Sunday, April 5, 2015






ধর্মব্যবসায়ী আলেম উলামা পীর ফকির দরবেশ মওলবী হাফেজ হলেই কি আপনি পাক্কা মোসলেম?
হাফেজ অর্থাৎ যিনি কোরান হেফজ কোরেন। একে প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আবৃতি কোরে বলে দিতে পারেন। একজন হাফেজ যদি প্রথম থেকে সব বলে দিতে পারে এটা খুবই ভালো। এটা আল্লাহর সাহায্য।
কিন্তু এই যে হাফেজ হইলো, এ না জানে কোরান কি উদ্দেশ্যে আল্লাহ নাযেল কোরেছেন আর না জানে কি কি বিষয় এতে রয়েছে, আরবী ভাষায় পবিত্র কোরান নাযেল হোয়েছে, একজন এরাবীয়ান কোরানের হাফেজ আরেকজন অনারাবীয়ান এক হবেনা তার কারন এর ভাষা কথা ভিন্ন। কোরানের হাফেজ মানেই সব বুঝে ফেলা নয়। রসুলের (স) সময় হাফেজ মানে কোরানের যেটুকু পড়ে মুখস্থ করা তা বুঝে নেওয়াও ছিলো তাদের কাছে সহজসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু আমাদের বেলায় কিন্তু ভিন্ন। আমাদের অর্থ বুঝে নিতে হয়। কোরানে বহু বিষয় সম্বন্ধে ইঙ্গিত আছে, ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে শান্তি কায়েমের জন্য কোরানে প্যানেল কোড আছে সেই কোডভিত্তিক সংক্ষেপে বিচারের বইকে ফিকাহ বলা হয়।কিন্তু সেই ফিকাহ মোতাবেক কি আমাদের দেশ সমাজে বিচার ব্যবস্থা চালু রয়েছে? আমাদের দেশে কোরানের বহু হাফেজ আছে তারা মুখুস্থ বলে দিতে পারেন পুরা কোরান কিন্তু তারা কোরানের রুপ সৌন্দর্য মন্ডিত কথা বাণী সত্য ন্যায়ের কথাও জানেনা, এই জানেনা বলেই কোরানের খতম দিয়ে পয়সা খায়, জানলে খাইতো না, জানলে ওয়াজ মাহফিলে এমামতিতে পয়সা খাইতো না। হাফেজ হওয়া দোষের কিছু নহে,তবে এর অন্তর্নিহিত গুণ কি যদি না জাতি তাহলে ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে কোরানের হুকুম কিভাবে কায়েম করবে? আমরা হেযবুত তওহীদের লোকেরা কোরান বুঝি এর মুল ভাব বুঝি কোরান আমাদের কি বলছে তাও বুঝি এবং আপনাকে বুঝাইয়াও দিতে সক্ষম এনশা'আল্লাহ।
এর কারন হলো মহামানবগণেরা এই কোরান বাংলায় অনুবাদ কোরেছেন, এর তাফসির কোরেছেন,আমরা আজ কোরান সম্পূর্ণ আকারে স্মার্টফোন,কম্পিউটার , ইন্টারনেটের মধ্যেও পাচ্ছি। অন্যকে সত্যটা জানাতে পারছি যে মহান আল্লাহ কি বলেছেন আমাদের আর আমরা কি কোরতেছি। তাহলে কি শুধু মুখুস্থ ই আসল বিষয়? মুখস্থ কোরলেই কি দেশ সমাজে শান্তি কায়েম হবে?
দুনিয়ায় আলেম উলামা পীর ফকির হাফেজ তো বহু আছে তাহলে শান্তি কই? আমাদের দেশ তার উদাহরণ। আমাদের দেশেও এই শ্রেণীর কমতি নেই।দিনকে দিন বেড়েই চলছে আর মারামারি কাটাকাটিও তার চেয়ে দ্বিগুণ।
এরা ইসলামের বিষয় গোপন কোরে এবং সত্য লুকায় এবং ওয়াজ মাহফিল এমামতিতে, খতমে তারাবীতে পয়সা নেয়। এদের সম্বন্ধে কোরানে আল্লাহ উল্লেখ কোরেছেন দেখুন-
সূরা আল বাক্বারাহ:174 - নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
সূরা আল বাক্বারাহ:175 - এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।
সূরা ইয়াসীন:21 - অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
তাহলে আজকের ধর্মব্যবসায়ী হাফেজ- আলেম-উলামা-মোল্লা,বিকৃত সুফিবাদ,অলী-আউলিয়া-পীর-ফকির-দরবেশ হোয়ে ধর্মব্যবসা করার চেয়ে মানবতার কল্যাণ করা অধিক উত্তম।
লিখেছেন
মোহাম্মদ হাবিব বেন আব্দুস ছোবান।

No comments:

Post a Comment