Saturday, April 11, 2015

স্রষ্টা একজনই তিনি আল্লাহ্।

স্রষ্টা একজনই তিনি আল্লাহ্।

দুনিয়াতে যা আছে সবই তার সৃষ্টি।সব কিছুকে নিখুত পরিকল্পনায় তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং পরিচালনা করতেছেন। সুবহান আল্লাহ।
তাঁর সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষ হলো সর্বশ্রেষ্ট।এবং সবছেয়ে বেশী ভালোবাসার সৃষ্টি এই মানুষ।
তাইতো আল্লাহ নিজের রুহ্ থেকে মানুষের রুহ্ ফুকে দিছেন।(আল কোরআন-১৫:২৮-২৯)
মানুষ হলো আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনধি।
এই প্রতিনধির কাজ কি???
তাহলে আগে জানতে হবে আল্লাহর কাজ কি?
আল্লাহর কাজ হলো এই সৃষ্টি জগতকে সুসৃংঙ্খল
ভাবে পরিচালনা করা।
প্রতিনধির কাজ ও ঠিক তাই অর্থাৎ মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে এই সৃষ্টি জগত তথা অন্যান্য প্রানীর প্রতি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করবে।ইচ্ছা করলে সে এই জগতের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
আল্লাহ মানুষকে সেই শক্তি দিয়ছেন।
আল্লাহ নিজেই এ কাজটি করবেন যে কোনো ভাবে বা যে কোনো মাধ্যমে।মানুষের স্বাধীন ইচ্চা শক্তি থাকাতে সে হতে পারে আল্লাহর খলিফা বা হতে পারে শয়তানের খলীফা।
মানুষের জন্য এটা একটা পরীক্ষা।কেনো পরীক্ষা কারন একমাত্র মানুষকেই বুদ্ধি বিবেক এবং স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।মানুষ চিন্তা করতে পারে নিজে যা ইচ্ছা তা করতে পারে,মানুষের মাঝে আছে রাগ,ক্ষোভ,প্রেম,ভালোবাসা ইত্যাদি ।
এখন তাহলে বুঝা গেলো মানুষের কাজ কি।
মানুষ একে অনে্যর বিপদে এগিয়ে আসবে,একে অন্যের প্রতি সহানুভব হবে।পরস্পরের কল্যানে কাজ করবে,অন্যান্য জীবের প্রতিও তাদের দায়িত্ব পালন করবে।এটাই মানুষের প্রকৃত ধর্ম।
আগুনের কাজ(ধর্ম)যেমন পোড়ানো,যদি আগুনে কিছু না পোড়ে তবে তাকে কেউ আগুন বলেনা।ঠিক তেমনি মানুষ যদি একে অপরের দু:খ কস্ট না বুঝে,সহযোগীতা না করে পরস্পরের কল্যানে কাজ না করে তাকেও মানুষ বলা যায়না ,সে পশুর ন্যায় অর্থাৎ পশু যেমন চিন্তা করার ক্ষমতা নেই একে অপরকে বা অন্য প্রানীকে সাহায্য করার শক্তি বা বুদ্ধি নেই।ঠিক মানুষ রুপে জন্ম নিলেও তারা পশু।
পশু যেমন শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে খাওয়া দাওয়া করে আর বাচ্চা জন্ম দেয় তারাও একই কাজ করে।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তো তারা পশুর ছেয়েও নিকৃস্ট কারন তারা একে অন্যকে ঠকানো,কস্ট দেওয়া,এমনকি হত্যা করতেও ধিদা করেনা নিজের স্বার্থের জন্য।
মানুষের মাঝে আছে আল্লাহর রুহু থেকে ফুকে দেওয়া রূহু।
সেই স্রষ্টার দেওয়া রুহু ফুকে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবেই আল্লাহর কিছু গুন মানুষের মাঝে চলে আসছে।তবে এটা খুবই সামান্য পরিমান যেমন মহাসাগর থেকে এক ফোটা পানি।
এই এক ফোটা পানিও কিন্তু একই গুনাগুন বহন করে কিন্তু তা দিয়ে ঢেউ দেওয়া সম্ভব নয়,কোনো প্রলয়ংকারী ঝড় উঠানো সম্ভব নয় যদিও ঐ এক ফোটা ও ঠিকই পানি কিন্তু পার্থক্যটা আশা করি বুঝেছেন।
অর্থাত আল্লাহ ইচ্ছে করলেই মানুষকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।
এখন এই স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি পেয়ে মানুষ ভালো কাজ ও করতে পারে খারাপ কাজও করতে পারে।সে যদি ভালো কাজ করতে চায় তবে শয়তান তাকে বাধা দেয় এবং শয়তানের বাধা অতিক্রম করলে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন।
তেমনি খারাপ কাজ করতে গেলে শয়তান তাকে পুরো সমর্থন দেয় বেশীর ভাগ মানুষ বুঝেও সেই পাপ থেকে সরে আসতে পারেনা শয়তানের প্ররোচনায়।
এখন আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
যারা আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করবেন আল্লাহ ওয়াদা করছেন পরকালে তাদের জান্নাত দিবেন।
যারা এই দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে তাদের কে জাহান্নাম দিবেন।
কিভাবে মানুষ এই দ্বায়িত্ব পালন করবে তার জন্য তিনি যুগে যুগে তাঁর বার্তা বাহকের(নবী,রাসূলগন) মাধ্যমে মানব জাতির জন্য পাঠিয়েছেন হেদায়াহ্ বা সঠিক পথ নির্দেশনা। যা মেনে চললে বা অনুসরন করলে মানুষ থাকবে শান্তিতে এবং আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের জান্নাত দিবেন পরকালে।
সব নবী রাসূলগনের মূলত একটাই প্রধান বার্তা ছিলো তা হলো ইলাহ্(হুকুমদাতা)হিসেবে একমাএ আল্লাহকে মেনে নেওয়া।এবং সেই ইলাহর হুকুম অনূযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
মানুষের যেহেতু ইচ্ছা শক্তি আছে সে ইচ্ছা করলেই নিজেই নিজের আইন কানুন তৈরী করে নিতে পারে অথবা স্রষ্টার দেওয়া বিধান ফলো করতে পারে।
মানুষ সামাজিক জীব।আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টিই করছেন এমন ভাবে।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
( আমি যা বুঝলাম তা শেয়ার করতে চেস্টা করলাম আপনাদের সাথে।ভাষাগত দূর্বলতার কারনে গুছিয়ে লিখতে পারিনি।সে জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।অবশ্যই আপনাদের মতামত আশা করছি।)
বুলবুল আহাম্মেদ

No comments:

Post a Comment