Thursday, December 17, 2015

মানবজাতির এ কি হলো?

মানবজাতির এ কি হলো?




আজ ধর্মের লোক ধর্মের ঘাটিতে নেই আছে দাজ্জালের ঘাটিতে তার কারন সুরা আল বালাদের ১০ নং আয়াতে আল্লাহ দুইটি পথ নির্ধারণ একটা সয়ং আল্লাহর, আরেক টা ইবলিসের। সেই ইবলিসের রুপ নিয়ে দাজ্জাল চুড়ান্ত ভাবে নেমেছে মানবজাতিকে বিপদগামী করার লক্ষ্যে, ইতিমধ্যে সে সফলও হোয়েছে বহুলাংশে।এই ইবলিসের রুপে নামার পর থেকে মানবজাতিকে আধুনিক হইয়া স্বার্থপর (Selfish) রুপ ধারণ কোরে মানবজাতির বিপর্যয় ঘটিয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে -ক্ষুদা, দারিদ্র, অভাব অনটন, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি।
ঈদ মানে খুশি,যদি তাই হয় এই খুশির উদ্দেশ্য কি?
এর উদ্দেশ্য হলো এই যে,মানবতার কল্যাণ করার পর মানবের মুখে হাসি খুশি ফুটানোই হলো ঈদ অর্থাৎ মানবতার কল্যাণই যে প্রকৃত ঈদ। আজ তা হচ্ছে না। ঈদের দিন একটু সেমাই পায়েস ও গোশত পোলাউ খাওয়াইলেই বুঝি মানবের কল্যাণ করা,তাদের পাশে দাড়ানো শেষ??
আজ দুনিয়াময় বহু মানুষ গরীব আছে, না খেয়ে আছে, না খেয়ে কঙ্কাল হোয়ে যাচ্ছে, মারাও যাচ্ছে অহরহ ,কিন্তু দাজ্জালের প্রদ্ধতিতে স্বার্থের আধুনিকতা থেমে নেই কেউ লাখোপতি কেউ কোটিপতি হোচ্ছে, কেউ রাতারাতি কোটিপতি হোচ্ছে। আর মানবতা? অন্যকে দান সহযোগীতা? আধ্যাত্মিকতা?
নেই!নেই! নেই! নেই! কেন নেই? এইজন্যেই নেই যে,যে ইসলাম এসেছিলো মানবতার কল্যাণ ও মুক্তির সনদ নিয়ে সেটা আজ ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণীর কবলে পড়ে হোয়ে গেছে বিপরীত মুখী। (Opposite) তাই এই আজকের অনুশীলন ইসলাম দুনিয়াময় চলছে এটা প্রকৃত ইসলাম নয়।  এই ইসলাম মুহাম্মদ (স) এর উপর আল্লাহ নাযেল কোরেননি, সেই প্রকৃত ইসলাম ছিলো আকাশের মত বিশাল।
মহান আল্লাহর ঘোষণা দেখুন প্রকৃত ইসলামে কি বলে-
সূরা আন নিসা:75 – আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
পরের আয়াতসমুহ আছে, আপনার আমার ধর্মের ঘাটি মজবুত হবে কি কোরে?
সূরা আল বালাদ:10 – বস্তুতঃ আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি।
:11 – অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
12 – আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
13 – তা হচ্ছে দাসমুক্তি
14 – অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
15 – এতীম আত্বীয়কে
16 – অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে
17 – অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার।
18 – তারাই সৌভাগ্যশালী।
19 – আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা।
20 – তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে।

No comments:

Post a Comment