Wednesday, April 1, 2015

নাস্তিক মারার বিধান আপনাকে কে দিয়েছে? আপনি কি নিজেই বিধানদাতা? আল্লাহ ও তার রসুলের (স) চেয়ে বেশি বুঝে ফেলেছেন?

নাস্তিক মারার বিধান আপনাকে কে দিয়েছে?
আপনি কি নিজেই বিধানদাতা? আল্লাহ ও তার রসুলের (স) চেয়ে বেশি বুঝে ফেলেছেন?
নামধারী মোসলেম ভাইয়েরা এমন একটা উদাহরণ দেন যে, কুত্তার বেচে থাকার অধিকার আছে কিন্তু যারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন তাদের কেন বেচে থাকার অধিকার নেই?
বিধান কাদের জন্য প্রযোজ্য কোরানের কোড অনুযায়ী? আর যারা বিশ্বাসই করলো না তাদের উপর জোড় কোরে বিধান চাপিয়ে হত্যার হুকুম আল্লাহও দেননি ও তার রসুলও (স) দেননি, রেফারেন্স দিয়ে যদি কিছু বলেন তাহলে আমরা কিন্তু সহজেই বুঝতে পারি,জীবনে যাই কোরবেন যুক্তিহীন হোয়ে নয় এই কথাটা মনে রাখিবেন।
রসুলের(স) সামনে আল্লাহ ও তার রসুল (স) কে নাস্তিকরা গালাগালি করতো, টিটকারি মারতো, রসুল(স)তাদের মারার হুকুম দেননি, এমন এক সময় আসলো যখন মক্কা বিজয় হইলো তখনও রসুল(স) তাদের গর্দান উড়িয়ে দেবার কথা বলেননি, সুরা নছর দেখুন- এই সমস্ত টিটকারি মারা নাস্তিকরাই ইসলামের শেষ সংষ্করণ মেনে নিয়ে সাহাবী হোয়ে গেলো এবং নামের শেষে যাদের আমরা (রা:) বলি। এর মানে আল্লাহ তাদের উপর রাজি খুশি, এই নাস্তিক রাই হোয়ে গেলো জান্নাতি।
তাহলে অযোক্তিক ভাবে যদি বলেন যে কুত্তার বেচে থাকার অধিকার আছে কিন্তু নাস্তিকদের নেই। ইহকালে ওদের বিচার না হইলে ওদের স্রষ্টা সয়ং আল্লাহ ওদের বিচার কোরবে, ওদের স্রষ্টা আল্লাহ আমাদের স্রষ্টাও আল্লাহ, ওরা বিশ্বাসী নয় আল্লাহর অস্তিত্বে আমরা বিশ্বাসী এইজন্য ঈমানদার আর পাকাপাকিভাবে প্রকৃত দীন কে দুনিয়ায় জান ও সম্পদ দিয়ে কায়েম কোরে মানবজীবনে শান্তি আনয়নকারী, জেহাদকারী অর্থাৎ প্রচেষ্টাকারী হলো প্রকৃত মোমেন(সুরা হুজুরাত ১৫)
ওদের বিষয়ে ফায়সালা আল্লাহর কাছে আমাদের কাছে নয়, যারা বিশ্বাসী তারা যদি আল্লাহর বিধান প্রত্যাখ্যান কোরে এবং বিশ্বাস কোরে এমন লোক অপরাধী বেশি,এদের ইহকালে আল্লাহর কেতাবের কোড অনুযায়ী বিচার হোলে পরকালে বিচার হবে না,কারন এই হিকমাহ দিয়ে আল্লাহ পরকালেও বিচার সম্পাদন কোরবেন।

মোহাম্মদ হাবিব বেন আব্দুস ছোবান





2 comments:

  1. আমার নাম দেওয়াতে আপনাকে জাজাকাল্লাহ

    ReplyDelete
  2. আপনাকে ও জাজাকাল্লাহ

    ReplyDelete