Wednesday, May 20, 2015

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে দুটি কথা

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে দুটি কথা


একটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন আমরা মিষ্টিমুখ করি, তাদের কোনো কৃতকার্যতার জন্য নয় বরং তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করে। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হলো তাতে কয়েকজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, অনেকে কাউন্সিলর বা কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচন কতটুকু বিশুদ্ধ হয়েছে তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। কিন্তু মূর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে একটি নির্বাচন হয়েছে এবং বেশকিছু ব্যক্তি সরকারি ঘোষণাপত্রের দ্বারা আমাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে 
স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এখন তারা এ অঞ্চলের বৈধ জনপ্রতিনিধি, কেউ তাদেরকে মানুক বা না মানুক, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তারা দায়িত্বে থাকবেন। 
এই জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা কী? যেহেতু তারা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত তাই তাদের দায়িত্ব রয়েছে তাদের জনগণের প্রতি। সেই দায়িত্ব হলো, সমাজকে অন্যায় অশান্তি থেকে রক্ষার জন্য তারা সমাজের মানুষগুলোকে সকল অসত্যের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। জনগণের সচেতনতা ও প্রতিরোধ ছাড়া সমাজ থেকে কোনো অন্যায় অপসারণ করা সম্ভব নয়। জনগণকে উদ্বুদ্ধ (গড়ঃরাধঃব) করার জন্য একটি আদর্শ অপরিহার্য, সেটা রাজনীতিক দলগুলোর কাছে নেই, ধর্মব্যবসায়ীদের কাছেও নেই, সেটা আছে হেযবুত তওহীদের কাছে। সেটা শিক্ষা দেওয়ার আমরা সদাপ্রস্তুত আছি এবং নিজেদের সীমিত সামর্থ্য সত্ত্বেও সর্বতোভাবে এ কাজে করে যাচ্ছি।
আমরা দেশের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে গ্রামের মাতবর পর্যন্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে গিয়েছি এবং যাচ্ছি। জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাধারণত মানুষ বৈষয়িক স্বার্থে যেয়ে থাকে কিন্তু আমরা তেমন কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের কাছে যাই না, কোনোদিন যাবোও না এনশা’ল্লাহ। আমাদের স্বার্থ হলো জাতিকে চতুর্মুখী সংকট থেকে উদ্ধার করার পথ আল্লাহ আমাদেরকে দান করেছেন, সেটা দিয়ে মানুষকে রক্ষা করা আমাদের উপর আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। জাতির কল্যাণে যে কোনো ভূমিকার রাখতে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে, এজন্যই তাদের কাছে আমরা যাই। আমরা আল্লাহর কাছ থেকেই এর বিনিময় নেব এবং পাশাপাশি সমাজে শান্তি আসলে সমাজের ক্ষুদ্র একটি ইউনিট হিসাবে আমরাও শান্তি পাব। কাজেই আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাই, আমরা আমাদের সকল সামর্থ্য, সকল সম্পদ, সমস্ত জীবন অকপটহৃদয়ে মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করা আমার দায়িত্ব তার অন্যতম কারণ আমার বংশধর এখানেই বড় হবে, বাস করবে। সুকান্ত বলেছেন,
যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
নবনির্বাচিতদের প্রতি হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এই অর্থে যে একটি শিশু জন্ম নিলে পিতা মাতা ও স্বজনেরা যে কারণে আনন্দ করে, যে প্রত্যাশা তাদের কাছে করে যে এই শিশু একদিন তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। অতঃপর সন্তানের কর্মই নির্ধারণ করে সে সুসন্তান না কুলাঙ্গার।
Like · Comment · 

No comments:

Post a Comment