Saturday, April 11, 2015

আগে মো’মেন হও পরে আমল করো

 আল্লাহর হুকুম, বিধান বাদ দেওয়ার কারণে এরা মো’মেনই না মোসলেমই না? এই সরল প্রশ্নের উত্তর কে দেবে যে, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোর’আনের হুকুম বাদ দিয়ে কী কোরে মোসলেম দাবি করা যায়? এ জাতি যে দিন থেকে পৃথিবীময় সত্যদীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়েছে অর্থাৎ রসুলাল্লাহর এন্তেকালের ৬০/৭০ বছর পর তখনই তাদেরকে আল্লাহ মো’মেন এর খাতা থেকে বাদ দিয়েছেন। অতঃপর অন্য জাতির (এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ জাতির) গোলাম হওয়ার পর মোসলেম থেকেই বহিষ্কার; তাদের তৈরি আইন-বিধান, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি অর্থাৎ এক কথায় জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করার পর চূড়ান্তরূপে কাফের, জালেম, ফাসেক হয়ে যায় (সুরা মায়েদা ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই এখন আগে আল্লাহর কলেমা, তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে মো’মেন হওয়া জরুরি। তারপরে যত পারা যায় ঐসব আমল। আজ দাঙ্গা, হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, আতঙ্ক, হত্যা, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি অর্থাৎ সর্বত্র এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ কোরছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সেই পশ্চিমা প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দেওয়া হোচ্ছে। একবারের জন্যও এ জাতি চিন্তা করে না যে, আমরা এই যে সংকটে পড়েছি এর মূল কারণ তো আল্লাহর শাস্তি, আল্লাহর লানৎ। আল্লাহ আমাদেরকে এই শাস্তি, অভিশাপ দেওয়ার কারণ: আমরা মুখে দাবি করি মুসলমান, আইন-বিধান, হুকুম মানি এবং অনুসরণ কোরি ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতা দাজ্জালের। এখন এই লানৎ, শাস্তি থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। সেই প্রকৃত, অনাবিল, শান্তিদায়ক, নিখুঁত, ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা কোথায় পাওয়া যাবে?

সেটা আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দান কোরেছেন। আজ সারা পৃথিবীতে যে এসলামটি চর্চা করা হোচ্ছে, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তবে, খানকায় যে এসলামটা শিক্ষা দেওয়া হোচ্ছে সেটা আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত এসলাম নয়। এই এসলাম ১৬০ কোটির এই জনসংখ্যাকে শান্তি দিতে পারে নি, অন্য জাতির গোলামি থেকে রক্ষাও কোরতে পারে নি। আমরা এমন এক এসলামের কথা বোলছি, যে এসলাম সমস্ত মানবজাতিকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারবে, সমস্ত মানবজাতিকে একটি পরিবারে পরিণত কোরবে, এনশা’আল্লাহ।

No comments:

Post a Comment