Sunday, December 20, 2015

এসলামের প্রকৃত রূপরেখা, জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাস

এসলামের প্রকৃত রূপরেখা, জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাস


এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

এই যে মোসলেম বোলে পরিচিত এই জনসংখ্যার যে অংশটুকু এই দেশে আছে তাদের একাংশ হয় ভীত হোয়েছেন না হয় চিন্তিত হোয়ে পোড়েছেন। এই অংশটি হোচ্ছে জাতির সেই অংশ যেটা কিছুতেই আল্লাহ, রসুলের দীন প্রতিষ্ঠা হোক তা চায় না। তারা আমাদের জীবনে আল্লাহর দেয়া জীবন-ব্যবস্থা, দীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ ইত্যাদি নাম দিয়ে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন কোরতে চান। আমার এই বইয়ে যে জেহাদ, কেতাল ইত্যাদিকে সন্ত্রাস বোলে চিহ্নিত কোরতে চান। জেহাদ আর সন্ত্রাস এক জিনিস নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। জেহাদ শব্দের অর্থ কোন কাজ কোরতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা; আর সন্ত্রাস হোচ্ছে হিংসাত্মক কাজ কোরে, বোমা ফাটিয়ে, ধ্বংস কোরে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা। অথচ মোসলেম নামধারী কিন্তু কার্য্যতঃ কাফের ও মোশরেক এই লোকগুলি জেহাদকে সন্ত্রাস বোলে চালিয়ে, জেহাদের বিরুদ্ধে মানসিকতা গড়ে তুলতে চান। অথচ দীন প্রতিষ্ঠার এই জেহাদ অর্থাৎ প্রচেষ্টা ছাড়া দীনুল এসলামই অসম্পূর্ণ; কারণ ঈমানের সংজ্ঞার মধ্যে, মো’মেন হবার সংজ্ঞা, শর্ত্তের মধ্যেই আল্লাহ এই জেহাদ অর্থাৎ    দীন প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টাকে, সংগ্রামকে ঢুকিয়ে দিয়ে রেখেছেন। (দেখুন- সুরা হুজরাত, আয়াত ১৫)
যারা আমাদের জীবনে আল্লাহর দীনুল হক, এসলাম প্রতিষ্ঠা হোক তা চান না তারা স্বভাবতই এই প্রচেষ্টাকে অর্থাৎ জেহাদকেও চান না, এটাই স্বাভাবিক। তারা জেহাদ অর্থাৎ প্রচেষ্টাকে হেয়, মন্দ কাজ বোলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় একে সন্ত্রাসের সঙ্গে এক কোরে দিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসকে ঘৃণার সাথে জেহাদকেও ঘৃণা করে। যেহেতু এসলাম বিরোধী এই লোকগুলির নিয়ন্ত্রনেই দেশের অধিকাংশ প্রচার ব্যবস্থা অর্থাৎ মিডিয়া (Media), সেহেতু তাদের অবিশ্রান্ত মিথ্যা প্রচারের ফলে তারা প্রায় সফলও হোয়েছেন। মোসলেম ও মো’মেন হবার দাবীদারও আজ নিজেকে কোন ভাবে জেহাদ অর্থাৎ দীনুল এসলাম প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত হবার কথা স্বীকার কোরতে ভয় পান এবং করেনও না।
সুতরাং প্রয়োজন হোয়ে পোড়েছে যে দীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় জেহাদ এবং কেতালের স্থান কোথায় তা নির্দিষ্ট করা। জেহাদ শব্দের অর্থ সংগ্রাম, সর্বাত্মক সংগ্রাম, প্রচেষ্টা। জেহাদ হোচ্ছে দীন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা মানুষকে মুখে বোলে, লিখে জানিয়ে, বক্তৃতা কোরে, যুক্তি উপস্থাপন কোরে, বুঝিয়ে ইত্যাদি ভাবে হতে পারে। আর কেতাল একেবারে ভিন্ন শব্দ যার অর্থ সশস্ত্র যুদ্ধ। জেহাদ ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠি ইত্যাদির পর্য্যায়ে এবং কেতাল রাষ্ট্রীয় পর্য্যায়ে। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি বা দল যদি দীন প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র হাতে নেয় তবে সেটা হবে মারাত্মক ভুল। তাদের কাজ হবে মানুষকে যুক্তি দিয়ে কোরান-হাদীস দেখিয়ে, বই লিখে, বক্তৃতা কোরে মানুষকে এ কথা বোঝান যে পৃথিবীতে নিরংকুশ শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের মধ্যে বাস কোরতে হোলে একমাত্র পথ যিনি আমাদের সৃষ্টি কোরেছেন তাঁর দেয়া জীবন বিধান মোতাবেক আমাদের জীবন পরিচালনা করা। সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে, যে যে জিনিস তৈরী কোরেছেন তাঁর চেয়ে আর কে জানবে সে জিনিসটি কিভাবে চালালে ঠিকমত, ভালোভাবে চোলবে। আল্লাহ সুরা মুলকের ১৪ নং আয়াতে বোলেছেন যে সৃষ্টি কোরেছে তার চেয়ে বেশী জান? (তুমি সৃষ্ট হোয়ে?) এ যুক্তির কোন জবাব আছে? কিন্তু আমরা মো’মেন মোসলেম হবার দাবীদার হোয়েও দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদী খ্রিস্টান জড়বাদী ‘সভ্যতা’র নির্দেশে আল্লাহর দেয়া দীন, জীবন-ব্যবস্থা থেকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অংশটুকু ছাড়া সমষ্টিগত (যেটাই প্রধান) অংশটুকু বাদ দিয়ে সেখানে নিজেরা বিধান, আইন-কানুন, নিয়মনীতি নির্দ্ধারণ কোরে সেই মোতাবেক আমাদের সমষ্টিগত জীবন পরিচালিত কোরছি। ফল কি হোয়েছে? শিক্ষা দীক্ষায়, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে মানব ইতিহাসের চুড়ান্ত স্থানে উপস্থিত হোয়েও আজ পৃথিবী অশান্তি, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার আর মানুষে মানুষে সংঘর্ষ ও রক্তপাতে অস্থির। তাহোলে প্রমাণ হোয়ে যাচ্ছে যে মানুষ তার জীবন পরিচালনার জন্য যে ব্যবস্থা তৈরী কোরে নিয়েছে তা তাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হোয়েছে। কাজেই মানুষকেই বোঝাতে হবে যে এ পথ ত্যাগ কোরে মানুষের সার্বভৌমত্বকে ত্যাগ কোরে আল্লাহর রসুল যা শিখিয়েছেন সেই আল্লাহর সার্বভৌমত্বে ফিরে যেতে হবে, সেই সার্বভৌমত্বকে গ্রহণ কোরে তাঁর দেয়া দীন, জীবন-ব্যবস্থাকে গ্রহণ কোরে আমাদের জীবনে প্রতিষ্ঠা কোরতে হবে। এই কাজ কি জোর কোরে করাবার কাজ? এটাতো সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে জোর কোরে, শক্তি প্রয়োগ কোরে মানুষকে কোন কিছু বিশ্বাস করানো অসম্ভব।
হেযবুত তওহীদ এই কাজটাই করার সংকল্প কোরছে এবং কোরছে মানুষকে বুঝিয়ে, যুক্তি দিয়ে। আল্লাহর সার্বভৌমত্বে (উলুহিয়াতে) মানুষকে ফিরে আসার আহ্বান কোরছে। এই কাজ করার জন্য হেযবুত তওহীদ প্রক্রিয়া গ্রহণ কোরেছে আল্লাহর রসুলের প্রক্রিয়া, অর্থাৎ তরিকাহ। তিনি কি কোরেছিলেন? মক্কী জীবনের তের বছর তাঁর আহ্বান অর্থাৎ বালাগ ছিলো ব্যক্তি ও দলগত পর্য্যায়ে। তাই তিনি ও তাঁর দল সর্বপ্রকার অত্যাচার, মিথ্যা দোষারোপ, নির্য্যাতন সহ্য কোরেছেন কোন প্রতিঘাত করেন নি। হেযবুত তওহীদের মোজাহেদরাও আজ তের বছর (বর্তমানে- ১৮ বছর) ধোরে মানুষকে তওহীদের, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বালাগ দিয়ে আসছে, এটা কোরতে যেয়ে তারা বিরুদ্ধবাদীদের গালাগালি খাচ্ছে, অপমানিত হোচ্ছে, মার খাচ্ছে প্রচণ্ডভাবে নির্যাতিত হোচ্ছে। দাজ্জালের অনুসারী, আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার বিরোধী এদের দ্বারা হেযবুত তওহীদের মোজাহেদরা বহুস্থানে বহুবার আক্রান্ত হোয়েছেন, তাদের আক্রমণে বহু মোজাহেদ সাংঘাতিকভাবে জখম, আহত হোয়েছেন এবং একজন পুরুষ মোজাহেদ এবং একজন নারী মোজাহেদা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হোয়েছেন। তাদের মিথ্যা প্রচারে ও প্ররোচনায় প্রভাবিত হোয়ে পুলিশ মোজাহেদদের গ্রেফতার কোরছে, তাদের শারীরীক নির্যাতন কোরছে, জেলে দিচ্ছে, তাদের নামে আদালতে মামলা দিচ্ছে, এমন কি একেবারে মিথ্যা মামলাও দিচ্ছে। কিন্তু এই তের বছরে শতাধিক (বর্তমানে ১৮ বছরে চার শতাধিক) মামলার একটিতেও কোন মোজাহেদ আদালতের বিচারে দোষি প্রমাণিত হয় নাই, একটিতেও শাস্তি হয় নাই।
হেযবুত তওহীদের জন্মের সময় থেকেই আমি নীতি হিসাবে রসুলের এই তরিকা অনুসরণ কোরেছি। আমার নির্দেশ দেয়া আছে কোন মোজাহেদ কোন রকম বে-আইনি কাজ কোরবে না, কোন আইন ভঙ্গ কোরবে না, কোন বে-আইনি অস্ত্র হাতে নেবে না। যদি আমি জানতে পারি যে কোন মোজাহেদদের কাছে কোন বে-আইনি অস্ত্র আছে তবে আমিই পুলিশে খবর দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেব। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোন মোজাহেদ কোন বে-আইনি কাজ কোরে কোন অস্ত্র মামলায় আদালত থেকে শাস্তি পায় নাই। কিন্তু তাতে পুলিশের হয়রানি করা থামে নাই। হেযবুত তওহীদ সম্বন্ধে মিডিয়ার (সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি) অবিশ্রান্ত মিথ্যা প্রচারে প্রভাবিত হোয়ে পুলিশ এখনও এখানে সেখানে মোজাহেদদের গ্রেফতার কোরছে, আর কোন অপরাধ না পেয়ে ৫৪ ধারায় অভিযুক্ত কোরে চালান দিচ্ছে কিন্তু স্বভাবতই আদালত থেকে কোন সাজা হোচ্ছে না।
আল্লাহর রসুলের তের বছরের মক্কী জীবনও ছিলো শুধু এক তরফা নির্য্যাতন। তারপর মদীনার মানুষ যখন তাঁর তওহীদের ডাক গ্রহণ কোরল, তখন তিনি হেজরত কোরে সেখানে যেয়ে রাষ্ট্র গঠন কোরলেন। যেই রাষ্ট্র গঠন কোরলেন তখনই নীতি বদলে গেলো। কারণ কোন রাষ্ট্র কোনদিন ব্যক্তি বা দলের নীতিতে টিকে থাকতে পারে না। তখন তাঁর প্রয়োজন হবে অস্ত্রের, সৈনিকের, যুদ্ধের প্রশিক্ষণের। আল্লাহর রসুলও তাই কোরলেন হাতে অস্ত্র নিলেন এবং তখন থেকে তাঁর পবিত্র জীবনের বাকিটার সমস্তটাই কাটলো যুদ্ধ কোরে। অর্থাৎ তওহীদ ভিত্তিক এই সত্যদীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি গোষ্ঠি বা দলগতভাবে কোনও কেতাল অর্থাৎ সশস্ত্র যুদ্ধ নেই, আছে শুধু তওহীদের, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের আহ্বান, বালাগ দেয়া। ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্য্যায়ে আছে সশস্ত্র যুদ্ধ। রাষ্ট্রীয় পর্য্যায়ে অস্ত্র, যুদ্ধ ইত্যাদি যদি আইন সম্মত না হয় তবে পৃথিবীর সব দেশের সামরিক বাহিনীই বে-আইনি, সন্ত্রাসী। কোরান ও হাদীসে যে জেহাদ ও কেতালের কথা আছে তা রাষ্ট্রগত। হেযবুত তওহীদের মোজাহেদদের বাড়িতে যেয়ে তাদের গ্রেফতার করার কথা ফলাও কোরে কাগজে, রেডিও, টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। টেলিভিশনের পর্দায় তাদের হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় দেখানো হয়; আর দেখানো হয় আমার লেখা পুস্তিকাগুলি, এই বইটি ও এসলামের প্রকৃত সালাহ, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি। পুলিশ এবং মিডিয়ার লোকজনদের, টি.ভির পর্দায় বুক ফোলানো ছবি দেখে মনে হয় তারা গুপ্তধন খুজে পেয়েছেন। অথচ ঐ বইগুলি আমার নির্দেশে অনেক আগেই বাংলাদেশের অধিকাংশ থানায় মোজাহেদরা নিজেরা যেয়ে পৌঁছে দিয়েছে। দ্বিতীয় কথা হোল বলা হয় ঐ জব্দ করা বইগুলি জেহাদী বই ওতে জেহাদ ও কেতালের কথা লেখা আছে। জেহাদ এবং কেতালের কথা লেখা আছে বোলে যদি ঐ বইগুলি জব্দ অর্থাৎ বাজেয়াপ্ত করা হয় তবে তাদের কাজটা অসম্পূর্ণ থেকে গেলো; কারণ ঐ বাড়িতেই অন্ততঃ আরও দুইটি বই আছে যাতে আমার বইয়ে জেহাদ ও কেতাল যতবার লেখা আছে তা থেকে বহুগুণ বেশীবার ঐ শব্দ দুটি, জেহাদ ও কেতাল লেখা আছে। শুধু লেখা আছে নয় যা করার জন্য সরাসরি আদেশ দেওয়া আছে, এবং কোরলে মহাপুরস্কার এবং না কোরলে কঠিন শাস্তির কথা লেখা আছে। ঐ বই দুইটির একটি আল্লাহর কোর’আন এবং অন্যটি রসুলের হাদীস। ঐ বই দুইটি বাজেয়াপ্ত না কোরে শুধু আমার ছোট ছোট দু’একটি পুস্তিকা বাজেয়াপ্ত কোরে তা উঁচু কোরে টি.ভির পর্দায় দেখানো অযৌক্তিক, যুক্তিসম্মত নয়।
আমরা কোর’আন-হাদীস দেখিয়ে, যুক্তি দিয়ে, প্রমাণ দিয়ে মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা কোরছি যে তওহীদ ভিত্তিক দীন, জীবন-ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তার আর কোন বিকল্প পথ নেই। বর্ত্তমান অশান্ত, পৃথিবীই তার প্রমাণ। এখানে জোর জবরদস্তির কোন স্থান নেই, মানুষকে জোর কোরে কোন কিছু বোঝানো যায় না এটা সাধারণ জ্ঞান (Common sense) মানুষ যদি একে গ্রহণ করে তবে দেশে তওহীদ ভিত্তিক দীন, জীবন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, আর যদি মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া না দেয়, মানুষের সার্বভৌমত্বকেই, মানুষের উলুহিয়াতকেই আঁকড়ে ধোরে থাকে তবে আমাদের কিছু করার নেই। আল্লাহর যা ইচ্ছা কোরবেন। আর যদি মানুষ আমাদের কথা বোঝে, সাড়া দেয়, দাজ্জালের শেখানো বর্ত্তমানের মানুষের সার্বভৌমত্বকে অর্থাৎ র্শেক ও কুফর ছেড়ে দিয়ে তওবা কোরে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অর্থাৎ তওহীদ ভিত্তিক দীন, জীবন-ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে তবে তখন আসবে কেতালের অর্থাৎ সশস্ত্র সংগ্রামের, যুদ্ধের সময়। সুতরাং এখন যে হেযবুত তওহীদকে জঙ্গী, জেহাদী, সন্ত্রাসী ইত্যাদি বোলে প্রচার করা হয় তা জঘন্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আজ যে হেযবুত তওহীদকে ঐভাবে চিত্রিত করার আপ্রাণ চেষ্টা হোচ্ছে তার বিরাট এবং গভীর কারণ আছে। কিন্তু তা এখানে আলোচনা করার নয়। কিন্তু তাদের এ চেষ্টা এনশা’আল্লাহ ব্যর্থ হবে কারণ হেযবুত তওহীদ যে মহাসত্য প্রচার কোরছে তার চেয়ে বড় আর কোন সত্য আসমান ও যমিনে নেই আর তা হোল আল্লাহর তওহীদ, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব।
আল্লাহ সুরা তওবার ৩২ নং আয়াতে বোলেছেন তারা (কাফের, মোশরেকরা) তাদের মুখের ফুৎকার দিয়ে আল্লাহর নুরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নুরের পূর্ণ উদ্ভাসন ছাড়া অন্য কিছু চান না, তা কাফেরদের কাছে যত অপ্রীতিকরই হোক। এনশা’আল্লাহ তারা হেযবুত তওহীদকেও ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিতে পারবে না।

No comments:

Post a Comment