Thursday, December 24, 2015

আমি কারো সেবা নিতে আসিনি, এসেছি সেবা করার জন্য

আমি কারো সেবা নিতে আসিনি, এসেছি সেবা করার জন্য



আমি কারো সেবা নিতে আসিনি, এসেছি সেবা করার জন্য। (বার্নাবাসের বাইবেল- ৫০)। প্রতিটা ধর্মের মূল লক্ষ্যই হলো মানুষের কল্যাণ, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা। আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ যুগে যুগে মানবসমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই নবী-রসুল, অবতারগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে ছিলেন আমাদের শিক্ষক। তাঁদের প্রতিটি কথা, প্রতিটি কাজ অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। ধর্ম পালন করা মানেই হলো তাদের পূর্ণ অনুসরণের চেষ্টা করা। যারা তাদের শিক্ষাকে নিজের জীবনে যত বেশি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে সে তত বড় ধার্মিক হবে, উভয় জীবনে সফল হবে। এখানে ঈসা (আ.) বলছেন তিনি সেবা নিতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছেন। তাহলে ধর্মের ধারক সেজে সেবা পাবার অধিকারী আর কে হতে পারে? কোনো ধর্মের অনুসরণই কাউকে সেবা পাবার অধিকারী করতে পারে না বরং অন্য মানুষের কল্যাণে, অন্যের সেবাই নিজেকে উৎসর্গ করতে শেখায়। সকল নবী-রসুল, অবতার, মহামানবগণই নিজেদের জীবন বিলিয়ে গেছেন মানুষের সেবায়। কিন্তু আজকের সমাজে দেখা যায় কিছু মানুষ ধর্মকে পুঁজি স্বার্থ হাসিল করে, ধর্মের ধারক-বাহক সেজে ব্যবসা করে, সেবাদানের পরিবর্তে সেবা গ্রহণের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মনে রাখতে হবে, যারা প্রকৃত ধার্মিক তারা কখনো কারো জুতা মারার প্রচেষ্টা করবে না বরং তারা মানুষের জুতা পরিষ্কার করার জন্যই প্রচেষ্টা করবে। আর যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, মানুষের কষ্ট দিতে চায়, মানুষ হত্যা করতে চায় তারা আসলে ধর্মের অনুসারী নয়, তারা ভণ্ড, প্রতারক।
অন্য জায়গাতে এসেছে, “লক্ষ রেখ, যেন তোমাদের আসক্তি বা প্রেম দিয়ে ক্ষুদ্রতম কোনো ভাবনার কেনাবেচা না হয় যাতে তোমাদের লাভের অংকটি শূন্য। বরং তোমাদের ভাবনা, বাক্য ও কর্ম সবই যেন আল্লাহর উদ্দেশে নিবেদিত হয়, আর তাতেই সেই দিবসে (হাশরের দিন) নিরাপত্তা অর্জিত হবে। (বার্নাবাসের বাইবেল- ৬২)। অর্থাৎ ধর্মের কাজের কোনো বিনিময় চলে না, বিনিময় যদি এ পৃথিবীতেই নিয়ে নেওয়া হয় তবে তো হাশরের দিন বিনিময়ের পাল্লা শূন্য থেকে যাবে। ধর্মের কাজ, মানুষের সেবামূলক কাজ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় করতে হবে তবেই তা আল্লার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। যদি পার্থিব স্বার্থে কোনো কাজ করা হয় তবে আর যাই হোক তা ধর্মের নামে চালানো যাবে না। ঐ কাজের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। আল্লাহর রাস্তায় কাজের বিনিময়ে একটি ইটের আশাও করা উচিত নয়, এটা আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিতপ্রাণ মোজাহেদের সম্মানের সাথেও যায় না। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা, মাননীয় এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী তাঁর কথা ও কাজ দ্বারা এ শিক্ষায় দিয়ে গেছেন। এজন্য হেযবুত তওহীদ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেদের জীবন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে যাচ্ছেন নিরন্তর কিন্তু এর ন্যূনতম বিনিময় তারা কারো কাছে চায় না।  তারা বিনিময় আশা করে কেবল মহান আল্লাহর নিকট থেকে। এ কাজে তাদের পার্থিব কোনো বিনিময় নেই, তারা কেবল এর বিনিময়ে জান্নাত চায়, জান্নাতের সুউচ্চ স্তরে যেতে চায়।  হেযবুত তওহীদ সকলকে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার দিকে আহ্বান করে।

No comments:

Post a Comment