Saturday, April 11, 2015

দাজ্জালকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার বা অবজ্ঞা করার উপায় নেই।

""দাজ্জালকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার বা অবজ্ঞা করার উপায় নেই। ""


আল্লাহর রসুল বোলেছেন-আদমের সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত এমন কোন বিষয় বা ঘটনা হবে না, যা দাজ্জালের চেয়ে গুরুতর ও সংকটজনক। তিনি এ কথাও বোলেছেন যে- নুহ (আঃ) থেকে নিয়ে কোন নবীই বাদ যান নি যিনি তার উম্মাকে দাজ্জাল সমন্ধে সতর্ক করেন নি। শুধু তাই নয়, আল্লাহর নবী নিজে দাজ্জালের সংকট (ফেতনা) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন ।
চিন্তা করার বিষয় হোচেছ, যে ব্যাপারটা মানবজাতির সৃষ্টি থেকে নিয়ে ধবংস পর্যন্ত যা কিছু ঘোটবে সে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়, গুরুতপুর্ণ, যে বিষয় সমন্ধে নুহ (আঃ) ও তার পরবর্তী প্রত্যেক নবী তার জাতিকে সতর্ক কোরে গেছেন এবং যা থেকে শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীও আল্লাহর কাছে আশ্রয় (পানাহ্) চেয়েছেন সেটা কতখানি গুরুতপুর্ণ, বিরাট ( হাদীসে রসুল (দঃ) "আকবর" শব্দ ব্যবহার কোরেছেন) এবং আমরা সে সমন্ধে কতটুকু সজাগ ও সচেতন ? বাস্তব অবস্থা এই যে আমরা মোটেই সজাগ নই এবং নই বোলেই আমরা বুঝছিনা যে ৪৭৬ বছর আগেই দাজ্জালের জন্ম হোয়েছে এবং সে তার শৈশব, কৈশোর পার হোয়ে বর্তমানে যৌবনে আছে এবং এও বুঝছিনা যে সমস্ত পৃথিবীসহ আমরা মোসলেমরাও দাজ্জালকে রব, প্রভু বোলে সীকার কোরে নিয়েছি ও তার পায়ে সাজদায় পোড়ে আছি।

প্রকৃত দীন থেকে বিচ্যুত হবার শাস্তি হিসাবে আল্লাহ এই জাতিকে (যেটা নিজেদের মোসলেম বোলে পরিচয় দেয় ও নিজেদের মোসলেম বোলে বিশাস করে) কয়েক শতাব্দীর জন্য ইউরোপের খৃষ্টান জাতিগুলির দাসে পরিণত কোরে দিয়েছিলেন এবং ঐ দাসত্বেরর সময়ে প্রভুদের প্রবর্তিত শিক্ষার ফলে প্রকৃত দীন থেকে বিচ্ছিন্ন হোয়ে আছে। কাজেই দাজ্জাল সমন্ধে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। এরা আব্রাহাম লিংকনের কয়টা দাঁত ছিলো তা জানেন, শেক্সপিয়ের থেকে অনর্গল আবৃর্তি কোরতে পারেন, কিন্তু আল্লাহর রসুল যে মানবজাতির জীবনে দাজ্জাল নামে এক মহাবিপদ আবির্ভূত হবার ভবিষৎবাণী কোরে গিয়েছেন তা তাদের কাছে এক কৌতুকপূর্ণ সংবাদ । এই জাতির যে অংশটা কোরান-হাদীস পড়েন তারা ছাড়া দাজ্জাল সমন্ধে কেউ চিন্তা -ভাবনাও করেন না, কোন গুরুতও দেন না। ঐ যে অংশটা কোরান-হাদীস নাড়াচাড়া করেন সেই অংশও দাজ্জালকে নিয়ে মাথা ঘামান না, প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল কী তা বুঝতে চেষ্টা করেন না;কারন তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভংগী নিয়ে তারা অপেক্ষায় আছেন যে আখেরী যামানায় বিরাট এক ঘোড়ায় চড়ে এক চক্ষু বিশিষ্ট এক দানব পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে। যে হাদীসগুলিতে রসুলাল্লাহ দাজ্জাল সমন্ধে ভবিষৎবাণী কোরেছেন সেগুলির শাব্দিক অর্থকেই তারা গ্রহন কোরেছেন, তার বেশী আর তারা তলিয়ে দেখেননি বা দেখতে পারেন নি। যে ঘটনাটিকে আখেরী নবী আদম (আঃ) থেকে কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য সবচেয়ে গুরুতর ও সাংঘাতিক ঘটনা বোলে চিনহিত কোরেছেন সেই মহা-গুরুতপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তারা কোনও গভীর গবেষনা করেন নি। এই মহা-প্রয়োজনীয় ব্যাপারটাকে বোঝার জন্য যতটুকু শ্রম দিয়েছেন তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশী শ্রম ও সময় দিয়েছেন দাড়ি-মোছ, টুপি-পাগড়ি, পাজামা, মেসওয়াক, কুলুখ আর বিবি তালাকের মত তুচ্ছ ফতওয়ার বিশ্লেষণে।

হেযবুত তওহীদ

No comments:

Post a Comment