্ঞানী , না ছিলো পণ্ডিত। খ্রীস্টান শিক্ষকরা এদের যে শিক্ষা দিয়েছিলো তাতে জাতীয় জীবনের কিছুমাত্র ছিলোনাছিলো শুধু ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি মাসলা মাসায়েল এবং বিশেষ করে যেগুলো পূর্বতী মাযহাব ও ফেরকা সৃষ্টির কারণে বহুল বিতর্কিত খ্রীস্টান শিক্ষকরা সতর্কতার সাথে ঐসব বিতর্কিত মাসলা মাসায়েলের মধ্যেই এদের শিক্ষা সীমিত রেখেছিলো এই উদ্দেশ্যে যে, এরা যেন ঐ বিতর্কিত মাসলা মাসায়েলের তর্কাতর্কি ও মারামারিতে জীবন কাটিয়ে দেয়, জনসাধারণও যেন ইসলাম বোলতে ব্যক্তিগত জীবনের ঐ খুঁটিনাটি মাসলাকেই সম্পূর্ণ ইসলাম মনে করে এবং পাশ্চাত্য প্রভুদের জন্য কোন দুশ্চিন্তার কারণ না হয়।
এই পরিকল্পনা ও তা বাস্থাবায়ন যে তাদের আশাতীত ফল দিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আজ পর্য্যন্ত মুসলিম বিশ্বে যে মাদ্রাসা ব্যবস্থায় শিক্ষা চালু আছে তা ঐ খ্রীস্টান প্রভুদের তৈরী করা; যা থেকে অতি ক্ষুদ্র মন মগজ ও প্রায়ান্ধ দৃষ্টি নিয়ে এক পুরোহিত শ্রেণী বের হয়ে আসছে, যারা স্বল্প বেতনে মসজিদের এমাম, মোয়াজ্জিন হওয়া, মুরদা দাফন করা, মিলাদ পড়ানো ছাড়া জাতীয় আর কোন কাজের উপযুক্ত নয় এটাও প্রভুদের পরিকল্পনা মোতাবেকই। কারণ ঐ মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তারা অন্য কোন এমন শিক্ষা  অন্তর্ভূক্ত করেনি, যাতে এরা উপার্জন কোরে খেতে পারে। উদ্দেশ্য হলো এরা যেন পুরোপুরি পুরোহিত শ্রেণীতে পরিণত হয় এবং ফলে জনসাধারণ আরও বেশী ঐ বিকৃত ব্যক্তিগত বিকর্কিত মাসলা মাসায়েল শিখে তা নিয়ে ব্যাপৃত থাকে ও শাসকরা আরও নিশ্চিন্ত হতে পারে।

No comments:

Post a Comment